ইপেপার । আজ বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মেহেরপুর জেলা বিএনপির ৩১ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন

কমিটির পুনর্বিবেচনার দাবিতে পৃথক গণমিছিল ও সভা

আসতে পারে কমিটি বাতিলের দাবিতে নানা কর্মসূচির ঘোষণা- মাসুদ অরুণ

প্রতিবেদক, মেহেরপুর সদর:
  • আপলোড টাইম : ১০:২৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / ২০ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুরসহ ৮ জেলায় নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। গতকাল রোববার দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জাভেদ মাসুদ মিল্টনকে আহ্বায়ক এবং অ্যাড. কামরুল হাসানকে সদস্যসচিব করে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট মেহেরপুর জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হয়েছেন মো. আমিরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর বিশ্বাস ও অধ্যাপক ফয়েজ মোহাম্মদ।

এছাড়া কমিটিতে মাসুদ অরুণ, আমজাদ হোসেন, মো. ইলিয়াছ হোসেন, মো. আলমগীর খান ছাতু, মো. আনছারুল হক, মো. আব্দুল্লাহ, মো. হাফিজুর রহমান, মো. রেজাউল হক, মারুফ আহম্মদ বিজন, মো. জাকির হোসেন, মো. আব্দুল হামিদ, মো. খাইরুল বাশার, মো. ওমর ফারুক লিটন, মীর ফারুক হোসেন, মো. আব্দুল আওয়াল, মো. ইনছারুল হক, মো. আলফাজ উদ্দিন কালু, মোছা. রোমানা আহম্মদ, মো. আব্দুর রশিদ, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. আসাদুজ্জামান বাবলু, মো. মকবুল হোসেন মেঘলা, মো. আখেরুজ্জামান, আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম, মো. মশিউর রহমানকে সদস্য করা হয়েছে।

এদিকে, মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির পুনর্বিবেচনার দাবিতে গণমিছিল করেছে সদর উপজেলা বিএনপি। গতকাল রোববার দুপুর ১২টার দিকে মেহেরপুর কাঁথুলি বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে একটি মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে নেতা-কর্মীরা মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি পুনর্বিবেচনার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এর আগে কাথুলি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য ও মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন, মেহেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্ট, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদ, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান, শ্রমিক দলের সভাপতি আহসান হাবীব সোনা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজির, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ রাজিব খান, জেলা যুবদলের সহসভাপতি বাবু সাবের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর সুজন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হাসনাত আফরোজসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

পথসভায় বক্তারা বলেন, ১৬ বছর যারা রাজপথে লড়াই-সংগ্রামে ছিল না, তারা আজ আহ্বায়ক কমিটিতে স্থান পেয়েছে। এই আহ্বায়ক কমিটি টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগের দোসরদের কমিটিতে নিয়ে আসছে। এ কমিটি আমরা মানি না, কমিটি হবে শহীদ শামসুজ্জোহা পার্কে জনগণের সামনে, জনগণের কথায় হবে শেষ কথা।’

কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য ও মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা দেখলাম সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে ভোরে তাকে দুটি মামলায় আদালতে হাজির করানো হয়। আর আমাদের নেতা-কর্মীদের ডান্ডা বাড়ি দিয়ে আদালতে হাজির করা হয়েছে। ড. ইউনূসকে অসুস্থ শরীর নিয়ে ৮ তলায় হেঁটে হাজিরা দিতে হয়েছে। তাকে এত কিসের প্রটোকল। এখনো আওয়ামী লীগের দোসরা প্রশাসনের ভেতরে ঘাপটি মেরে আছে। এদের তালিকা প্রস্তুত করে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে, মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি পুনর্বিবেচনার দাবিতে গাংনীতে গণমিছিল ও পথসভা করেছে বিএনপির একাংশ। গতকাল রোববার বিকেল পাঁচটার দিকে গাংনী হাসপাতাল বাজার বিএনপির অফিসের সামনে থেকে গণমিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলুর নেতৃত্বে গণমিছিল ও পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাসুদ অরুণ।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মতিয়ার রহমান মোল্লা, গাংনী পৌর জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সুলেরী আলভী, মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাজমুল হোসাইন, মেহেরপুর জেলা যুবদলের সহসভাপতি মফিজুল ইসলাম, যুবদল নেতা শাহিবুল ইসলাম, মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি রেজওয়ানুল হক ইমন প্রমুখ।
গণমিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাসুদ অরুণ বলেন, ‘বর্তমান কমিটি অবৈধ। এই অবৈধ কমিটি যদি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন কমিটি তৈরি করে, তাহলে আমরা তা মানবো না। আমরাও নতুন কমিটি ঘোষণা করব। আগামী ৭ তারিখ মেহেরপুর জেলার ৩টি উপজেলায় বর্তমান কমিটির বিপক্ষে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।’

এদিকে, নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন ও তা পুনর্বিবেচনার দাবিতে গণমিছিলের প্রতিক্রিয়ায় মেহেরপুর জেলা বিএনপির সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক জাভেদ মাসুদ মিল্টন বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী এই কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। দলের আদর্শের সৈনিকদের এই কমিটি নিয়ে কোনো দ্বিমত থাকার কথা নয়। এরপরও যারা এই কমিটি নিয়ে দ্বিমত পোষণ করছেন, তারা কেন এমন করছেন, তার উত্তর কেবল তারাই দিতে পারবেন।’

জেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুণ বলেন, ‘যারা বিগত ১৬ বছরে দলের জন্য লড়াই-সংগ্রাম করেছেন, হামলা, মামলার শিকার হয়েছেন, এই কমিটিতে তাদের পরিপূর্ণ মূল্যায়ন করা হয়নি। অথচ বিগত সময়ে দলের জন্য অগ্রণী ভূমিকা না রেখেও পূর্বের ৭ সদস্য ও সদ্য ঘোষিত ৩১ সদস্যবিশিষ্ট দুটি কমিটিতেই অনেক নেতা সম্মুখের দায়িত্ব পেয়েছেন। আমরা এই কমিটি পুনর্বিবেচনা দাবি জানাচ্ছি। দাবি না মানা হলে কমিটি বাতিলের কর্মসূচি আসতে পারে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

মেহেরপুর জেলা বিএনপির ৩১ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন

কমিটির পুনর্বিবেচনার দাবিতে পৃথক গণমিছিল ও সভা

আসতে পারে কমিটি বাতিলের দাবিতে নানা কর্মসূচির ঘোষণা- মাসুদ অরুণ

আপলোড টাইম : ১০:২৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মেহেরপুরসহ ৮ জেলায় নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। গতকাল রোববার দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জাভেদ মাসুদ মিল্টনকে আহ্বায়ক এবং অ্যাড. কামরুল হাসানকে সদস্যসচিব করে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট মেহেরপুর জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হয়েছেন মো. আমিরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর বিশ্বাস ও অধ্যাপক ফয়েজ মোহাম্মদ।

এছাড়া কমিটিতে মাসুদ অরুণ, আমজাদ হোসেন, মো. ইলিয়াছ হোসেন, মো. আলমগীর খান ছাতু, মো. আনছারুল হক, মো. আব্দুল্লাহ, মো. হাফিজুর রহমান, মো. রেজাউল হক, মারুফ আহম্মদ বিজন, মো. জাকির হোসেন, মো. আব্দুল হামিদ, মো. খাইরুল বাশার, মো. ওমর ফারুক লিটন, মীর ফারুক হোসেন, মো. আব্দুল আওয়াল, মো. ইনছারুল হক, মো. আলফাজ উদ্দিন কালু, মোছা. রোমানা আহম্মদ, মো. আব্দুর রশিদ, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. আসাদুজ্জামান বাবলু, মো. মকবুল হোসেন মেঘলা, মো. আখেরুজ্জামান, আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম, মো. মশিউর রহমানকে সদস্য করা হয়েছে।

এদিকে, মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির পুনর্বিবেচনার দাবিতে গণমিছিল করেছে সদর উপজেলা বিএনপি। গতকাল রোববার দুপুর ১২টার দিকে মেহেরপুর কাঁথুলি বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে একটি মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে নেতা-কর্মীরা মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি পুনর্বিবেচনার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এর আগে কাথুলি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য ও মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন, মেহেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্ট, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদ, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান, শ্রমিক দলের সভাপতি আহসান হাবীব সোনা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজির, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ রাজিব খান, জেলা যুবদলের সহসভাপতি বাবু সাবের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর সুজন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হাসনাত আফরোজসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

পথসভায় বক্তারা বলেন, ১৬ বছর যারা রাজপথে লড়াই-সংগ্রামে ছিল না, তারা আজ আহ্বায়ক কমিটিতে স্থান পেয়েছে। এই আহ্বায়ক কমিটি টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগের দোসরদের কমিটিতে নিয়ে আসছে। এ কমিটি আমরা মানি না, কমিটি হবে শহীদ শামসুজ্জোহা পার্কে জনগণের সামনে, জনগণের কথায় হবে শেষ কথা।’

কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য ও মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা দেখলাম সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে ভোরে তাকে দুটি মামলায় আদালতে হাজির করানো হয়। আর আমাদের নেতা-কর্মীদের ডান্ডা বাড়ি দিয়ে আদালতে হাজির করা হয়েছে। ড. ইউনূসকে অসুস্থ শরীর নিয়ে ৮ তলায় হেঁটে হাজিরা দিতে হয়েছে। তাকে এত কিসের প্রটোকল। এখনো আওয়ামী লীগের দোসরা প্রশাসনের ভেতরে ঘাপটি মেরে আছে। এদের তালিকা প্রস্তুত করে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে, মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি পুনর্বিবেচনার দাবিতে গাংনীতে গণমিছিল ও পথসভা করেছে বিএনপির একাংশ। গতকাল রোববার বিকেল পাঁচটার দিকে গাংনী হাসপাতাল বাজার বিএনপির অফিসের সামনে থেকে গণমিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলুর নেতৃত্বে গণমিছিল ও পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাসুদ অরুণ।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মতিয়ার রহমান মোল্লা, গাংনী পৌর জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সুলেরী আলভী, মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাজমুল হোসাইন, মেহেরপুর জেলা যুবদলের সহসভাপতি মফিজুল ইসলাম, যুবদল নেতা শাহিবুল ইসলাম, মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি রেজওয়ানুল হক ইমন প্রমুখ।
গণমিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাসুদ অরুণ বলেন, ‘বর্তমান কমিটি অবৈধ। এই অবৈধ কমিটি যদি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন কমিটি তৈরি করে, তাহলে আমরা তা মানবো না। আমরাও নতুন কমিটি ঘোষণা করব। আগামী ৭ তারিখ মেহেরপুর জেলার ৩টি উপজেলায় বর্তমান কমিটির বিপক্ষে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।’

এদিকে, নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন ও তা পুনর্বিবেচনার দাবিতে গণমিছিলের প্রতিক্রিয়ায় মেহেরপুর জেলা বিএনপির সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক জাভেদ মাসুদ মিল্টন বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী এই কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। দলের আদর্শের সৈনিকদের এই কমিটি নিয়ে কোনো দ্বিমত থাকার কথা নয়। এরপরও যারা এই কমিটি নিয়ে দ্বিমত পোষণ করছেন, তারা কেন এমন করছেন, তার উত্তর কেবল তারাই দিতে পারবেন।’

জেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুণ বলেন, ‘যারা বিগত ১৬ বছরে দলের জন্য লড়াই-সংগ্রাম করেছেন, হামলা, মামলার শিকার হয়েছেন, এই কমিটিতে তাদের পরিপূর্ণ মূল্যায়ন করা হয়নি। অথচ বিগত সময়ে দলের জন্য অগ্রণী ভূমিকা না রেখেও পূর্বের ৭ সদস্য ও সদ্য ঘোষিত ৩১ সদস্যবিশিষ্ট দুটি কমিটিতেই অনেক নেতা সম্মুখের দায়িত্ব পেয়েছেন। আমরা এই কমিটি পুনর্বিবেচনা দাবি জানাচ্ছি। দাবি না মানা হলে কমিটি বাতিলের কর্মসূচি আসতে পারে।’