ইপেপার । আজ বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

হাসাদাহ কাঁচা বাজারের জরাজীর্ণ হাটচালিতে ঝুঁকি

দ্রুত সংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর

প্রতিবেদক, হাসাদাহ:
  • আপলোড টাইম : ০৪:৩১:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / ১৪ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর উপজেলার হাসাদাহ কাঁচা বাজারের হাটচালি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় ভেঙে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। হতে পারে প্রাণহানি। এতে আতঙ্কিত বাজারের ব্যবসায়ীরা। তাই দ্রুত হাটচালি সংস্কারের দাবি ব্যবসায়ী, এলাকাবাসীসহ সকলের।

এ বিষয়ে বর্তমান হাট পরিচালকেরা বলেন, এই হাটটি সরকারিভাবে ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে ইজারা দেওয়া হয়। হাটের জন্য আমরা বাংলা ১৪৩০-৩১ অর্থবছরে ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার সাথে ২৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ৫ শতাংশ আয়করসহ প্রায় চার লাখ টাকা জমা দিয়েছি। এই বাজারে দুটি নতুন চালি তৈরি করাসহ অন্যগুলো সংস্কারের জন্য বরাদ্দ দেওয়ার কথা থাকলেও আজ অবধি কোনো কিছু বাস্তবায়ন হয়নি। এই বাজারে মালামাল নিয়ে ভ্যানগাড়ি ঢোকার মতো তেমন কোনো রাস্তাও ইেন। সব কারও না কারও দখলে। এ জন্য অনেক ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হয় ।

কাচামাল ব্যবসায়ীরা বলেন, জীবন জীবিকার জন্য অনেক দূর-দূরান্ত থেকে তারা এই বাজারে আসেন। তবে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তারা বেচাকেনা করেন। স্থানীয়রা বলেন, দেশ স্বাধীনের আগে আমাদের এই বাজারটি শুরু হয়েছিল। অথচ আজ অবধি কোনো উন্নয়ন হয়নি। বর্তমানে কাঁচামালের হাটচালিটির অবস্থা খুবই জরাজীর্ণ। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তাই এই হাটচালি ভেঙে নতুন করে তৈরি করা খুব প্রয়োজন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়াডের্র মেম্বার হাবিবুর রহমান বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমাদের কাছে হাসাদাহ বাজারের হাটচালি সংস্কারের জন্য তথ্য চেয়েছিল। আমরা সেগুলো দিয়েছি। এরপর আর আমরা কিছুই বলতে পারবো না।
জীবননগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আল আমীন বলেন, ‘আমি খুব দ্রুত হাসাদাহ বাজারে গিয়ে বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে পদক্ষেপ নেব।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

হাসাদাহ কাঁচা বাজারের জরাজীর্ণ হাটচালিতে ঝুঁকি

দ্রুত সংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর

আপলোড টাইম : ০৪:৩১:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

জীবননগর উপজেলার হাসাদাহ কাঁচা বাজারের হাটচালি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় ভেঙে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। হতে পারে প্রাণহানি। এতে আতঙ্কিত বাজারের ব্যবসায়ীরা। তাই দ্রুত হাটচালি সংস্কারের দাবি ব্যবসায়ী, এলাকাবাসীসহ সকলের।

এ বিষয়ে বর্তমান হাট পরিচালকেরা বলেন, এই হাটটি সরকারিভাবে ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে ইজারা দেওয়া হয়। হাটের জন্য আমরা বাংলা ১৪৩০-৩১ অর্থবছরে ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার সাথে ২৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ৫ শতাংশ আয়করসহ প্রায় চার লাখ টাকা জমা দিয়েছি। এই বাজারে দুটি নতুন চালি তৈরি করাসহ অন্যগুলো সংস্কারের জন্য বরাদ্দ দেওয়ার কথা থাকলেও আজ অবধি কোনো কিছু বাস্তবায়ন হয়নি। এই বাজারে মালামাল নিয়ে ভ্যানগাড়ি ঢোকার মতো তেমন কোনো রাস্তাও ইেন। সব কারও না কারও দখলে। এ জন্য অনেক ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হয় ।

কাচামাল ব্যবসায়ীরা বলেন, জীবন জীবিকার জন্য অনেক দূর-দূরান্ত থেকে তারা এই বাজারে আসেন। তবে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তারা বেচাকেনা করেন। স্থানীয়রা বলেন, দেশ স্বাধীনের আগে আমাদের এই বাজারটি শুরু হয়েছিল। অথচ আজ অবধি কোনো উন্নয়ন হয়নি। বর্তমানে কাঁচামালের হাটচালিটির অবস্থা খুবই জরাজীর্ণ। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তাই এই হাটচালি ভেঙে নতুন করে তৈরি করা খুব প্রয়োজন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়াডের্র মেম্বার হাবিবুর রহমান বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমাদের কাছে হাসাদাহ বাজারের হাটচালি সংস্কারের জন্য তথ্য চেয়েছিল। আমরা সেগুলো দিয়েছি। এরপর আর আমরা কিছুই বলতে পারবো না।
জীবননগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আল আমীন বলেন, ‘আমি খুব দ্রুত হাসাদাহ বাজারে গিয়ে বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে পদক্ষেপ নেব।’