ইপেপার । আজ বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

গাংনীতে জমি নিয়ে বিরোধে গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ

প্রতিবেদক, গাংনী:
  • আপলোড টাইম : ০৫:৪৪:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / ১৮ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুরের গাংনীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পান্না খাতুন নামের এক গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। আদালতের রায় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তারা হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে গাংনী উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ ভাড়াটে লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে মনিরুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তার স্ত্রী পান্না খাতুনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তিনি বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন। আহত পান্নার স্বামী মনিরুল ইসলাম জানান, ‘জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আদালতে মামলা চলছিল। অবশেষে আদালত আমার পক্ষে রায় দেন। এতে প্রতিপক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে আমার স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা চালায়।’

প্রতিবেশী আশিক ও শিল্পী খাতুন জানান, মৃত সামছুদ্দিনের ছেলে বদর উদ্দিনের নেতৃত্বে তার ছেলে হাবেল, মাতু, প্রবাসী ইদ্রিস আলীর স্ত্রী তানজিলা খাতুন, হাবেলের স্ত্রী সাথী খাতুন, আজিজুল ইসলামের ছেলে রহমান, রহমানের স্ত্রী অঞ্জনা খাতুন, সলেমানের ছেলে সিদ্দিকুর রহমান ও চাঁন্দুসহ ১০-১২ জন বাঁশের লাঠি ও হাসুয়া নিয়ে মনিরুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা পান্না খাতুনকে মারধর করে এবং হত্যার চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাণের ভয়ে মনিরুল ইসলাম পালিয়ে যান।

মনিরুল ইসলামের ভাই জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিপক্ষ জোরপূর্বক আমার ভাইয়ের বাড়ির প্রবেশপথ বন্ধ করে দিয়েছে। এর আগেও তারা আমাদের পরিবারের সদস্যদের মারধর করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’ এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ বদর উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।

কল্যাণপুর গ্রামের মেম্বার কাউছার আলী জানান, জমি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। আমি শুনেছি, ডাল কাটাকে কেন্দ্র করে পান্না খাতুনকে ডাল দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

গাংনীতে জমি নিয়ে বিরোধে গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৫:৪৪:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মেহেরপুরের গাংনীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পান্না খাতুন নামের এক গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। আদালতের রায় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তারা হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে গাংনী উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ ভাড়াটে লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে মনিরুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তার স্ত্রী পান্না খাতুনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তিনি বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন। আহত পান্নার স্বামী মনিরুল ইসলাম জানান, ‘জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আদালতে মামলা চলছিল। অবশেষে আদালত আমার পক্ষে রায় দেন। এতে প্রতিপক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে আমার স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা চালায়।’

প্রতিবেশী আশিক ও শিল্পী খাতুন জানান, মৃত সামছুদ্দিনের ছেলে বদর উদ্দিনের নেতৃত্বে তার ছেলে হাবেল, মাতু, প্রবাসী ইদ্রিস আলীর স্ত্রী তানজিলা খাতুন, হাবেলের স্ত্রী সাথী খাতুন, আজিজুল ইসলামের ছেলে রহমান, রহমানের স্ত্রী অঞ্জনা খাতুন, সলেমানের ছেলে সিদ্দিকুর রহমান ও চাঁন্দুসহ ১০-১২ জন বাঁশের লাঠি ও হাসুয়া নিয়ে মনিরুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা পান্না খাতুনকে মারধর করে এবং হত্যার চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাণের ভয়ে মনিরুল ইসলাম পালিয়ে যান।

মনিরুল ইসলামের ভাই জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিপক্ষ জোরপূর্বক আমার ভাইয়ের বাড়ির প্রবেশপথ বন্ধ করে দিয়েছে। এর আগেও তারা আমাদের পরিবারের সদস্যদের মারধর করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’ এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ বদর উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।

কল্যাণপুর গ্রামের মেম্বার কাউছার আলী জানান, জমি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। আমি শুনেছি, ডাল কাটাকে কেন্দ্র করে পান্না খাতুনকে ডাল দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’