আলমডাঙ্গায় সড়কে গাছ ফেলে ও বোমা ফাটিয়ে গণডাকাতির ঘটনায়
৪ দিনে মূল হোতাসহ গ্রেপ্তার ৫, অস্ত্র ও টাকা উদ্ধার- আপলোড টাইম : ০৫:০৩:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
- / ১১ বার পড়া হয়েছে
আলমডাঙ্গার শ্রীরামপুর এলাকায় সড়কে গাছ ফেলে ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সংঘবদ্ধ গণডাকাতির ঘটনায় মূল হোতাসহ চার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুটি রাম দা ও লুট হওয়া টাকার মধ্যে ১৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া সড়কের শ্রীরামপুর এলাকায় গাছ ফেলে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় ডাকাতরা। এরপর বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে সংঘবদ্ধ দলটি। রাত ২টা থেকে ভোর ৩টা পর্যন্ত তারা বাস, ট্রাক, পিকআপ, লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সসহ অন্তত ১০টি যানবাহন থামিয়ে নগদ টাকা ও মূল্যবান মালামাল লুট করে। ডাকাতদের হামলায় লাশবাহী একটি অ্যাম্বুলেন্স, কুষ্টিয়া থেকে রোগী রেখে ফেরার পথে দুটি অ্যাম্বুলেন্স, ছয়টি ট্রাক ও একটি পিকআপ ডাকাতির শিকার হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কুষ্টিয়ার ড্রাম ট্রাকচালক মিতুল বাদী হয়ে গত বুধবার দুপুরে আলমডাঙ্গা থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেন। মামলা হওয়ার মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে মূল হোতা বাইতুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর চার দিনের ব্যবধানে আরও চার ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নের মাজু গ্রামের মৃত বোরহান আলীর ছেলে বাইতুল ইসলাম (৪৫), বকশিপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে লিটন আলী (৩২), একই গ্রামের মোসলেম মণ্ডলের ছেলে কেরামত আলী (৫০), মৃত হারান মণ্ডলের ছেলে তমছের আলী (৫২) ও নবীছ উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে আশিক রানা (৪৫)।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, ‘গণডাকাতির ঘটনায় মামলা হওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যেই মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরবর্তী চার দিনের মধ্যে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে দুটি রামদা ও ডাকাতির ১৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।’ তিনি জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ডাকাতির ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যহত রয়েছে।