ইপেপার । আজ রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় কমেছে শীতের তীব্রতা, সর্বনিম্ন ১৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড

সহনশীল তাপমাত্রায় জনজীবনে স্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৫:০২:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / ১২ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় শীতের তীব্রতা কমেছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ছয়টায় ও নয়টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ৯৫ শতাংশ এবং সব্বোর্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা আগের দিন বুধবার ছিল ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি। এর আগে মঙ্গলবার সকালে এটি ছিল ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি, আর ২০ জানুয়ারিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি। অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা অনেকটাই কমে গেছে। সন্ধ্যার পরও মানুষজন হাফহাতা গেঞ্জি বা পাতলা পোশাক পরে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, আকাশে মেঘ থাকায় তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। পশ্চিম দিক থেকে আসা মেঘের কারণে উত্তরের হিমেল বাতাস বাধাগ্রস্ত হওয়ায় শীত কমে গেছে। এদিকে, হঠাৎ তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। রাস্তায় হালকা গেঞ্জি পরে চলাফেরা করা শ্রমিক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত কয়েকদিন প্রচণ্ড ঠান্ডায় কাজে যেতে কষ্ট হচ্ছিল। এখন গরমের অনুভূতি বেশি, শরীরে একটা স্বস্তি লাগছে।’ একজন ভ্যানচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে শীত একটু টের পাওয়া গেলেও দুপুরের পর থেকে ঠান্ডা লাগে না। এখন তো প্রায় গরমই লাগছে।’

কৃষক আব্দুল মালেক জানান, ‘ঠান্ডার কারণে মাঠে কাজ করা কষ্টকর হচ্ছিল, কিন্তু এখন আবহাওয়া সহনীয় হওয়ায় ঠিকমতো কাজ করা যাচ্ছে। তবে আবার ঠান্ডা পড়বে কি না, সেটাই চিন্তার বিষয়।’ শহরের কোর্ট মোড়ের নিক্সন পট্টির একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘শীতের কাপড়ের বিক্রি এখন কমে গেছে। কয়েকদিন আগেও অনেকে গরম কাপড় কিনছিল, এখন মানুষ হালকা পোশাকেই স্বস্তি পাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে বিক্রি কমে যাবে। আমাদেরও মৌসুমী এই দোকান গুটিয়ে নিতে হবে।’

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল ইসলাম জানান, ‘শীতের প্রকোপ কিছুটা কমলেও আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে মেঘ কেটে যাওয়ায় আবহাওয়া আবারও পরিবর্তন হতে পারে। এসময় তাপমাত্রা কমে ১৪-১৫ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানাম করবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গায় কমেছে শীতের তীব্রতা, সর্বনিম্ন ১৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড

সহনশীল তাপমাত্রায় জনজীবনে স্বস্তি

আপলোড টাইম : ০৫:০২:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় শীতের তীব্রতা কমেছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ছয়টায় ও নয়টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ৯৫ শতাংশ এবং সব্বোর্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা আগের দিন বুধবার ছিল ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি। এর আগে মঙ্গলবার সকালে এটি ছিল ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি, আর ২০ জানুয়ারিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি। অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা অনেকটাই কমে গেছে। সন্ধ্যার পরও মানুষজন হাফহাতা গেঞ্জি বা পাতলা পোশাক পরে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, আকাশে মেঘ থাকায় তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। পশ্চিম দিক থেকে আসা মেঘের কারণে উত্তরের হিমেল বাতাস বাধাগ্রস্ত হওয়ায় শীত কমে গেছে। এদিকে, হঠাৎ তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। রাস্তায় হালকা গেঞ্জি পরে চলাফেরা করা শ্রমিক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত কয়েকদিন প্রচণ্ড ঠান্ডায় কাজে যেতে কষ্ট হচ্ছিল। এখন গরমের অনুভূতি বেশি, শরীরে একটা স্বস্তি লাগছে।’ একজন ভ্যানচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে শীত একটু টের পাওয়া গেলেও দুপুরের পর থেকে ঠান্ডা লাগে না। এখন তো প্রায় গরমই লাগছে।’

কৃষক আব্দুল মালেক জানান, ‘ঠান্ডার কারণে মাঠে কাজ করা কষ্টকর হচ্ছিল, কিন্তু এখন আবহাওয়া সহনীয় হওয়ায় ঠিকমতো কাজ করা যাচ্ছে। তবে আবার ঠান্ডা পড়বে কি না, সেটাই চিন্তার বিষয়।’ শহরের কোর্ট মোড়ের নিক্সন পট্টির একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘শীতের কাপড়ের বিক্রি এখন কমে গেছে। কয়েকদিন আগেও অনেকে গরম কাপড় কিনছিল, এখন মানুষ হালকা পোশাকেই স্বস্তি পাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে বিক্রি কমে যাবে। আমাদেরও মৌসুমী এই দোকান গুটিয়ে নিতে হবে।’

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল ইসলাম জানান, ‘শীতের প্রকোপ কিছুটা কমলেও আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে মেঘ কেটে যাওয়ায় আবহাওয়া আবারও পরিবর্তন হতে পারে। এসময় তাপমাত্রা কমে ১৪-১৫ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানাম করবে।’