ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ঝিনাইদহে হত্যার ১১ দিন পর মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪

নেশার টাকা জোগাড় করতে খু*ন করা হয় রুবেলকে

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১১:২৬:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে

নিখোঁজের ৭ দিন পর সেফটি ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া রফিকুল ইসলাম রুবেলের চার খুনিকে গ্রেপ্তার করেছে ঝিনাইদহ ডিবি পুলিশ। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাদপুকুরিয়া গ্রাম থেকে গত ১৮ জানুয়ারি রুবেলের লাশ উদ্ধারসহ বাদপুকুরিয়া গ্রামের মিণ্টুর ছেলে সাগরকে আটক করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঝিনাইদহ ডিবি পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল সদর উপজেলার বাদপুকুরিয়া গ্রামের সোলাইমানের ছেলে শাহিন, শহিদুলের ছেলে টুটুল, ও ইছাহাকের ছেলে টগরকে গ্রেপ্তার করে।

নেশার টাকা জোগাড় করতে রুবেলকে অপহরণ করেছিল আসামিরা। এরপর রুবেলকে একটি পরিত্যক্ত ঘরে মুখ বেঁধে রেখে দিলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। রুবেলের মৃত্যুর পর তার লাশ গুম করার জন্য একই গ্রামের একটি সেফটি ট্যাংকের মধ্যে লুকেয়ে রাখে তারা। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে স্বীকারোক্তি জবানবন্দিতে এসব তথ্য দিয়েছেন। এরই মধ্যদিয়ে সাগর হত্যার মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার করলো পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার মধ্যরাতে নরসিংদী জেলার চর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার অন্যতম আসামি টগরকে গ্রেপ্তার করে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল। এ অভিযানে এসআই খালিদ হাসান, এসআই হাফিজুর রহমান, এসআই আনিছুর রহমান ও এএসআই ইকলাছুর রহমান নেতৃত্ব দেন।

রুবেলের ফুপু ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আম্বিয়া আক্তার লাকি জানান, শুনছি নেশার টাকার জন্য তার ভাতিজাকে হত্যা করা হয়েছে। মামলার বাদী নিহতের ভাই আশিকুর রহমান মিঠুন জানান, মামলায় যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা সবাই নেশাগ্রস্ত ও এলাকায় চুরির সঙ্গে জড়িত। তারাই তার ভাইকে নেশার টাকার জন্য হত্যা করেছে।

বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. ইমরান জাকারিয়া গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জানান, আসামিরা সবাই মাদকাসক্ত। ভিটকিম রুবেলের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ নেওয়ার জন্য আসামিরা একত্রে পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক রুবেলকে গত ১১ জানুয়ারি অপহরণ করে হাত, পা ও মুখ বেঁধে আসামি শাহিনের পরিত্যক্ত বাড়ির একটি কক্ষে ফেলে রাখে। মুক্তিপণের টাকা দাবির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হওয়ায় আসামিরা সম্মিলিতভাবে রুবেলকে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য শাহিনের পরিত্যক্ত বাড়ির পিছনের সেফটি ট্যাংকের মধ্যে ঢুকিয়ে রাখে। আসামিদের প্রদত্ত তথ্য মোতাবেক সাইবার টিম সংশ্লিষ্ট সকল আলামত উদ্ধার করেছে বলেও তিনি জানান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

ঝিনাইদহে হত্যার ১১ দিন পর মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪

নেশার টাকা জোগাড় করতে খু*ন করা হয় রুবেলকে

আপলোড টাইম : ১১:২৬:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

নিখোঁজের ৭ দিন পর সেফটি ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া রফিকুল ইসলাম রুবেলের চার খুনিকে গ্রেপ্তার করেছে ঝিনাইদহ ডিবি পুলিশ। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাদপুকুরিয়া গ্রাম থেকে গত ১৮ জানুয়ারি রুবেলের লাশ উদ্ধারসহ বাদপুকুরিয়া গ্রামের মিণ্টুর ছেলে সাগরকে আটক করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঝিনাইদহ ডিবি পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল সদর উপজেলার বাদপুকুরিয়া গ্রামের সোলাইমানের ছেলে শাহিন, শহিদুলের ছেলে টুটুল, ও ইছাহাকের ছেলে টগরকে গ্রেপ্তার করে।

নেশার টাকা জোগাড় করতে রুবেলকে অপহরণ করেছিল আসামিরা। এরপর রুবেলকে একটি পরিত্যক্ত ঘরে মুখ বেঁধে রেখে দিলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। রুবেলের মৃত্যুর পর তার লাশ গুম করার জন্য একই গ্রামের একটি সেফটি ট্যাংকের মধ্যে লুকেয়ে রাখে তারা। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে স্বীকারোক্তি জবানবন্দিতে এসব তথ্য দিয়েছেন। এরই মধ্যদিয়ে সাগর হত্যার মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার করলো পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার মধ্যরাতে নরসিংদী জেলার চর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার অন্যতম আসামি টগরকে গ্রেপ্তার করে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল। এ অভিযানে এসআই খালিদ হাসান, এসআই হাফিজুর রহমান, এসআই আনিছুর রহমান ও এএসআই ইকলাছুর রহমান নেতৃত্ব দেন।

রুবেলের ফুপু ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আম্বিয়া আক্তার লাকি জানান, শুনছি নেশার টাকার জন্য তার ভাতিজাকে হত্যা করা হয়েছে। মামলার বাদী নিহতের ভাই আশিকুর রহমান মিঠুন জানান, মামলায় যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা সবাই নেশাগ্রস্ত ও এলাকায় চুরির সঙ্গে জড়িত। তারাই তার ভাইকে নেশার টাকার জন্য হত্যা করেছে।

বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. ইমরান জাকারিয়া গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জানান, আসামিরা সবাই মাদকাসক্ত। ভিটকিম রুবেলের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ নেওয়ার জন্য আসামিরা একত্রে পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক রুবেলকে গত ১১ জানুয়ারি অপহরণ করে হাত, পা ও মুখ বেঁধে আসামি শাহিনের পরিত্যক্ত বাড়ির একটি কক্ষে ফেলে রাখে। মুক্তিপণের টাকা দাবির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হওয়ায় আসামিরা সম্মিলিতভাবে রুবেলকে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য শাহিনের পরিত্যক্ত বাড়ির পিছনের সেফটি ট্যাংকের মধ্যে ঢুকিয়ে রাখে। আসামিদের প্রদত্ত তথ্য মোতাবেক সাইবার টিম সংশ্লিষ্ট সকল আলামত উদ্ধার করেছে বলেও তিনি জানান।