বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর বজলুল হুদার শাহাদাতবার্ষিকী পালন
- আপলোড টাইম : ১০:২০:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
- / ১৪ বার পড়া হয়েছে
দীর্ঘ ১৫ বছর পর পরিবার ও এলাকাবাসী মেহেরপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর বজলুল হুদার ১৫তম শাহাদাতার্ষিকী উপলক্ষে কবর জিয়ারত, আলোচনা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ফজরের নামাজের পর নগর বোয়ালিয়া ও হাটবোয়ালিয়া কেন্দ্রীয় কবরস্থানে মেজর বজলুল হুদার স্বজনেরা ও এলাকাবাসী সমবেত হয়ে কবর জিয়ারত ও দোয়া করেন। সকাল ৮টায় মেজর হুদার বাড়ি বাংলাদেশ হাউসের সামনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম মাস্টার প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি মেজর হুদাসহ কর্নেল ফারুক, কর্নেল শাহরিয়ার, কর্নেল এ কে মহিউদ্দীনকে ফাঁসির মাধ্যমে হত্যা করা হয়। তবে মেজর হুদার লাশ দেখে বুঝা গেছে তাকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের জন্য খুনি হাসিনার বিচার চাই।’
এলাকাবাসী অনেকে জানান, ১৯৭৫ সালের মার্চ মাসের দিকে স্থানীয় যুবলীগ নেতাদের সঙ্গে একটি বিষয় নিয়ে মেজর হুদার সাথে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। সে সময় তিনি বলেছিলেন, এবার বাড়ি আসার আগে সব শেষ করে তবেই বাড়ি আসবো। এছাড়া সকাল ৯টায় হাটবোয়ালিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা মুফতি সাঈদ হাসান সালিম।
উল্লেখ্য, স্বদেশের টানে জীবনের মায়া তুচ্ছ করে ১৯৭১ সালে পশ্চিম পাকিস্তানের দুর্গম সীমান্ত অতিক্রম করে মহান মুক্তিযুদ্ধে যোগদান ও ২ নম্বর সেক্টর ‘কে’ ফোর্সের অধীনে অসম সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ পরিচালনাকারী সামরিক এই কর্মকর্তা। ১৯৮৮ সালে চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফ্রিডম পার্টির হয়ে মেহেরপুর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন বজলুল হুদা।