ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

কার্পাসডাঙ্গায় মার্শাল কোম্পানির ওরাকল কীটনাশকে পেঁয়াজে ক্ষতি

ক্ষতিপূরণের আশ্বাসে দেরি, চাষিদের ক্ষোভ

সমীকরণ প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১০:১২:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১৭ বার পড়া হয়েছে

দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের জাহাজপোতা গ্রামে মার্শাল কোম্পানির কীটনাশক ওকরাল প্রয়োগের ফলে পেঁয়াজ চাষে ব্যাপক ক্ষতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় কৃষকদের দাবি, কীটনাশক ব্যবহারের পর তাদের পেঁয়াজ খেত পুড়ে গেছে, যার ফলে বিপুল আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

জাহাজপোতার কৃষক সেলিম ও রাজ্জাক জানান, তারা তাদের জমিতে মার্শাল কোম্পানির কীটনাশক ব্যবহার করার পর খেত নষ্ট হয়ে যায়। সেলিমের দাবি, তিনি তিন বিঘা জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করে প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তিনি আরও জানান, কীটনাশকটি হরিরামপুর গ্রামের আরিফুল ইসলামের দোকান থেকে কিনেছিলেন। কৃষক সেলিম বলেন, ‘কোম্পানির প্রতিনিধিরা ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ক্ষতিপূরণ না পেলে আমি উচ্চ পর্যায়ে অভিযোগ করব।’

এ বিষয়ে দোকানি আরিফুল ইসলাম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিষয়ে কোম্পানি তালিকা তৈরি করেছে এবং ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে কোম্পানির টিম ডিলার হাসিবুর রহমান ও ফিল্ড অফিসার আরিফ হোসেনের দাবি, বিষয়টি তদন্তাধীন। তারা বলেন, কীটনাশক আসলেই ক্ষতির জন্য দায়ী কি না, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে।

কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমরা মাঠে তদন্ত করেছি এবং কোম্পানিকে ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছি। ক্ষতিপূরণ না দিলে কৃষকদের উপজেলা অফিসে লিখিত অভিযোগ করতে বলেছি। আমরা তাদের পাশে আছি।’

জাহাজপোতা ও আশেপাশের চাষিরা জানান, গ্রামের বিভিন্ন চাষিদের ২৫ বিঘার বেশি জমির পেঁয়াজ খেত পুড়ে গেছে। তারা কোম্পানির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং কৃষকদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানিয়েছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

কার্পাসডাঙ্গায় মার্শাল কোম্পানির ওরাকল কীটনাশকে পেঁয়াজে ক্ষতি

ক্ষতিপূরণের আশ্বাসে দেরি, চাষিদের ক্ষোভ

আপলোড টাইম : ১০:১২:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের জাহাজপোতা গ্রামে মার্শাল কোম্পানির কীটনাশক ওকরাল প্রয়োগের ফলে পেঁয়াজ চাষে ব্যাপক ক্ষতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় কৃষকদের দাবি, কীটনাশক ব্যবহারের পর তাদের পেঁয়াজ খেত পুড়ে গেছে, যার ফলে বিপুল আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

জাহাজপোতার কৃষক সেলিম ও রাজ্জাক জানান, তারা তাদের জমিতে মার্শাল কোম্পানির কীটনাশক ব্যবহার করার পর খেত নষ্ট হয়ে যায়। সেলিমের দাবি, তিনি তিন বিঘা জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করে প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তিনি আরও জানান, কীটনাশকটি হরিরামপুর গ্রামের আরিফুল ইসলামের দোকান থেকে কিনেছিলেন। কৃষক সেলিম বলেন, ‘কোম্পানির প্রতিনিধিরা ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ক্ষতিপূরণ না পেলে আমি উচ্চ পর্যায়ে অভিযোগ করব।’

এ বিষয়ে দোকানি আরিফুল ইসলাম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিষয়ে কোম্পানি তালিকা তৈরি করেছে এবং ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে কোম্পানির টিম ডিলার হাসিবুর রহমান ও ফিল্ড অফিসার আরিফ হোসেনের দাবি, বিষয়টি তদন্তাধীন। তারা বলেন, কীটনাশক আসলেই ক্ষতির জন্য দায়ী কি না, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে।

কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমরা মাঠে তদন্ত করেছি এবং কোম্পানিকে ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছি। ক্ষতিপূরণ না দিলে কৃষকদের উপজেলা অফিসে লিখিত অভিযোগ করতে বলেছি। আমরা তাদের পাশে আছি।’

জাহাজপোতা ও আশেপাশের চাষিরা জানান, গ্রামের বিভিন্ন চাষিদের ২৫ বিঘার বেশি জমির পেঁয়াজ খেত পুড়ে গেছে। তারা কোম্পানির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং কৃষকদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানিয়েছেন।