আলমডাঙ্গার নাগদাহে আত্মবিশ্বাসের আয়োজনে দিনব্যাপী পুষ্টি সচেতনতা ও শিখন মেলা
‘গ্রামীণ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সচেতন করবে এ মেলা’
- আপলোড টাইম : ১০:০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৪৩ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গায় আত্মবিশ্বাসের আয়োজনে দিনব্যাপী পুষ্টি সচেতনতা ও শিখন মেলা-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার আলমডাঙ্গার নাগদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ‘নিরাপদ মৎস্য ও মৎস্য পণ্য উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণ’ শীর্ষক ভ্যালু চেইন উপ-প্রকল্পের আওতায় পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর সহযোগিতায় এ মেলার আয়োজন করা হয়। মেলা উপলক্ষে সকালে নাগদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গন থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে ইউনিয়নের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ শেষে পুনরায় একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা দীপক কুমার পাল মেলার উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আত্মবিশ্বাসের নির্বাহী পরিচালক মো. আকরামুল হক বিশ্বাস, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) দেবাশীষ কুমার দাস, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবু তালেব, পিকেএসএফ-এর ভ্যালু চেইন প্রজেক্ট ম্যানেজার পঙ্কজ কুণ্ডু ও এমএমসি এন্টারপ্রাইজের সেলস ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
নাগদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনন্দ কুমার শীলের সভাপতিত্বে ও আত্মবিশ্বাসের এমআইএস অফিসার জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন আত্মবিশ্বাসের পরিচালক রফিকুল হাসান জোয়ার্দ্দার, সহকারী পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) আক্কাস আলী, সহকারী পরিচালক (মাইক্রোকেডিট) একেএম হাসানুজ্জামান, সহকারী পরিচালক আবু সাদাত রিমু, প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহ্ আলম আলো প্রমুখ। মেলায় পুষ্টি সচেতনতা বিষয়ক ১২টি স্টলে পুষ্টিকর খাবার, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পসহ মাছের তৈরি নানা পুষ্টিকর খাবার ছিল। বিনামূল্যে বিতরণ করা হয় স্যালাইন, স্যানেটারি ন্যাপকিনসহ বিভিন্ন চিকিৎসা-সামগ্রী। দুপুরের পরে চুয়াডাঙ্গার অরিন্দম সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিবেশনায় পুষ্টি সচেতনতায় নাটক এবং খুলনার রুপান্তরের পরিবেশনায় পট গান সকলের মন জয় করে। পরে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্রও বিতরণ করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা দীপক কুমার পাল বলেন, মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সুষম পুষ্টি প্রয়োজন। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও গর্ভবতী মায়েদের জন্য সুষম পুষ্টি অতি দরকারি। এমন মেলা গ্রামীণ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের সচেতন করবে বলে মত প্রকাশ করেন এই কর্মকর্তা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আত্মবিশ্বাসের নির্বাহী পরিচালক মো. আকরামুল হক বিশ্বাস বলেন, মেলার স্টল থেকে জনসাধারণের মধ্যে পুষ্টি ও খাদ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে, জনগণের মধ্যে পুষ্টি সম্পর্কে জ্ঞান বাড়িয়ে দেওয়া, পুষ্টি সম্পর্কে ভুল ধারণা, ত্রুটিপূর্ণ খাদ্য অভ্যাস ও কুসংস্কার প্রভৃতি সম্পর্কে জানানো হচ্ছে। এ মেলার মূল উদ্দেশ্য হলো শিশুর খাদ্যের পাশাপাশি সব বয়সের মানুষের মধ্যে পুষ্টি সমৃদ্ধ করা। পুষ্টিকর খাবার কী ও কীভাবে তৈরি করতে হবে এবং এর গুনাগুণ সম্পর্কেও মেলায় আগত শিশুদের মায়েদের উপস্থিত ধারণা দেয়া হয়। মেলায় পুষ্টিকর খাবারের প্রদর্শনী করা হয়। মূলত পুষ্টি জ্ঞান সম্পর্কে সম্মুখ ধারণা, পুষ্টি বিষয়ক দক্ষতা ও সচেতনতা সৃষ্টির জন্যই এ পুষ্টি মেলার আয়োজন।