চুয়াডাঙ্গার মহাম্মদজমায় তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে বিএনপি নেতা শরীফুজ্জামান
সমাজের নৈতিক অধঃপতন রোধে কুরআনের আলো ছড়িয়ে দিতে হবে
- আপলোড টাইম : ১১:০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৭ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গা সদরের মহাম্মদজমা গ্রামে তাফসিরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বাদ এশা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের মহাম্মজুম্মা মদিনাতুল উলুম নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের উদ্যোগে এই মাহফিলের আয়োজন করা হয়। কৃষিবিদ আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে মাহফিলে প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘কুরআন মানুষের জীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। কুরআনের শিক্ষা শুধু ব্যক্তিগত জীবনের জন্য নয়, বরং সামাজিক, অর্থনৈতিক, এবং রাষ্ট্রীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক। বর্তমান সমাজের নৈতিক অধঃপতন রোধে কুরআনের আলো ছড়িয়ে দিতে হবে। আমাদের জীবনকে কুরআনের শিক্ষায় আলোকিত করে সৎ এবং ন্যায়নিষ্ঠ পথে পরিচালিত করতে হবে। তাফসিরুল কোরআন মাহফিল কুরআনের প্রকৃত বার্তা সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এ ধরনের আয়োজন সমাজে ঐক্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখে। আমি সবাইকে কুরআন অধ্যয়ন এবং তা মেনে চলার আহ্বান জানাই।’
বক্তব্যের শুরুতে শরীফুজ্জামান জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান শহিদদের স্মরণ করে বলেন, ‘তাদের প্রতি আমাদের চিরঋণী থাকতে হবে, তারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে আমাদের কথা বলার স্বাধীনতা থেকে মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে ভূমিকা রেখেছেন। আমরা তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং তাদের ত্যাগকে চিরদিন স্মরণ রাখব।’ তিনি উল্লেখ করেন, ‘পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের স্বৈরাচারী কর্মকাণ্ড দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। শেখ হাসিনার একনায়কতন্ত্রের শাসনামলে জনগণের কথা বলার স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। বিগত ১৬ বছরে দেশ পরিচালনায় শেখ হাসিনা যে চরম ব্যর্থ হয়েছে, ৫ আগস্ট তার পলায়ন ইতিহাসে লেখা থাকবে।’
শরীফুজ্জামান আরও বলেন, ‘আগামী বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিএনপির ভূমিকা হবে অগ্রগণ্য। তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা একটি গণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ, এবং সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ার প্রত্যাশা করি। আমাদের কথা বলার অধিকার, ভোটের অধিকার এবং জনগণের ন্যায্য দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে কুরআন ও হাদিসের আলোকে তাফসির পেশ করেন মাওলানা আজিজুল ইসলাম জিহাদী। দ্বিতীয় বক্তা ছিলেন মাওলানা আবুজার গিফারী এবং বিশেষ বক্তা ছিলেন হাফেজ আব্দুল জলিল হাওদার। মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিমুল হাবিব সেলিম, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান সাদিদ এবং জেলা ট্রাঙ্কলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. রাশেদুল ইসলাম রাশেদ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল মালিক সুজন, জেলা মৎস্যজীবী দলের সাবেক আহ্বায়ক আবু বকর সিদ্দিক বকুল, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম, মো. ফারুক হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান মো. নরুল ইসলাম নুরু, থানা যুবদলের সাবেক সদস্য মো. মনিরুল ইসলাম অনিক, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মো. নুরুল ইসলাম। মাহফিল পরিচালনা করেন জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি আশিকুর রহমান আশিক। মাহফিলে মনসুর, রহিম, হাসমতসহ স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ অংশগ্রহণ করেন।