মেহেরপুরে আ. লীগের নেতা-কর্মীসহ গ্রেপ্তার ৭
- আপলোড টাইম : ০৯:০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
- / ১৫ বার পড়া হয়েছে
বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়িঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে দায়ের করা মামলার পলাতক ছয় আসামিকে ও অপর একটি মামলায় আদালতের পরোয়ানাভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে মেহেরপুর সদর থানা-পুলিশ। গতকাল শনিবার ভোরে পুলিশের একটি দল পিরোজপুর গ্রাম ঘেরাও করে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। মেহেরপুর সদর থানার ওসি সেখ মেসবাহ উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পিরোজপুর গ্রামের শিশুপাড়া এলাকার আব্দুল আওয়ালের ছেলে সিআর ৮৮৬/২৪ মামলার পলাতক আসামি মো. মিকাইল (৩০), একই এলাকার একই মামলার অপর আসামি যথাক্রমে খোকন সর্দারের ছেলে মো. মেহেদী (২২), আনসার আলীর ছেলে আকিজুল ইসলাম (২২), মৃত উকিল হোসেনের ছেলে আজাহার (৪৮), আসকর আলীর ছেলে মতিউর (৪৫), খোকন হোসেনের ছেলে সাইদুল ইসলাম (৩২) ও একই গ্রামের মৃত খোকন আলীর ছেলে সিআর ১১৭৫/২৪ নং মামলার আদালতের পরোয়ানাভুক্ত পলাতক মোহাম্মদ ইয়াছিন (৪৫)।
মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মেসবাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এসআই প্রহলাদ রায়, এসআই মো. নাহিরুল ইসলাম, এসআই উজ্জল হোসেন, এসআই জহুরুল ইসলাম, এসআই বিএম রানা, এসআই স্বপন মন্ডল, এএসআই মো. মাহবুব আলম, এএসআই মো. মিরাজুল ইসলাম, এএসআই মো. শফিকুল ইসলাম, এএসআই মো. আশরাফুল আলম, এএসআই মো. গোলাম হোসেন, এএসআই মনিরুজ্জামানসহ সঙ্গীয় ফোর্স গ্রেপ্তার অভিযানে অংশ নেন।
ওসি সেখ মেসবাহ উদ্দিন জানান, শনিবার বিকেলে গেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত আগস্টের ৭ আসামিরা পিরোজপুর গ্রামের বিএনপির ৩০টি ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি নেতা দয়াল হোসেন বাদি হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালামকে প্রধান আসামি করে ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকেই এসব আসামিরা পলাতক ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ভগ্নিপতি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস তার শ্যালক মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ক্ষমতায় ওই এলাকার বিএনপি-জামায়াতের শত শত নেতা-কর্মী বাড়ি ছাড়া করেছিলেন। বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল জরিমানাসহ সারাবছর বাড়ি ঘরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ চালাতেন। ৫ আগস্ট প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পরপরই বাবলু বিশ্বাস ও তার কাছের ক্যাডাররা এলাকা ছাড়া হয়ে যান। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর হামলা মামলায় গ্রেপ্তার হন বাবলু বিশ্বাস, তার তার স্ত্রী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শামীম আরা হিরা, শ্যালক সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। শামীম আরা হিরা জামিনে মুক্ত হলেও বর্তমানে বাবলু বিশ্বাস ও মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এখনো জেলে রয়েছেন।