ঝিনাইদহে পরকীয়ার জেরে প্রবাসীর স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু
আদালতে মামলা, চিকিৎসক পলাতক
- আপলোড টাইম : ১২:৩২:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
- / ২৪ বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইদহে পরকীয়ার জেরে প্রবাসীর স্ত্রীর মৃত্যু নিয়ে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত গ্রাম্য চিকিৎসক মুক্তার শেখ। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শৈলকুপা আমলি আদালতের বিচারক ফারুক আযম এ আদেশ দেন। গৃহবধূ সোনিয়া খাতুনের মামা শ্বশুর মুক্তার হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার আবাইপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী সোনিয়া খাতুন দুই সন্তান নিয়ে গ্রামে বসবাস করতেন। চিকিৎসার অজুহাতে শৈলকুপার লক্ষণদিয়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক মুক্তার আলী শেখ প্রায়ই তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। এই আসা-যাওয়ার সূত্র ধরে সোনিয়া খাতুন ও মুক্তার শেখের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে মুক্তার শেখকে আপত্তিকর অবস্থায় গ্রামবাসী আটক করে এবং উত্তম-মধ্যম দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। এরপর মুক্তার শেখ ঝিনাইদহ শহরের কালিকাপুর এলাকায় একটি বাসা ভাড়া করে দেন সোনিয়া খাতুনকে। সেখানে তিনি কয়েক মাস আসা-যাওয়া করতেন। গত ১৮ জানুয়ারি শনিবার রাতে মুক্তার শেখ কালিকাপুরের বাসায় যান। ভোররাতে সোনিয়ার সন্তানরা তাকে রুমের মধ্যে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পায় এবং প্রতিবেশীদের খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে।
মামলার বাদী মুক্তার হোসেন অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন পল্লী চিকিৎসক মুক্তার শেখ কালিকাপুরের বাসায় ছিলেন। তাদের সন্দেহ, মুক্তার শেখ পরকীয়া সম্পর্ক রাখতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে সোনিয়াকে হত্যা করে এবং লাশ ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যান।
বক্তব্য জানতে পল্লী চিকিৎসক মুক্তার শেখের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. আমিনুর ইসলাম বলেন, ‘আমরা আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছি। তদন্তে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে আমরা আশাবাদী।’