আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির কার্যালয়ের উদ্বোধনকালে শরীফুজ্জামান
দলে কোনো চাঁদাবাজ ও ভূমি দখলকারীর জায়গা হবে না
- আপলোড টাইম : ১০:৪৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
- / ১৭ বার পড়া হয়েছে
আলমডাঙ্গায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির উপজেলা ও পৌর শাখার প্রধান কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় আলমডাঙ্গা পৌর শহরের আলিফ উদ্দিন রোডে বিএনপির আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর শাখা কার্যালয়ের প্রধান ফটকের ফিতা কেটে এবং জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে এই কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়।
আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আক্তার হোসেন জোয়ার্দ্দারের সভাপতিত্বে উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ। এসময় তিনি বলেন, ‘আজ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর শাখার প্রধান কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন হলো। এখন থেকে এই কার্যালয়ের মাধ্যমেই পৌর ও উপজেলা বিএনপিসহ বিএনপির সকল অঙ্গসংগঠনের সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন আমরা সকলেই শহিদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক। আমরা দেশনায়ক তারেক রহমানের সৈনিক। আমাদের সকলের চিন্তাধারা পথচলা হতে হবে শহিদ জিয়ার আদর্শের। আমাদের সকলের পথচলা হতে হবে তারেক জিয়ার আদর্শের। আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল শান্তিতে বিশ্বাসী। আমরা চাঁদাবাজি, রাহাজানি, জমি দখল, ভূমিদস্যুতাই বিশ্বাসী নই। তাই আমাদের সকলকে সমাজের সকল অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরোধী ঢাল হিসেবে কাজ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি কঠিন নির্বাচন হবে। এখানে দিনের ভোট রাতে হবে না। একজনের ভোট অন্যজন দিতে পারবে না। যার যার ভোট যাকে খুশি তাকে দিতে পারবে। তাই আমাদের সকলের একটাই কাজ হবে জনগণের কাছে যাওয়া। জনগণের কল্যাণকর সকল ভালো কাজের সাথে সম্পৃক্ত হওয়া, সুখে দুঃখে মানুষের কাছে দাঁড়িয়ে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়া। বাংলাদেশের মানুষ শহিদ জিয়াউর রহমানকে ভালোবাসে, জিয়াউর রহমানের আদর্শকে ভালোবাসে, আমাদের সকলকেই শহিদ জিয়াউর রহমানের আদর্শে আদর্শিত হয়ে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে হবে। তাহলেই আগামী নির্বাচনে ভোট যুদ্ধে ব্যালটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ আমাদেরকে নির্বাচিত করবে।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সকলেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সৈনিক। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল সাংগঠনিকভাবে যাকে মনোনয়ন দেবেন, যার হাতে ধানের শীষ প্রতীক তুলে দেবে, আমাদের সকলকেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নির্বাচনের মাঠে কাজ করে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করাতে হবে। এখানে কোনো ব্যক্তির বিজয় নেই, এখানে জাতীয়তাবাদী দলের প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতেই আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি নিজেদের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতা-কর্মী ভেবে থাকেন, তবে আপনারা একে অপরের দিকে কাদা ছোড়াছুড়ি, ফেসবুকে বিভিন্ন লেখালেখি, একেকজনের নামে নানা প্রকার অপপ্রচার চালানো থেকে বিরত থাকুন।’ তিনি সংগঠনের নেতা-কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল শান্তি-শৃঙ্খলায় বিশ্বাসী। এই দলে কোনো চাঁদাবাজ, বোমাবাজ, বা ভূমি দখলকারীর জায়গা হবে না। আপনারা সকলেই সোচ্চার হয়ে যান, যার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া যাবে, তার বিরুদ্ধেই সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সে যেই হোন, আর যত বড় নেতাই হোন, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার কাছে ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, নেতার চেয়ে কর্মী বড়। তাই আপনারা একেকজন পদ-পদবি নিয়ে সাধারণ কর্মীদের অবমূল্যায়ন করলে, আমি কিন্তু তা মেনে নেব না। আমি পদপ্রাপ্ত নেতাদের নেতা হতে চাই না, আমি সাধারণ জনগণ ও সাধারণ কর্মীদের নেতা হতে চাই।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম পিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ মিল্টন, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকন, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিণ্টু, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টু, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক পল্টু, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মোকাররম হোসেন, কৃষক দলের সদস্যসচিব ও বাড়াদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোবারক হোসেন।
আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের উপস্থাপনায় বক্তব্য দেন জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ মোহাম্মদ রাজিব খান, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মহাবুল হক মহাবুব, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাফিজুর রহমান মুক্ত, জেলা মৎস্যজীবী দলের সাবেক আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক বকুল, জেলা যুবদলের গ্রামবিষয়ক সম্পাদক ইকরামুল হক ইকরা, উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক জামাল সাদিক পিণ্টু, সদস্যসচিব ডা. ইদ্রিসুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক হাজী মকবুল হোসেন, পৌর বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক মহাবুল হক মাস্টার, আসিফ আল নুর তামিম, মকলেছুর রহমান মিলন, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আজগর সাচ্চু, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক রাশেদুল ইসলাম, পৌর কৃষক দলের সভাপতি মামুন, সদস্যসচিব প্রিন্স, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সম্পাদকের মধ্যে আবদার আলী, বুলবুল সিরাজি সালাম, আলম শাহ, পলাশ আহমেদ, আমজাদ হোসেন, কামাল হোসেন, আইনাল হক, আলমগীর হোসেন লালন, রফিকুল ইসলাম, আবু বকর সিদ্দিক, আব্দুর রশিদ, আব্দুর রাজ্জাক রাজা, ইউপি চেয়ারম্যান মিনাজ উদ্দিন বিশ্বাস, হারুন অর রশিদ, রাজিব ফেরদৌস পাপেন, মহসিন আলী, সেরেগুল ইসলাম, লালন মিয়া, সেলিম উদ্দিন, আইনাল হক, টিপু সুলতান, আতাউল হুদা, মনির উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান বকুল, শুকুর আলী, সাহীদুদ্দোজা মিল্টন, আলাউদ্দিন খান, বোরহান উদ্দিন, শাহিন রেজা, পৌর মহিলা দলের আহ্বায়ক জিনিয়া পারভীন, পৌর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সম্পাদকের মধ্যে রহিদুল ইসলাম, ওহিদুল ইসলাম বাবু, হাফিজুর রহমান চমক, আব্দুল হক মিন্টু, আব্দুল জব্বার, লিপন, আবু সালেহ মাসুদ, আবু জাফর, আব্দুর রশিদ মালিথা, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, সাবেক কমিশনার আব্দুর রাজ্জাক, আজম আলী, বরকত আলী, আলতাফ হোসেন, আলিম উদ্দিন, আমিনুল হক নান্নু, মুন্সি আইয়ুব আলী, আরজান আলী, উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মীর আসাদুজ্জামান উজ্জ্বল, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী জাহাঙ্গীর আলম বাবু, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক নাজিম উদ্দিন মোল্লা, সদস্যসচিব সাইফুদ্দিন কনক, চুয়াডাঙ্গা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রুবেল হাসান, আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এমদাদ হোসেন, রাজু আহমেদ, পৌর সেচ্ছাসেবক সদস্য সচিব জাকারিয়া ইসলাম শান্ত, চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কৌশিক আহমেদ রানা, আলমডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান শুভ, সদস্যসচিব আল ইমরান রাসেল, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আতিক হাসান রিংকু, সদস্যসচিব মাহমুদুল হাসান তন্ময়, আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্যসচিব জাহাঙ্গীর আলম লিমনসহ আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৗর বিএনপির অঙ্গসংগঠনের সকল নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।