ইপেপার । আজ বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় পরিবেশ আইন লঙ্ঘনে বিভিন্ন ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান

৮ ভাটার মালিককে ১৯ লাখ টাকা জরিমানা, ইট ধ্বংস

সমীকরণ প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের দায়ে চুয়াডাঙ্গায় ৮টি ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ১৯ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। গতকাল বুধবার পরিবেশ অধিদপ্তর, খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগমের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সিনিয়র কেমিস্ট নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস ও পরিদর্শক মো. নাইম হোসেন। অভিযানে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধনী-২০১৯) লঙ্ঘনের দায়ে ৮টি ইটভাটার মালিক ও পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতে মোট ১৯ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া পরিবেশ ক্ষতি রোধে ট্রাক্টর ও স্কেভেটরের সাহায্যে কাঁচা ইট ভেঙে দেওয়া হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের এএমবি ব্রিকস (ফিক্সড)–এর স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুল মজিদর নিকট থেকে ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়। এছাড়াও হাটবোয়ালিয়া হাটুভাঙ্গার এস কে এস ব্রিকস (জিগজ্যাগ)-এর স্বত্ত্বাধিকারী সিরাজুল ইসলামকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, একই এলাকার সান ব্রিকস (১২০ ফুট)-এর স্বত্ত্বাধিকারী কাউসারকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, উপজেলার উসমানপুরের এস+এস ব্রিকস (জিগজ্যাগ)-এর স্বত্ত্বাধিকারী শাহাজাহানকে ১ লাখ টাকা, একই এলাকার এজিকে ব্রিকস (১২০ ফুট)-এর স্বত্ত্বাধিকারী গাফ্ফার ফারাজীকে ২ লাখ টাকা টাকা, পারদুর্গাপুরের এমএসবি ব্রিকস (রূপান্তরিত জিগজ্যাগ)-এর স্বত্ত্বাধিকারী একলাসকে ৩ লাখ টাকা, দামুড়হুদা উপজেলার স্কাই ব্রিকস (জিগজ্যাগ)-এর ম্যানেজার বাবুল হোসেনকে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও একই উপজেলার সনি ব্রিকস (১২০ ফুট)-এর স্বত্ত্বাধিকারী জাহাঙ্গীর আলমকে ২ লাখ টাকাসহ মোট ১৯ লাখ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়। এসময় এএমবি ব্রিকস (ফিক্সড) ও এজিকে ব্রিকস (১২০ফুট) ইটভাটার কাঁচা ইট ভেঙ্গে দেয়া হয়। অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ ও আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।

পরিবেশ অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সিনিয়র কেমিস্ট নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, অভিযানের মাধ্যমে আদায়কৃত জরিমানা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়। এবং এ জেলার পরিবেশ সুরক্ষা ও বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গায় পরিবেশ আইন লঙ্ঘনে বিভিন্ন ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান

৮ ভাটার মালিককে ১৯ লাখ টাকা জরিমানা, ইট ধ্বংস

আপলোড টাইম : ১০:৪৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের দায়ে চুয়াডাঙ্গায় ৮টি ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ১৯ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। গতকাল বুধবার পরিবেশ অধিদপ্তর, খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগমের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সিনিয়র কেমিস্ট নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস ও পরিদর্শক মো. নাইম হোসেন। অভিযানে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধনী-২০১৯) লঙ্ঘনের দায়ে ৮টি ইটভাটার মালিক ও পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতে মোট ১৯ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া পরিবেশ ক্ষতি রোধে ট্রাক্টর ও স্কেভেটরের সাহায্যে কাঁচা ইট ভেঙে দেওয়া হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের এএমবি ব্রিকস (ফিক্সড)–এর স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুল মজিদর নিকট থেকে ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়। এছাড়াও হাটবোয়ালিয়া হাটুভাঙ্গার এস কে এস ব্রিকস (জিগজ্যাগ)-এর স্বত্ত্বাধিকারী সিরাজুল ইসলামকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, একই এলাকার সান ব্রিকস (১২০ ফুট)-এর স্বত্ত্বাধিকারী কাউসারকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, উপজেলার উসমানপুরের এস+এস ব্রিকস (জিগজ্যাগ)-এর স্বত্ত্বাধিকারী শাহাজাহানকে ১ লাখ টাকা, একই এলাকার এজিকে ব্রিকস (১২০ ফুট)-এর স্বত্ত্বাধিকারী গাফ্ফার ফারাজীকে ২ লাখ টাকা টাকা, পারদুর্গাপুরের এমএসবি ব্রিকস (রূপান্তরিত জিগজ্যাগ)-এর স্বত্ত্বাধিকারী একলাসকে ৩ লাখ টাকা, দামুড়হুদা উপজেলার স্কাই ব্রিকস (জিগজ্যাগ)-এর ম্যানেজার বাবুল হোসেনকে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও একই উপজেলার সনি ব্রিকস (১২০ ফুট)-এর স্বত্ত্বাধিকারী জাহাঙ্গীর আলমকে ২ লাখ টাকাসহ মোট ১৯ লাখ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়। এসময় এএমবি ব্রিকস (ফিক্সড) ও এজিকে ব্রিকস (১২০ফুট) ইটভাটার কাঁচা ইট ভেঙ্গে দেয়া হয়। অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ ও আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।

পরিবেশ অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সিনিয়র কেমিস্ট নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, অভিযানের মাধ্যমে আদায়কৃত জরিমানা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়। এবং এ জেলার পরিবেশ সুরক্ষা ও বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।