ইপেপার । আজ বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা নার্সিং ইনস্টিটিউটে অনিয়মের তদন্ত প্রতিবেদন জমা

প্রতিবেদনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া, পুনঃতদন্তের প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪৬:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা নার্সিং ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে সরকার নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ নানা অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সিভিল সার্জনের কাছে এ প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। তবে এ প্রতিবেদনে কোনো বিষয়ই স্পষ্ট করেনি তদন্ত কমিটি। যদিও তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়াউদ্দীন আহমেদ।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা নার্সিং ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে সরকার নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ নানা অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় বেশ কয়েকটি পত্রিকায় ধরাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে অভিযোগ তদন্তে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়াউদ্দীন আহমেদ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটি ৬ জানুয়ারি নার্সিং ইনস্টিটিউট পরিদর্শন শেষে ১৩ জানুয়ারি তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়।

তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, চুয়াডাঙ্গা নার্সিং ইনস্টিটিউটে ভর্তি কমিটি থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত রেজ্যুলেশন না করে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের জন্য ব্যাংক রশিদের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি আরও উল্লেখ করে, পরবর্তীতে এই ধরনের আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে কাজ করা যেতে পারে। এছাড়া ভর্তি কমিটির ৫ সদস্যের মধ্যে ৩ জন জানিয়েছেন, তারা মৌখিকভাবে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের কথা জানতেন, কিন্তু অন্য ২ সদস্য এ ব্যাপারে কিছু জানতেন না। প্রতিবেদনে এই পরিসংখ্যানের পার্থক্যকে সমীচীন না বলে মন্তব্য করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের সাদা কাগজে স্বাক্ষর করানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে শিক্ষার্থীদের তদন্তে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও শুধুমাত্র তিনজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। এছাড়া ইন্সট্রাক্টরদের স্বামীদের অনাধিকার চর্চার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। প্রতিবেদনে অধিকাংশ স্থানেই পরামর্শের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, যেখানে ‘আর্থিক বিষয়ে অডিট করা যেতে পারে’ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। তবে আমাদের এখতিয়ার সীমিত, আমরা এই বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারি না। তদন্ত প্রতিবেদনের কপি জেলা প্রশাসক এবং ডিজিএম বরাবর পাঠানো হয়েছে।’ এদিকে, সচেতন মহল মনে করছেন, জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পুনরায় তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রকৃত ঘটনা বের করে আনা হলে সমস্যা সমাধান হতে পারে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গা নার্সিং ইনস্টিটিউটে অনিয়মের তদন্ত প্রতিবেদন জমা

প্রতিবেদনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া, পুনঃতদন্তের প্রস্তাব

আপলোড টাইম : ০৮:৪৬:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা নার্সিং ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে সরকার নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ নানা অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সিভিল সার্জনের কাছে এ প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। তবে এ প্রতিবেদনে কোনো বিষয়ই স্পষ্ট করেনি তদন্ত কমিটি। যদিও তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়াউদ্দীন আহমেদ।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা নার্সিং ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে সরকার নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ নানা অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় বেশ কয়েকটি পত্রিকায় ধরাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে অভিযোগ তদন্তে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়াউদ্দীন আহমেদ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটি ৬ জানুয়ারি নার্সিং ইনস্টিটিউট পরিদর্শন শেষে ১৩ জানুয়ারি তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়।

তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, চুয়াডাঙ্গা নার্সিং ইনস্টিটিউটে ভর্তি কমিটি থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত রেজ্যুলেশন না করে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের জন্য ব্যাংক রশিদের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি আরও উল্লেখ করে, পরবর্তীতে এই ধরনের আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে কাজ করা যেতে পারে। এছাড়া ভর্তি কমিটির ৫ সদস্যের মধ্যে ৩ জন জানিয়েছেন, তারা মৌখিকভাবে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের কথা জানতেন, কিন্তু অন্য ২ সদস্য এ ব্যাপারে কিছু জানতেন না। প্রতিবেদনে এই পরিসংখ্যানের পার্থক্যকে সমীচীন না বলে মন্তব্য করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের সাদা কাগজে স্বাক্ষর করানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে শিক্ষার্থীদের তদন্তে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও শুধুমাত্র তিনজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। এছাড়া ইন্সট্রাক্টরদের স্বামীদের অনাধিকার চর্চার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। প্রতিবেদনে অধিকাংশ স্থানেই পরামর্শের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, যেখানে ‘আর্থিক বিষয়ে অডিট করা যেতে পারে’ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। তবে আমাদের এখতিয়ার সীমিত, আমরা এই বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারি না। তদন্ত প্রতিবেদনের কপি জেলা প্রশাসক এবং ডিজিএম বরাবর পাঠানো হয়েছে।’ এদিকে, সচেতন মহল মনে করছেন, জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পুনরায় তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রকৃত ঘটনা বের করে আনা হলে সমস্যা সমাধান হতে পারে।