ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে আলোচনা ও কম্বল বিতরণকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ইশরাক

স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব রাজনৈতিক দলের ঐক্য গুরুত্বপূর্ণ

সমীকরণ প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪২:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা ও মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির পৃথক উদ্যোগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে দামুড়হুদার নাটুদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক। এসময় তিনি শেখ হাসিনাকে খুনি আখ্যা দিয়ে তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার দাবি করেন। অন্যদিকে, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় এই নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে দেশের সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
গতকাল নাটুদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে টি-৭৮ সংগঠনের আয়োজনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দামুড়হুদা থানা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়ন বিষয়ক সহ-সম্পাদক অপর্ণা রায় দাস।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসাহাক সরকার, কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক সদস্য সুভাষ চন্দ্র দাস, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খাঁন বাবু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ ও দামুড়হুদা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন টি-৭৮ সংগঠনের সদস্য আলতাফ হোসেন ও ইমরান হাসান।
এদিকে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মঠমুড়া ইউনিয়নে মোহাম্মদপুর ফার্স্ট চয়েজ মডার্ন স্কুল, হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা কর্তৃক আয়োজিত নবীনবরণ ও নবনির্মিত ভবন ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের অধিকারের প্রশ্নে আমরা যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, সেই ঐক্যকে কোনোভাবেই বিনষ্ট হতে দেওয়া যাবে না।’ তিনি আর বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে খুনি হাসিনা সরকার অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে। খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেবেন। ইশরাক হোসেন বলেন, ‘খুনি হাসিনার পরিবারের সদস্যদের এখন বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। দেশের অর্থ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। সেই লুটপাট ফিরিয়ে এনে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধিশালী করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘যতদিন না ভারতের আগ্রাসন থামানো হচ্ছে, ততদিন বাংলাদেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’ তিনি জুলাই-আগস্টে সংগঠিত গণঅভ্যুত্থানের উল্লেখ করে বলেন, ‘তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’ এসময় তিনি শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও আহতদের সুস্থতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হয়, যা পরিচালনা করেন কবির বিন সামাদ।
অনুষ্ঠানে অতিথির মধ্যে ছিলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. আমজাদ হোসেন, আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী পুত্র আলহাজ্ব শামীম সাঈদী, রেজা আহমেদ বাচ্চু, অর্পনা রায় দাস প্রান্তি, ইছাহাক সরকার ও আসাদুজ্জামান বাবলু।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে আলোচনা ও কম্বল বিতরণকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ইশরাক

স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব রাজনৈতিক দলের ঐক্য গুরুত্বপূর্ণ

আপলোড টাইম : ০৮:৪২:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা ও মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির পৃথক উদ্যোগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে দামুড়হুদার নাটুদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক। এসময় তিনি শেখ হাসিনাকে খুনি আখ্যা দিয়ে তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার দাবি করেন। অন্যদিকে, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় এই নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে দেশের সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
গতকাল নাটুদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে টি-৭৮ সংগঠনের আয়োজনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দামুড়হুদা থানা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়ন বিষয়ক সহ-সম্পাদক অপর্ণা রায় দাস।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসাহাক সরকার, কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক সদস্য সুভাষ চন্দ্র দাস, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খাঁন বাবু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ ও দামুড়হুদা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন টি-৭৮ সংগঠনের সদস্য আলতাফ হোসেন ও ইমরান হাসান।
এদিকে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মঠমুড়া ইউনিয়নে মোহাম্মদপুর ফার্স্ট চয়েজ মডার্ন স্কুল, হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা কর্তৃক আয়োজিত নবীনবরণ ও নবনির্মিত ভবন ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের অধিকারের প্রশ্নে আমরা যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, সেই ঐক্যকে কোনোভাবেই বিনষ্ট হতে দেওয়া যাবে না।’ তিনি আর বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে খুনি হাসিনা সরকার অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে। খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেবেন। ইশরাক হোসেন বলেন, ‘খুনি হাসিনার পরিবারের সদস্যদের এখন বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। দেশের অর্থ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। সেই লুটপাট ফিরিয়ে এনে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধিশালী করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘যতদিন না ভারতের আগ্রাসন থামানো হচ্ছে, ততদিন বাংলাদেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’ তিনি জুলাই-আগস্টে সংগঠিত গণঅভ্যুত্থানের উল্লেখ করে বলেন, ‘তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’ এসময় তিনি শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও আহতদের সুস্থতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হয়, যা পরিচালনা করেন কবির বিন সামাদ।
অনুষ্ঠানে অতিথির মধ্যে ছিলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. আমজাদ হোসেন, আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী পুত্র আলহাজ্ব শামীম সাঈদী, রেজা আহমেদ বাচ্চু, অর্পনা রায় দাস প্রান্তি, ইছাহাক সরকার ও আসাদুজ্জামান বাবলু।