সারাদিন মানুষের ঢলে চুয়াডাঙ্গা শহরের ভিন্ন রূপ
- আপলোড টাইম : ১০:৪৮:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
- / ১১ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গা শহর গতকাল শুক্রবার এক নতুন দৃশ্যের সাক্ষী হলো। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো মানুষের ঢল নামার পাশাপাশি আশপাশের জেলা মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ এমনকি যশোর থেকেও জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদস্যরা এবং সাধারণ মুসল্লিরা কেন্দ্রীয় আমিরের উপস্থিতিতে স্বাগত জানাতে শহরে জড়ো হন। চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনকে ঘিরে চুয়াডাঙ্গা শহর পুরোপুরি ভিন্ন রূপ ধারণ করে। সকাল থেকেই ছোট ছোট যানবাহন, মোটরসাইকেল এবং পায়ে হাঁটা মানুষের ঢলে শহরের সড়কগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় স্বাভাবিক সময়ে এ দিন শহরে ব্যস্ততা অনেকটায় কমে যায়। তবে অন্য যে কোনো দিনের তুলনায় গতকালের শুক্রবারের ব্যস্তময় পরিবেশ এক অনন্য মাত্রা পায় এই শহর।
সম্মেলন উপলক্ষে শহরের প্রধান সড়কগুলোতে ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকান বসে। এসব দোকানে ছিল পিঠা, ভাজাপোড়া, শরবতসহ বিভিন্ন মুখরোচক খাবার। পাশাপাশি টুপি, আতর, তসবিহসহ ইসলামী বইয়ের দোকানগুলোও মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। গতকাল একদিনের জন্য শহরের বিভিন্ন প্রান্ত যেন একটি মেলার আবহ তৈরি করে।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী আলমডাঙ্গার বাসিন্দা হারুন উর রশিদ। জানতে চাইলে তিনি নিজেকে ইসলামি ছাত্রশিবিরের একজন কর্মী পরিচয় দেন। তিনি বলেন, ‘এত বড় আয়োজন এবং এখানে এত মানুষের উপস্থিতি দেখে আমি অভিভূত। পুরো শহর একটি উৎসবের জায়গায় পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন সময় উপজেলা থেকে জেলা শহরে আসা যাওয়া করি, কিন্তু আজকের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিএনপির সম্মেলনের পর শহরে এত মানুষ আর দেখিনি।’
কুষ্টিয়ার মেহেদী হাসান বলেন, ‘সম্মেলন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় এসেছি। বইয়ের প্রতি সবসময় ভালোবাসা ছিল। ইসলামী বই এবং আতর কেনার সুযোগও হয়েছে। রাজনৈতিক আয়োজন এমন সুন্দর হলে প্রতি বছর হলে মানুষের মধ্যে ভিন্নতা আসে।’ স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শহরে এত মানুষের সমাগম আগে কখনো দেখিনি। শহরের এমন একটি চিত্র খুব কম সময়ই দেখার সুযোগ মেলে।’