ইপেপার । আজ রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সম্মেলন শেষে দেড় ঘণ্টার পদচারণায় স্বাভাবিক চুয়াডাঙ্গা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৮:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১৬ বার পড়া হয়েছে

গতকাল শুক্রবার বেলা ৩টা ৫৭ মিনিটে শেষ হওয়ার পর চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে আগত হাজার হাজার মানুষের ব্যস্ত পদচারণা দেখা যায় সুশৃঙ্খলভাবে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁঁছানোর। ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের বেশি সময় নিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত সময় লাগে চুয়াডাঙ্গা শহরকে তার স্বাভাবিক রূপে ফিরে আসতে। সম্মেলনের আয়োজকরা সড়কে ভিড় এড়ানোর জন্য বিভিন্ন প্রবেশপথে নির্দেশনা স্থাপন করেন। তারা মুসল্লিদের যানবাহন রাখার নির্দিষ্ট স্থান সম্পর্কে অবগণ করেন। যাতে সবাই সহজে এবং সুশৃঙ্খলভাবে বের হতে পারে। ট্রাফিক পুলিশও সড়ক ব্যবস্থাপনায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
সম্মেলন শেষে আগতরা দলে দলে পায়ে হেঁটে তাদের যানবাহন পর্যন্ত যান। শহরের প্রধান সড়কগুলোতে মুসল্লিদের এই পদচারণা উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করেছিল। সম্মেলনে অংশ নেওয়া যশোরের মুসল্লি মেহেদী হাসান বলেন, ‘এত বড় আয়োজনের পরও সুশৃঙ্খলভাবে ফেরার ব্যবস্থা ছিল। আমরা খুব সহজেই আমাদের গাড়ির কাছে পৌঁছাতে পেরেছি। ১৫ মিনিট পায়ে হাঁটতে হয়েছে, তবে হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে হাঁটার অনুভূতি বলে প্রকাশ করা যায় না।’
একই অনুভূতি প্রকাশ করেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মুসল্লি আল আমিন। তিনি বলেন, ‘আমরা পায়ে হেঁটে চাঁদমারী মাঠের পার্কিং স্পটে এসেছি। যাওয়ার সময়ও মাঠ থেকে হেঁটে যেতে হয়েছে। পুরো সময়টা কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা দেখিনি।’ চুয়াডাঙ্গা শহরের স্থানীয় বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, ‘সড়কগুলোতে ভিড় থাকলেও কোনো যানজটে বিশৃঙ্খলা হয়নি। মুসল্লিদের যাতায়াতের সময় শহর স্বাভাবিক ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার পর এই চুয়াডাঙ্গাকে তার স্বাভাবিক রুপে ফিরতে দেখলাম। এক দিনের জন্য শহরটার রুপের এই পরিবর্তন মনে থাকার মতন।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

সম্মেলন শেষে দেড় ঘণ্টার পদচারণায় স্বাভাবিক চুয়াডাঙ্গা

আপলোড টাইম : ১০:৪৮:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

গতকাল শুক্রবার বেলা ৩টা ৫৭ মিনিটে শেষ হওয়ার পর চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে আগত হাজার হাজার মানুষের ব্যস্ত পদচারণা দেখা যায় সুশৃঙ্খলভাবে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁঁছানোর। ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের বেশি সময় নিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত সময় লাগে চুয়াডাঙ্গা শহরকে তার স্বাভাবিক রূপে ফিরে আসতে। সম্মেলনের আয়োজকরা সড়কে ভিড় এড়ানোর জন্য বিভিন্ন প্রবেশপথে নির্দেশনা স্থাপন করেন। তারা মুসল্লিদের যানবাহন রাখার নির্দিষ্ট স্থান সম্পর্কে অবগণ করেন। যাতে সবাই সহজে এবং সুশৃঙ্খলভাবে বের হতে পারে। ট্রাফিক পুলিশও সড়ক ব্যবস্থাপনায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
সম্মেলন শেষে আগতরা দলে দলে পায়ে হেঁটে তাদের যানবাহন পর্যন্ত যান। শহরের প্রধান সড়কগুলোতে মুসল্লিদের এই পদচারণা উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করেছিল। সম্মেলনে অংশ নেওয়া যশোরের মুসল্লি মেহেদী হাসান বলেন, ‘এত বড় আয়োজনের পরও সুশৃঙ্খলভাবে ফেরার ব্যবস্থা ছিল। আমরা খুব সহজেই আমাদের গাড়ির কাছে পৌঁছাতে পেরেছি। ১৫ মিনিট পায়ে হাঁটতে হয়েছে, তবে হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে হাঁটার অনুভূতি বলে প্রকাশ করা যায় না।’
একই অনুভূতি প্রকাশ করেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মুসল্লি আল আমিন। তিনি বলেন, ‘আমরা পায়ে হেঁটে চাঁদমারী মাঠের পার্কিং স্পটে এসেছি। যাওয়ার সময়ও মাঠ থেকে হেঁটে যেতে হয়েছে। পুরো সময়টা কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা দেখিনি।’ চুয়াডাঙ্গা শহরের স্থানীয় বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, ‘সড়কগুলোতে ভিড় থাকলেও কোনো যানজটে বিশৃঙ্খলা হয়নি। মুসল্লিদের যাতায়াতের সময় শহর স্বাভাবিক ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার পর এই চুয়াডাঙ্গাকে তার স্বাভাবিক রুপে ফিরতে দেখলাম। এক দিনের জন্য শহরটার রুপের এই পরিবর্তন মনে থাকার মতন।’