ইপেপার । আজ বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চুয়াডাঙ্গার প্রবেশ পথগুলোতে শত শত গাড়ি পার্কিং

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৬:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১৫ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা শহরে অনুষ্ঠিত জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে দূর-দূরান্ত থেকে আগত হাজারো মুসল্লির যানবাহন নিয়ন্ত্রণে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সম্মেলনের আয়োজক এবং স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বিত প্রচেষ্টায় যানজটমুক্ত পরিবেশ বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে এই অনুষ্ঠানে। সম্মেলনে অংশ নিতে আসা মুসল্লিদের বহনকারী বাস, মাইক্রোবাস এবং অন্যান্য যানবাহন শহরের চারটি প্রধান প্রবেশ মুখের নির্ধারিত শত শত স্থানে পার্ক করা হয়। চাঁদমারী মাঠ, বিভিন্ন স্কুলমাঠ এবং শহরের প্রবেশপথগুলোতে আগেই পার্কিং জোন চিহ্নিত করা হয়। ট্রাফিক পুলিশ ও আয়োজকদের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয় যাতে কেউ নির্ধারিত স্থানের বাইরে যানবাহন পার্ক না করেন।
এছাড়া সম্মেলনস্থলের আশপাশের সড়কগুলোতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় অতিরিক্ত জনবল মোতায়েন করা হয়। আয়োজকদের তরফ থেকে বিশেষ কর্মীরা মুসল্লিদের পথ দেখানোর পাশাপাশি যানবাহন পরিচালনার কাজেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। সম্মেলনের আয়োজকরা আগেই স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে যানবাহন ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। পুলিশ প্রশাসন দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে যানবাহনের প্রবেশ ও বহির্গমন নিয়ন্ত্রণ করে যানজটে বিশৃঙ্খলা এড়াতে সক্ষম হন। শহরের বিভিন্ন প্রবেশপথে থাকা ট্রাফিক সদস্যরা যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে সচেষ্ট ছিলেন।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী এবং স্থানীয়রা সড়কে শৃঙ্খলা থাকায় আয়োজক ও প্রশাসনের প্রশংসা করেন। চুয়াডাঙ্গা শহরের একজন বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এত বড় আয়োজনের পরও কোনো ছোট বিশৃঙ্খলাও হয়নি, তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। আয়োজক ও প্রশাসনের এমন পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা ভবিষ্যতে উদাহরণ হয়ে থাকবে।’
কর্মী সম্মেলনের সভাপতি ও জেলা জামায়াতের আমির অ্যাড. রুহুল আমিন বলেন, ‘আমরা আগেই ট্রাফিক পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। নির্ধারিত পার্কিং জোন এবং সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে যানজট এড়ানো সম্ভব হয়েছে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গার প্রবেশ পথগুলোতে শত শত গাড়ি পার্কিং

আপলোড টাইম : ১০:৪৬:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা শহরে অনুষ্ঠিত জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে দূর-দূরান্ত থেকে আগত হাজারো মুসল্লির যানবাহন নিয়ন্ত্রণে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সম্মেলনের আয়োজক এবং স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বিত প্রচেষ্টায় যানজটমুক্ত পরিবেশ বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে এই অনুষ্ঠানে। সম্মেলনে অংশ নিতে আসা মুসল্লিদের বহনকারী বাস, মাইক্রোবাস এবং অন্যান্য যানবাহন শহরের চারটি প্রধান প্রবেশ মুখের নির্ধারিত শত শত স্থানে পার্ক করা হয়। চাঁদমারী মাঠ, বিভিন্ন স্কুলমাঠ এবং শহরের প্রবেশপথগুলোতে আগেই পার্কিং জোন চিহ্নিত করা হয়। ট্রাফিক পুলিশ ও আয়োজকদের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয় যাতে কেউ নির্ধারিত স্থানের বাইরে যানবাহন পার্ক না করেন।
এছাড়া সম্মেলনস্থলের আশপাশের সড়কগুলোতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় অতিরিক্ত জনবল মোতায়েন করা হয়। আয়োজকদের তরফ থেকে বিশেষ কর্মীরা মুসল্লিদের পথ দেখানোর পাশাপাশি যানবাহন পরিচালনার কাজেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। সম্মেলনের আয়োজকরা আগেই স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে যানবাহন ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। পুলিশ প্রশাসন দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে যানবাহনের প্রবেশ ও বহির্গমন নিয়ন্ত্রণ করে যানজটে বিশৃঙ্খলা এড়াতে সক্ষম হন। শহরের বিভিন্ন প্রবেশপথে থাকা ট্রাফিক সদস্যরা যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে সচেষ্ট ছিলেন।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী এবং স্থানীয়রা সড়কে শৃঙ্খলা থাকায় আয়োজক ও প্রশাসনের প্রশংসা করেন। চুয়াডাঙ্গা শহরের একজন বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এত বড় আয়োজনের পরও কোনো ছোট বিশৃঙ্খলাও হয়নি, তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। আয়োজক ও প্রশাসনের এমন পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা ভবিষ্যতে উদাহরণ হয়ে থাকবে।’
কর্মী সম্মেলনের সভাপতি ও জেলা জামায়াতের আমির অ্যাড. রুহুল আমিন বলেন, ‘আমরা আগেই ট্রাফিক পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। নির্ধারিত পার্কিং জোন এবং সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে যানজট এড়ানো সম্ভব হয়েছে।’