ইপেপার । আজ বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আমিরে জামায়াতের ইমামতিতে সম্মেলনস্থলে জুম্মার নামাজ আদায়

শহরের মসজিদগুলোয় অতিরিক্ত মুসল্লি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ২০ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা শহরের টাউন ফুটবল মাঠে গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলন উপলক্ষে বিশাল পরিসরে জুমার নামাজের আয়োজন করা হয়। সকাল থেকেই সম্মেলনস্থলে মুসল্লিদের ঢল শুরু হয়। টাউন ফুটবল মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর আশপাশের সড়কজুড়ে নামাজের কাতার তৈরি হয়। হাজারো মানুষের উপস্থিতিতেও নামাজের সময়কার শৃঙ্খলা ছিল চমকপ্রদ। নামাজে মুসল্লিদের সারিবদ্ধ অবস্থান ও নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করার দৃশ্য মনোমুগ্ধকর ছিল। শহরের পৌরসভা জামে মসজিদ, বড় বাজার জামে মসজিদ, কোর্ট জামে মসজিদ, জান্নাতুল মওলা জামে মসজিদসহ শহরের মসজিদে মসজিদে অতিরিক্ত মুসল্লিদের নামাজ পড়তে দেখা যায়। স্থান সংকুলান না হওয়ায় রোদে মসজিদের ছাদেও মুসল্লিরা জুমার নামাজ আদায় করেন।

এদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের ইমামতিতে টাউন ফুটবল মাঠে অনুষ্ঠিত প্রধান জামায়াতে একসঙ্গে হাজার হাজার মুসল্লি জুমার নামাজ আদায় করেন। মাঠে স্থান সংকুলান না হওয়ায় মুসল্লিরা প্রধান সড়কে জামাত তৈরি করে নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে এক বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে দেশ ও জাতির উন্নতি এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য কামনা করা হয়।

এদিকে, মুসল্লিদের জন্য মাইক ও সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবস্থা করা হয়। যাতে আশপাশের সড়কে থাকা মুসল্লিরাও নামাজে অংশ নিতে পারেন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠের চারপাশে পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। তবে মুসল্লিদের জন্য মাঠের ভেতর ওযুর পানি এবং বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা ছিল না। মুসল্লিরা নিজ নিজ উদ্যোগে ওযুর পানি এবং খাবার পানির ব্যবস্থা করেন।

নামাজে অংশ নেওয়া যশোর থেকে আগত মুসল্লি আব্দুল হাকিম বলেন, ‘এত বড় আয়োজন আগে কখনও দেখিনি। মাঠ ও সড়কে এত সুন্দর পরিবেশে নামাজ আদায় করতে পারা আমার জীবনে এটিই প্রথম। চুয়াডাঙ্গার কর্মী সম্মেলন আসতে পারাটার অভিজ্ঞতা দারুণ।’ চুয়াডাঙ্গা সদর এলাকার জামায়াতের সমর্থক মাসুদ রানা। তিনি বলেন, ‘নামাজের সময় মানুষের ভিড় থাকা সত্ত্বেও কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। এটি ছিল আমাদের জন্য এক স্মরণীয় অভিজ্ঞতা। অনেক ভিড় হবে জেনেও কেন্দ্রীয় জামাতে নামাজ আদায় করার ইচ্ছা করেছিলাম। আমিরে জামায়াত ইমামতি করায় ইচ্ছাটা পূরণ হয়েছে।’

এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা শহরের প্রাণকেন্দ্রে এমন একটি বড় আয়োজন শুশৃঙ্খলভাবে শেষ হওয়ায় প্রশংসা করেছেন। চুয়াডাঙ্গা শহরের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী উজির হোসেন বলেন, ‘এই শহরের সড়কে হাজারো মানুষের নামাজ আদায়ের এমন দৃশ্য আগে দেখিনি। আয়োজক ও মুসল্লিদের ধন্যবাদ জানাই, কারণ তাদের শৃঙ্খলাপূর্ণ আচরণ শহরের পরিবেশকে শান্তিপূর্ণ রেখেছিল।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

আমিরে জামায়াতের ইমামতিতে সম্মেলনস্থলে জুম্মার নামাজ আদায়

শহরের মসজিদগুলোয় অতিরিক্ত মুসল্লি

আপলোড টাইম : ১০:৪৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা শহরের টাউন ফুটবল মাঠে গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলন উপলক্ষে বিশাল পরিসরে জুমার নামাজের আয়োজন করা হয়। সকাল থেকেই সম্মেলনস্থলে মুসল্লিদের ঢল শুরু হয়। টাউন ফুটবল মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর আশপাশের সড়কজুড়ে নামাজের কাতার তৈরি হয়। হাজারো মানুষের উপস্থিতিতেও নামাজের সময়কার শৃঙ্খলা ছিল চমকপ্রদ। নামাজে মুসল্লিদের সারিবদ্ধ অবস্থান ও নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করার দৃশ্য মনোমুগ্ধকর ছিল। শহরের পৌরসভা জামে মসজিদ, বড় বাজার জামে মসজিদ, কোর্ট জামে মসজিদ, জান্নাতুল মওলা জামে মসজিদসহ শহরের মসজিদে মসজিদে অতিরিক্ত মুসল্লিদের নামাজ পড়তে দেখা যায়। স্থান সংকুলান না হওয়ায় রোদে মসজিদের ছাদেও মুসল্লিরা জুমার নামাজ আদায় করেন।

এদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের ইমামতিতে টাউন ফুটবল মাঠে অনুষ্ঠিত প্রধান জামায়াতে একসঙ্গে হাজার হাজার মুসল্লি জুমার নামাজ আদায় করেন। মাঠে স্থান সংকুলান না হওয়ায় মুসল্লিরা প্রধান সড়কে জামাত তৈরি করে নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে এক বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে দেশ ও জাতির উন্নতি এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য কামনা করা হয়।

এদিকে, মুসল্লিদের জন্য মাইক ও সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবস্থা করা হয়। যাতে আশপাশের সড়কে থাকা মুসল্লিরাও নামাজে অংশ নিতে পারেন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠের চারপাশে পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। তবে মুসল্লিদের জন্য মাঠের ভেতর ওযুর পানি এবং বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা ছিল না। মুসল্লিরা নিজ নিজ উদ্যোগে ওযুর পানি এবং খাবার পানির ব্যবস্থা করেন।

নামাজে অংশ নেওয়া যশোর থেকে আগত মুসল্লি আব্দুল হাকিম বলেন, ‘এত বড় আয়োজন আগে কখনও দেখিনি। মাঠ ও সড়কে এত সুন্দর পরিবেশে নামাজ আদায় করতে পারা আমার জীবনে এটিই প্রথম। চুয়াডাঙ্গার কর্মী সম্মেলন আসতে পারাটার অভিজ্ঞতা দারুণ।’ চুয়াডাঙ্গা সদর এলাকার জামায়াতের সমর্থক মাসুদ রানা। তিনি বলেন, ‘নামাজের সময় মানুষের ভিড় থাকা সত্ত্বেও কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। এটি ছিল আমাদের জন্য এক স্মরণীয় অভিজ্ঞতা। অনেক ভিড় হবে জেনেও কেন্দ্রীয় জামাতে নামাজ আদায় করার ইচ্ছা করেছিলাম। আমিরে জামায়াত ইমামতি করায় ইচ্ছাটা পূরণ হয়েছে।’

এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা শহরের প্রাণকেন্দ্রে এমন একটি বড় আয়োজন শুশৃঙ্খলভাবে শেষ হওয়ায় প্রশংসা করেছেন। চুয়াডাঙ্গা শহরের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী উজির হোসেন বলেন, ‘এই শহরের সড়কে হাজারো মানুষের নামাজ আদায়ের এমন দৃশ্য আগে দেখিনি। আয়োজক ও মুসল্লিদের ধন্যবাদ জানাই, কারণ তাদের শৃঙ্খলাপূর্ণ আচরণ শহরের পরিবেশকে শান্তিপূর্ণ রেখেছিল।’