শহরের পথে পথে পতাকা বিক্রেতাদের সরব উপস্থিতি
সম্মেলনের আগে থেকেই বেচাকেনার ধুম
- আপলোড টাইম : ১০:৪১:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
- / ১২ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনের আগের দিন থেকেই শহরের বিভিন্ন সড়ক যেন পতাকা বিক্রেতাদের কর্মব্যস্ততায় সরব হয়ে ওঠে। গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাস্তার মোড়ে মোড়ে, বাজারের প্রবেশপথে এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে দেখা যায় দেশের জাতীয় ও জামায়াতের দলীয় পতাকা নিয়ে হকারদের সরব উপস্থিতি। অনেক বিক্রেতাকে শহরের মূল সড়কগুলোতে বিভিন্ন আকার ও রঙের পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। আবার অনেক বিক্রেতা পুরো শহর পায়ে হেঁটে দৈনন্দিন কার্যক্রম চালিয়েছেন। সম্মেলনের আগের দিন থেকে গতকাল সম্মেলন শেষ পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামী, ইমলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ পছন্দের পতাকা, ফিতা, ব্যাজসহ বিভিন্ন সামগ্রী কেনেন। সম্মেলন স্থানসহ পুরো শহরজুড়ে শত শত মানুষের হাতে থাকা বিভিন্ন পতাকা, হাত ও কপালে দৃশ্যমান হওয়া ফিতা, ক্যাপ ইত্যাদি কেনা এবং বিক্রেতাদের বিক্রির প্রবণতা প্রকাশ করে। জামায়াতের কর্মী-সমর্থকরা দলীয় পতাকাই সব থেকে বেশি কিনেছেন বলে জানিয়েছেন একাধিক বিক্রেতা।
কথা হয় বিক্রেতা শফিকুল আলম তুহিনের সঙ্গে। তিনি ঢাকা যাত্রবাড়ি, বীর বাগিচা ১ নম্বর গলীর বাসিন্দা। শফিকুল বলেন, ‘সম্মেলনের আগের দিন থেকেই আমাদের বিক্রি ভালো হয়। বিশেষ করে জাতীয় পতাকা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দলীয় পতাকার চাহিদা বেশি থাকে। ভালো বিক্রি হলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রায় ২০০টিরও বেশি পতাকা বিক্রি হয়।’ ভালো বিক্রি হলে এক দিনে ১ হাজার টাকার বেশি উপার্জন করেন তিনি।
আরেকজন বিক্রেতা শামীম জানান, ‘দলের কর্মীরা দলীয় পতাকা কিনে মিছিল বা মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় অংশ নেন। এটা তাদের জন্য আবেগের বিষয়। তারা পতাকা উড়িয়ে আনন্দ নেন। আর তাড়াতাড়ি বিক্রি শেষ হলে আমরা আনন্দে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরি।’ আকার ও মানের ওপর এসব পতাকার দাম নির্ভর করে। ছোট সাইজের পতাকা ২০ থেকে ৫০ টাকা এবং বড় সাইজের পতাকা ১০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। বিক্রেতারা ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে শুধুমাত্র কাধে নিয়েই ঘুরেছেন। শহরের স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করেন, পতাকা বিক্রেতারা সম্মেলন ও জাতীয় উৎসবের অংশ হয়ে ওঠেন। এভাবেই চলার পথের এই মানুষগুলো আমাদের উৎসব-উদ্যাপনকে রঙিন ও প্রাণবন্ত করে তোলেন।