দর্শনায় তুচ্ছ ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, বাড়িঘর-দোকান ভাঙচুর
দেশীয় অস্ত্রের মহড়া, আহত ২, জনমনে আতঙ্ক
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত ফোর্স ও সেনাবাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে
- আপলোড টাইম : ০৮:২০:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
- / ১৬ বার পড়া হয়েছে
দর্শনায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে অস্ত্রের মহড়ায় ২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সূত্রপাত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হলেও অল্প সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নেয়। সংঘর্ষের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই শহরের দোকান-পাট বন্ধ করে দেন।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির অভ্যন্তরে ছাত্রদল ও যুবদল সম্মিলিতভাবে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের পুনর্বাসন প্রচেষ্টার প্রতিবাদে একটি মিছিল বের করে। মিছিল শেষে আনন্দবাজার সংলগ্ন এলাকায় ছাত্রদল ও যুবদলের এক আলোচনা সভা চলছিল। এসময় কেরু অ্যান্ড কোম্পানির শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হাফিজুল ইসলাম হাফিজের নেতৃত্বে একটি মোটরসাইকেল মিছিল উচ্চ শব্দে সভার পাশ দিয়ে যায়। এতে আলোচনা সভায় বিঘ্ন ঘটলে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা উচ্চ শব্দ বন্ধ করতে অনুরোধ করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে তর্কাতর্কি, পরে হাতাহাতি এবং সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষ প্রথমে রেলবাজার এলাকায় সীমিত থাকলেও পরে তা শাহারিয়ার মুক্তমঞ্চ, চটকাতলা ও দর্শনা সরকারি কলেজ সংলগ্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় দু’পক্ষই দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে। এতে দর্শনা শহরের সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হন এবং অনেক ব্যবসায়ী তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান।
এদিকে, সংঘর্ষে যুবদল নেতা সিপন ও চটকাতলা এলাকার ছাত্রদল নেতা সামাউলের পিতা গুরুতর আহত হন। স্থানীয়ভাবে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া চটকাতলা এলাকায় যুবদল নেতা আরিফের বাড়ি ও চটকাতলা যুব সংঘ ক্লাবসহ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষের ঘটনার নিয়ন্ত্রণে প্রথমে স্থানীয় পুলিশ চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পরে চুয়াডাঙ্গা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পেঁৗঁছালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন পর এ ধরনের সংঘর্ষ ও অস্ত্রের মহড়া দেখে তারা চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকেই মনে করছেন, এ ধরনের পরিস্থিতি কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের নির্বাচনী উত্তেজনার বহিঃপ্রকাশ।
এ বিষয়ে দর্শনা পৌর বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট বলেন, ‘কেরু অ্যান্ড কোম্পানির অভ্যন্তরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ঘটেছে। আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী বিএনপির বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে মিশে সংঘর্ষ উস্কে দিচ্ছে। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদ তিতুমীর বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে। স্থানীয়দের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’