ইপেপার । আজ বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

জীবননগরের বাঁকা দারুল উলুম ইসলামীয়া মাদ্রাসায় সুধী সমাবেশে বাবু খান

আমি জীবননগরের একজন সন্তান, এটাই আমার স্থায়ী পরিচয়

জীবননগর অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১৯ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির উপ-কোষাধ্যক্ষ মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেছেন, আজকে আমাকে যে পরিচয়ে পরিচিত করা হয়েছে তার চেয়ে বেশি আমি খুশি হতাম যদি শুধুমাত্র পরিচয় করানো হতো যে, আমি জীবননগরের একজন সন্তান, এটাই আমার স্থায়ী পরিচয়। আমার যে দলীয় পরিচয় আছে বা রাজনৈতিক যে পরিচয় আছে তা সাময়িক। তা আজকে আছে কালকে থাকবে না। তো আমার ওই পরিচয়টা যখন থাকবে না, আজকে যে সম্মান আমাকে দিয়েছেন, এই পরিচয়টা যখন না থাকবে তখন যেন আমি এই সম্মানটা পাই, এই আবেদন করে আমি আমার বক্তব্য শুরু করছি।

গতকাল শনিবার বাঁকা দারুল উলুম ইসলামীয়া মাদ্রাসায় সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির উপ-কোষাধ্যক্ষ মাহমুদ হাসান খান বাবু এসব কথা বলেন।

সুধী সমাবেশে প্রধান আলোচন ছিলেন যশোর দারুল আকরাম মাদ্রাসার মহাপরিচালক আব্দুল মান্নান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাঁকা দারুল উলুম ইসলামীয়া মাদ্রাসার মুহাতামিম মাওলানা আমিরুল ইসলাম আজহারী। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মারুফ সারোয়ার বাবু, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসন খান খোকন, জীবননগর পৌর বিএনপির সভাপতি শাহাজান কবির প্রমুখ।
মাহমুদ হাসান খান আরও বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানে আসার জন্য প্রায় এক মাস আগে তাজু ভাই আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আমার শারীরিক অবস্থা ভালো না। আমার ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা ছিল। সেটা বাদ দিয়েও আমি এখানে এসেছি শুধুমাত্র আপনাদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা জন্য।

মাহমুদ হাসান খান আরও বলেন, একটা জিনিস দেখে আমার খুব ভালো লাগল। সেটা হচ্ছে এই যে, মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ আপনারা নিয়েছেন, এসব নির্মাণকাজে সবচেয়ে বড় সমস্যা থাকে সেটা হচ্ছে, আয় ব্যয়ের স্বচ্ছতা থাকে না। তো এখানে একটা কাগজ আপনাদের কাছে দেওয়া হয়েছে, আমিও নিয়েছি। আমি দেখলাম সম্ভাব্য ব্যয় যেটা হবে এবং এর আয়তন কী এবং একটি জায়গার পেছনে অর্থাৎ একটি জায়নামাজের পেছনে আমরা যে জায়নামাজ ব্যবহার করি সে রকম জায়নামাজ না, অর্থাৎ একজন ব্যক্তির নামাজ পড়তে যে জায়গাটা লাগে বা জায়নামাজ বিছানোর জন্য সম্ভাব্য খরচ ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৬৪ টাকা। এটাই হলো ইমানদারীর পরিচয়, সচ্ছতার পরিচয়।

তিনি আরও বলেন, আমি আশা করব দারুল উলুম ইসলামীয়া বাঁকা মাদ্রাসার এই প্রক্রিয়াটাকে অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান-সামাজিক প্রতিষ্ঠান অনুসরণ করবে। আমার একটা বিষয় যারা আমাকে অল্প বিস্তার জানেন, আমি প্রকাশ্যে কখনোই দানের ঘোষণা দিই না। আমার নিজের যে সক্ষমতা আছে সেই সক্ষমতা অনুযায়ী আমি আপনাদের এই মসজিদ নির্মাণে অংশগ্রহণ করব। এই অনুষ্ঠানের পর এখানে যারা দায়িত্বে আছেন তাদের জানাবো। এর বাইরে যেটা করব সেটা হচ্ছে, আমার আত্মীয় স্বজন, আমি এতিম। আমার বাবা নাই। মা নাই। আমার শ্বশুরও ইন্তেকাল করেছেন। আমার শাশুড়ি জীবিত আছেন। ওনাররো টাকা পায়সা কিছু আছে। আমার স্ত্রীর আছে। আমার অন্যান্য যে পরিচালক আছে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের তাদের আছে। তারাও যেন এই মসজিদ নির্মাণে অনুদান দেন এই ব্যবস্থা করব।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

জীবননগরের বাঁকা দারুল উলুম ইসলামীয়া মাদ্রাসায় সুধী সমাবেশে বাবু খান

আমি জীবননগরের একজন সন্তান, এটাই আমার স্থায়ী পরিচয়

আপলোড টাইম : ০৯:৫৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির উপ-কোষাধ্যক্ষ মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেছেন, আজকে আমাকে যে পরিচয়ে পরিচিত করা হয়েছে তার চেয়ে বেশি আমি খুশি হতাম যদি শুধুমাত্র পরিচয় করানো হতো যে, আমি জীবননগরের একজন সন্তান, এটাই আমার স্থায়ী পরিচয়। আমার যে দলীয় পরিচয় আছে বা রাজনৈতিক যে পরিচয় আছে তা সাময়িক। তা আজকে আছে কালকে থাকবে না। তো আমার ওই পরিচয়টা যখন থাকবে না, আজকে যে সম্মান আমাকে দিয়েছেন, এই পরিচয়টা যখন না থাকবে তখন যেন আমি এই সম্মানটা পাই, এই আবেদন করে আমি আমার বক্তব্য শুরু করছি।

গতকাল শনিবার বাঁকা দারুল উলুম ইসলামীয়া মাদ্রাসায় সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির উপ-কোষাধ্যক্ষ মাহমুদ হাসান খান বাবু এসব কথা বলেন।

সুধী সমাবেশে প্রধান আলোচন ছিলেন যশোর দারুল আকরাম মাদ্রাসার মহাপরিচালক আব্দুল মান্নান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাঁকা দারুল উলুম ইসলামীয়া মাদ্রাসার মুহাতামিম মাওলানা আমিরুল ইসলাম আজহারী। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মারুফ সারোয়ার বাবু, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসন খান খোকন, জীবননগর পৌর বিএনপির সভাপতি শাহাজান কবির প্রমুখ।
মাহমুদ হাসান খান আরও বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানে আসার জন্য প্রায় এক মাস আগে তাজু ভাই আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আমার শারীরিক অবস্থা ভালো না। আমার ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা ছিল। সেটা বাদ দিয়েও আমি এখানে এসেছি শুধুমাত্র আপনাদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা জন্য।

মাহমুদ হাসান খান আরও বলেন, একটা জিনিস দেখে আমার খুব ভালো লাগল। সেটা হচ্ছে এই যে, মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ আপনারা নিয়েছেন, এসব নির্মাণকাজে সবচেয়ে বড় সমস্যা থাকে সেটা হচ্ছে, আয় ব্যয়ের স্বচ্ছতা থাকে না। তো এখানে একটা কাগজ আপনাদের কাছে দেওয়া হয়েছে, আমিও নিয়েছি। আমি দেখলাম সম্ভাব্য ব্যয় যেটা হবে এবং এর আয়তন কী এবং একটি জায়গার পেছনে অর্থাৎ একটি জায়নামাজের পেছনে আমরা যে জায়নামাজ ব্যবহার করি সে রকম জায়নামাজ না, অর্থাৎ একজন ব্যক্তির নামাজ পড়তে যে জায়গাটা লাগে বা জায়নামাজ বিছানোর জন্য সম্ভাব্য খরচ ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৬৪ টাকা। এটাই হলো ইমানদারীর পরিচয়, সচ্ছতার পরিচয়।

তিনি আরও বলেন, আমি আশা করব দারুল উলুম ইসলামীয়া বাঁকা মাদ্রাসার এই প্রক্রিয়াটাকে অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান-সামাজিক প্রতিষ্ঠান অনুসরণ করবে। আমার একটা বিষয় যারা আমাকে অল্প বিস্তার জানেন, আমি প্রকাশ্যে কখনোই দানের ঘোষণা দিই না। আমার নিজের যে সক্ষমতা আছে সেই সক্ষমতা অনুযায়ী আমি আপনাদের এই মসজিদ নির্মাণে অংশগ্রহণ করব। এই অনুষ্ঠানের পর এখানে যারা দায়িত্বে আছেন তাদের জানাবো। এর বাইরে যেটা করব সেটা হচ্ছে, আমার আত্মীয় স্বজন, আমি এতিম। আমার বাবা নাই। মা নাই। আমার শ্বশুরও ইন্তেকাল করেছেন। আমার শাশুড়ি জীবিত আছেন। ওনাররো টাকা পায়সা কিছু আছে। আমার স্ত্রীর আছে। আমার অন্যান্য যে পরিচালক আছে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের তাদের আছে। তারাও যেন এই মসজিদ নির্মাণে অনুদান দেন এই ব্যবস্থা করব।