ঝিনাইদহে জুলাই গণঅভ্যুথানে জনরোষে নিহত আ.লীগ নেতা
হিরণ ও তার গাড়িচালকের লাশ উত্তোলন- আপলোড টাইম : ১০:১৭:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
- / ২৮ বার পড়া হয়েছে
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ঝিনাইদহে জনতার ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণের জেরে গণপিটুনি ও অগ্নিকাণ্ডে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম হিরণ ও তার গাড়িচালক আক্তার হোসেনের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের আদেশে গতকাল বৃহস্পতিবার হিরণের গ্রামের সদর উপজেলার বাড়ি আড়য়াকান্দি ও আক্তারের গ্রামের বাড়ি ভুপতিপুরের পারিবারিক কবরস্থান থেকে তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করা হয়। গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় জনতা তার বাড়ি ঘেরাও করলে শহিদুল ইসলাম হিরণ জনতার ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করেন। এতে অন্তত ২৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে শহিদুল ইসলাম হিরণের ঝিনাইদহ শহরের স্টেডিয়াম পাড়ার বাসা ঘেরাও করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে হিরণ ঘরের মধ্যে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। প্রচণ্ড জনরোষে তার গাড়িচালক আক্তারকেও কুপিয়ে হত্যা করে জনতা। হিরণকে হত্যার পর ৫ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে তার লাশ ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বরে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এই ভিডিও বিশ^ব্যাপী ভাইরাল হয়। ফলে চারিদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় শহিদুল ইসলাম হিরণের ভাতিজা জিয়াউল আলম গত বছরের ২০ নভেম্বর ও ড্রাইভার আক্তার হোসেনের ভাই মুক্তার হোসেন ১৭ নভেম্বর বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়। অভিযোগটি আমলে নিয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. রুমনা আফরোজ ঝিনাইদহ সদর থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য আদেশ দেন।
ঝিনাইদহ সদর থানা আদালতের নির্দেশ পেয়ে ডাবল হত্যা মামলা রেকর্ড করে, যার মামলা নম্বর ৩৭। মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার লাশ উত্তোলন করে। এসময় আদালতের নির্দেশের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বনি আমিনসহ ডাক্তার, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
শহিদুল ইসলাম হিরণের ভাতিজা ও মামলার বাদী জিয়াউল আলম বলেন, আদালতে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানায় মামলা রুজু হয়েছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবি করছি। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, নিহত গাড়িচালক আক্তারের ভাই মুক্তার হোসেন ও হিরণের ভাতিজা জিয়াউল আলম বাদি হয়ে আদালতে মামলা করেন। আদালতের নির্দেশনায় বৃহস্পতিবার দুজনার লাশ উত্তোলন করা হয়। এই মামলায় অজ্ঞাত ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।