ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

জীবননগরের বাঁকায় চায়না গোলাপ ফুল চাষ

স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন রশিদুল

জীবননগর অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১০:১৫:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ২৮ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের বাঁকা গ্রামের বাসিন্দা রশিদুল ইসলাম ২০২৪ সালে ভারতের চেন্নাই থেকে ৪ ধরনের চায়না গোলাপের চারা এনে ৩৩ শতাংশ জমিতে রোপণ করেছিলেন। বর্তমানে বাগানে ভরপুর ফুলের ধরন। তিনি এই চায়না গোলাপ ফুল চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁকা বোরিং মাঠে ৩৩ শতাংশ জমিতে ৪ ধরনের চায়না গোলাপ ফুলে ভরে আছে। চারা রোপণের ২ মাসের মধ্যেই চট্টগ্রামসহ স্থানীয় বাজারে ফুল বাজারজাত করতে শুরু করেন চাষি রশিদুল ইসলাম। মাত্র ৫ মাসে ২ লাখ টাকার ফুল বিক্রি করেছেন।

রশিদুল ইসলাম বলেন, তার ফুল বাগানে মাঝে মধ্যে উপজেলা কৃষি অফিসার আলমগীর হোসেন পরিদর্শন করে পরামর্শ দেন। তার পরামর্শে ৩৩ শতাংশ জায়গাজুড়ে গড়ে তোলেন লাল, সাদা, হলুদ ও প্রিন্ট কালারের গোলাপ ফুলের বাগান। এতে তার ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪ লাখ টাকা। তবে গাছে যে পরিমাণে ফুল ধরেছে, তাতে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই লাভের মুখ দেখবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ফুল বাগান দেখতে আশা দর্শনার্থী সাঈদ খোকন বলেন, ‘ফুলের রাজ্য বলতে আমরা যশোর গদখালীকে বলে থাকি। কিন্তু বাঁকার এই মাঠে এসে চোখ জুড়িয়ে গেছে রশিদুলের গোলাপ ফুল বাগান দেখে। তার পাশে দেখছি অনেক ফুলের জমি আছে। এটা আসলেই একটা মনোমুগ্ধকর স্থান। যশোরের থেকে এখানে কোনো অংশে কম নয়।’

জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, জীবননগর উপজেলায় এ বছর ৫০ হেক্টর জমিতে ফুলের চাষ হচ্ছে। তবে এ বছর চায়না গোলাপ ফুল চাষ করছেন রশিদুল ইসলাম। তার জমিতে ৪টি রঙের গোলাপ ফুল চাষ হচ্ছে। আমরা কৃষি অফিস থেকে তাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছি এবং রশিদুলের মতো যে সমস্ত চাষি উদ্যোগ নিয়ে ফুলসহ বিভিন্ন ধরনের চাষ করতে চান, আমরা তাদের সাবিকভাবে সহযোগিতা করবো।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

জীবননগরের বাঁকায় চায়না গোলাপ ফুল চাষ

স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন রশিদুল

আপলোড টাইম : ১০:১৫:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের বাঁকা গ্রামের বাসিন্দা রশিদুল ইসলাম ২০২৪ সালে ভারতের চেন্নাই থেকে ৪ ধরনের চায়না গোলাপের চারা এনে ৩৩ শতাংশ জমিতে রোপণ করেছিলেন। বর্তমানে বাগানে ভরপুর ফুলের ধরন। তিনি এই চায়না গোলাপ ফুল চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁকা বোরিং মাঠে ৩৩ শতাংশ জমিতে ৪ ধরনের চায়না গোলাপ ফুলে ভরে আছে। চারা রোপণের ২ মাসের মধ্যেই চট্টগ্রামসহ স্থানীয় বাজারে ফুল বাজারজাত করতে শুরু করেন চাষি রশিদুল ইসলাম। মাত্র ৫ মাসে ২ লাখ টাকার ফুল বিক্রি করেছেন।

রশিদুল ইসলাম বলেন, তার ফুল বাগানে মাঝে মধ্যে উপজেলা কৃষি অফিসার আলমগীর হোসেন পরিদর্শন করে পরামর্শ দেন। তার পরামর্শে ৩৩ শতাংশ জায়গাজুড়ে গড়ে তোলেন লাল, সাদা, হলুদ ও প্রিন্ট কালারের গোলাপ ফুলের বাগান। এতে তার ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪ লাখ টাকা। তবে গাছে যে পরিমাণে ফুল ধরেছে, তাতে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই লাভের মুখ দেখবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ফুল বাগান দেখতে আশা দর্শনার্থী সাঈদ খোকন বলেন, ‘ফুলের রাজ্য বলতে আমরা যশোর গদখালীকে বলে থাকি। কিন্তু বাঁকার এই মাঠে এসে চোখ জুড়িয়ে গেছে রশিদুলের গোলাপ ফুল বাগান দেখে। তার পাশে দেখছি অনেক ফুলের জমি আছে। এটা আসলেই একটা মনোমুগ্ধকর স্থান। যশোরের থেকে এখানে কোনো অংশে কম নয়।’

জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, জীবননগর উপজেলায় এ বছর ৫০ হেক্টর জমিতে ফুলের চাষ হচ্ছে। তবে এ বছর চায়না গোলাপ ফুল চাষ করছেন রশিদুল ইসলাম। তার জমিতে ৪টি রঙের গোলাপ ফুল চাষ হচ্ছে। আমরা কৃষি অফিস থেকে তাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছি এবং রশিদুলের মতো যে সমস্ত চাষি উদ্যোগ নিয়ে ফুলসহ বিভিন্ন ধরনের চাষ করতে চান, আমরা তাদের সাবিকভাবে সহযোগিতা করবো।