গাংনীতে প্যানেল চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবি
- আপলোড টাইম : ১০:১৪:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
- / ১৯ বার পড়া হয়েছে
মেহেরপুরের গাংনীর সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আসমা তারার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে তার প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা। পাশাপাশি প্যানেল চেয়ারম্যান (২) ও সাহারবাটি ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মহিবুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়ার আবেদন করেছেন তারা। গত সোমবার বেশ কয়েকজন ইউপি সদস্য স্বাক্ষরিত অনাস্থা পত্র ও দায়িত্ব দেওয়ার আবেদন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে জমা দেয়া হয়।
আবেদনে বলা হয়েছে, প্যানেল চেয়ারম্যান আসমা তারা নিয়মবহির্ভূতভাবে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। কোনো সদস্যের সঙ্গে আলোচনা না করে একক সিদ্ধান্তে টিসিবির পণ্য বিতরণ, সার ও বীজ বিতরণে অনিয়ম করেছেন। এসব সুবিধা তিনি তার পছন্দের ব্যক্তিদের দিয়েছেন। এ কারণে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনায় তার ওপর অনাস্থা প্রকাশ করেছেন ইউপি সদস্যরা।
প্যানেল চেয়ারম্যান (২) মহিবুল ইসলাম বলেন, ‘আসমা তারাকে দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকেই তিনি স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয় নিয়েছেন। পরিষদের অন্য সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন এবং সরকারি সুবিধা বিতরণে পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন।’ ৮ নম্বর ইউপি সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আসমা তারার বিরুদ্ধে অসত্য ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া, কম্বল বিতরণসহ বিভিন্ন কাজে অনিয়ম করেছেন, যা সদস্যদের ক্ষুব্ধ করেছে।’
সাহারবাটি ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন, ‘সবাই মিলে কাজ করলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে আসমা তারার কিছু সিদ্ধান্ত সদস্যদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি করেছে। এ জন্য সদস্যরা তাকে অপসারণ ও প্যানেল চেয়ারম্যান (২) মহিবুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।’
প্যানেল চেয়ারম্যান আসমা তারা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। অনাস্থা পত্রে ভুয়া স্বাক্ষর করা হয়েছে।’ এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রীতম সাহা বলেন, ‘অনাস্থা ও দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে লিখিত আবেদন পেয়েছি। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’