৪ লাখ লোক সমাগমের প্রত্যাশা, উচ্ছ্বসিত নেতা-কর্মীরা
সব প্রস্তুতি সম্পন্ন, চুয়াডাঙ্গায় জামায়াতের ইতিহাস গড়ার কর্মী সম্মেলন আজ
আমির ডা. শফিকুর রহমানের উপস্থিতিতে ছড়ানো হবে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার বার্তা
- আপলোড টাইম : ০৯:২২:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
- / ১৮ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠ প্রস্তুত ঐতিহাসিক এক কর্মী সম্মেলনের জন্য। আজ শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে অনুষ্ঠিতব্য এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এছাড়া ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে। আজ দুপুরে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে চুয়াডাঙ্গার প্রথম শহীদ শাহারিয়ার শুভর পিতা আবু সাঈদ।
এদিকে, সম্মেলন উপলক্ষে বছরের শুরু থেকেই চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন প্রান্তে শোভাযাত্রা, মোটরসাইকেল শোডাউন, পথসভা এবং প্রস্তুতি সভা করেছে জামায়াতের চুয়াডাঙ্গা জেলা, উপজেলা, থানা, পৌর ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারা। শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অভ্যর্থনা গেট, ব্যানার ও ফেস্টুনের মাধ্যমে সম্মেলনের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সম্মেলন প্রস্তুতির শুরু থেকে।
জামায়াত নেতাদের মতে, এই সম্মেলন চুয়াডাঙ্গার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সমাবেশ হবে। তাদের দাবি, ৪ লাখের বেশি মানুষের সমাগম ঘটবে এ আয়োজনে। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমির অ্যাড. রুহুল আমিন জানান, ‘এটি হবে গণতন্ত্রকামী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সম্মেলন। আমরা বৈষম্যের অবসান ঘটাতে এবং আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই আয়োজন করছি।’
এদিকে, অনুষ্ঠিতব্য এই কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যশোর-কুষ্টিয়া জোনের পরিচালক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন এবং জোনের টিম সদস্য আলী মুহসিন ও আব্দুল মতিন। এছাড়া অনুষ্ঠানে যশোর জেলা আমির গোলাম রসুল, মেহেরপুর জেলা আমির তাজউদ্দিন খান, কুষ্টিয়া জেলা আমির অধ্যাপক আবুল হাসেম, ঝিনাইদহ জেলা আমির অধ্যাপক আলী আজম আবু বকর সিদ্দিকসহ জেলা ও থানা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
কর্মী সম্মেলন ঘিরে বছরের প্রথম থেকেই শুরু হওয়া বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ৯ জানুয়ারি আলমডাঙ্গায় মোটরসাইকেল শোডাউন এবং ১৩ জানুয়ারি শহরে শোভাযাত্রা অন্যতম। এসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী নেতা-কর্মীরা জানান, ‘১৭ জানুয়ারি একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে।’ এই সম্মেলনকে ঘিরে যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের ৭টি জেলার নেতাদের নিয়ে লিডারশিপ ওরিয়েন্টেশন ওয়ার্কশপ এবং প্রস্তুতি সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঝিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইল, কুষ্টিয়া, মেহেরপুরসহ আশপাশের জেলার কর্মীরাও এই সম্মেলনে অংশ নেবেন।
জামায়াতের দাবি, এই সম্মেলনে অন্তত ৪ লাখ মানুষের উপস্থিতি হবে। সংগঠনের নেতারা মনে করছেন, এই আয়োজন শুধু তাদের শক্তি প্রদর্শন নয়, বরং এটি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার একটি প্রতীকী পদক্ষেপ। সম্মেলনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানিয়ে অ্যাড. রুহুল আমিন বলেন, ‘এটি ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার কর্মী সম্মেলন। আমাদের লক্ষ্য একটি বৈষম্যহীন সমাজ এবং সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা।’ এদিকে, এই সম্মেলনের নিরাপত্তা এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে জেলা ও থানা পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে একাধিক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে অংশ নিতে যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন জেলার জামায়াতের কর্মীদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।