১৭ বছর পর মুক্ত বাবর
- আপলোড টাইম : ০৯:১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
- / ১৫ বার পড়া হয়েছে
দীর্ঘ ১৭ বছর পর কারাগার থেকে মুক্ত হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। গণকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৪৮ মিনিটে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হন তিনি। এ সময় তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন স্ত্রী তাহমিনা জামান শ্রাবণী। বাবরের স্ত্রী বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর পর আদালতের রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ২০০৭ সালের ২৮শে মে আটক হওয়া লুৎফুজ্জামান বাবর আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দায় থেকে ১৪ই জানুয়ারি খালাস পান। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের রায় ঘোষণার পর বাবরের মুক্তির অপেক্ষায় ছিলেন তার স্বজন ও সমর্থকরা। গণকাল তারা কেন্দ্রীয় কারাগার ফটকে ভিড় করেন।
বাবরের নির্বাচনী এলাকা নেত্রকোনা-৪ আসনের নেুাকর্মীসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের হাজারো নেুাকর্মী মুক্ত বাবরকে বরণ করেন। গাড়ি, মোটরসাইকেল ও মানুষের ঢলে কারাগারের সামনের সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কারামুক্ত হয়ে বাবর প্রথমে যান শেরেবাংলা নগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করতে। সেখান থেকে নিজের বাসায় যান তিনি।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বাবর দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, সবার আগে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ বিষয়ে কোনো ছাড় নয়। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জানান লুৎফুজ্জামান বাবর। গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকারের বিপক্ষে যা কিছু আসুক আমরা তা মোকাবিলা করবো।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ২৮শে মে গ্রেপ্তার হন বিএনপি সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। এরপর বিভিন্ন মামলায় তার দণ্ড হয়। এর মধ্যে দুটি মামলায় তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয় এবং একটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। তবে গণ বছরের ৫ই আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক পটপরির্বুনের পর মামলাগুলো থেকে একে একে খালাস পান বাবর। এর মধ্যে গণ ২৩শে অক্টোবর দুর্নীতির মামলায় ৮ বছরের দণ্ড থেকে এবং মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে গণ ১লা ডিসেম্বর খালাস পান তিনি। সবশেষ চট্টগ্রামে আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় গণ মঙ্গলবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দায় থেকে খালাস পাওয়ার পর কারামুক্ত হন সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী।