ইপেপার । আজ বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

কেরুর বাংলা মদ বোতলজাত বন্ধের অনুরোধ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের

৭ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করে দোটানায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক

দর্শনা অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১১:২৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ২৮ বার পড়া হয়েছে

দর্শনার একমাত্র ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান কেরু অ্যান্ড কোম্পানি ১৯৪৭ সালের বৃটিশ আইনের বিরুদ্ধে গিয়ে বাংলা মদ বোতলজাত করার উদ্যোগ নেয়। গত ২৬ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে স্মারক-৭১৮ এর মাধ্যমে কেরু কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের কাছে বাংলা মদ বোতলজাত করার আবেদন জানায়। এর প্রেক্ষিতে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান বাংলা মদ বোতলজাত করার সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তীতে ৪০ হাজার বোতল ক্রয় করে দশর্না ডিস্ট্রিলারিতে পাঠানো হয়। এর মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে শ্রীমঙ্গল ওয়্যারহাউসে ২ কার্টুনে ৪৮ বোতল পাঠানো হয়েছে। বোতলগুলোর প্রতি পিচ মূল্য ছিল ১৬ ও ১৮ টাকা, মোট খরচ ৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।
তবে গত চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এই বোতলজাত প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়ে কেরু ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে একটি পত্র প্রেরণ করে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক মো. আহসানুর রহমান স্মারক নম্বর ৫৮.০২.০০০০.১৭৪.০০.১৫.০৪-২৫/০৩ পত্রের মাধ্যমে এ নির্দেশনা দেন।

ফলে বাংলা মদ উৎপাদন বন্ধ হলে বোতলজাতকরণের জন্য ৪০ হাজার প্লাস্টিক বোতল ক্রয় বাবদ ৬ লাখ ৬৫ হাজার ও বোতলের জন্য পত্রিকায় প্রকাশিত টেন্ডার বিজ্ঞপ্তিতে ৬৩ হাজার টাকাসহ মোট ৭ লাখ ২৮ হাজার টাকা ব্যয় অপচয় হতে পারে। এতে দোটানায় পড়েছেন কেরু ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান।

এদিকে কেরু সূত্র জানায়, চিনি ও খাদ্য শিল্প করপেরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কেরুকে দেশী মদ ১০০০ এমএল ও ৫০০ এমএল পিইটি (চঊঞ) বোতলজাত করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। ফলে বাংলা মদ বোতলজাত করণ বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

প্লাস্টিক বোতলে গরমে ব্যাকটেরিয়া জন্মাবে এবং পরিবেশের ক্ষতি হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে শ্রমিকরা। শ্রমিক নেতারা বলছেন, প্লাস্টিক বোতলে মদ খেয়ে যত্রতত্র ফেলবে ক্রেতারা। যার করণে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হবে বলে পরিবেশবিদরা জানান।

উল্লেখ্য, বিট্রিশ আইনে ১৯৩৮ প্রতিষ্ঠার পর থেকে চলছে দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি মিলটি। সে আইনে ছোট-খাটো ভোক্তা যাতে করে বাংলা মদ খেতে পারে তার ব্যবস্থা করে গেছে। সে আলোকে বিট্রিশ লজিক থেকে বাংলা মদ খোলা রেখে বিক্রী করা হয়ে আসছে। হঠাৎ করে সে আইনের তোয়াক্কা না করে নবাগত ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান বাংলা মদ বোতলজাত করার সিদ্ধান্ত নেয়। যা শ্রমিক ও কর্মচারী এবং শ্রমিক নেতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রীয়র সৃষ্টি করেছে।

এসব বিষয়ে কেরু ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান বলেন, ‘অধিদপ্তরের সকল অনুমতি সাপেক্ষে বাংলা মদ বোতলজাত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

কেরুর বাংলা মদ বোতলজাত বন্ধের অনুরোধ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের

৭ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করে দোটানায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক

আপলোড টাইম : ১১:২৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

দর্শনার একমাত্র ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান কেরু অ্যান্ড কোম্পানি ১৯৪৭ সালের বৃটিশ আইনের বিরুদ্ধে গিয়ে বাংলা মদ বোতলজাত করার উদ্যোগ নেয়। গত ২৬ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে স্মারক-৭১৮ এর মাধ্যমে কেরু কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের কাছে বাংলা মদ বোতলজাত করার আবেদন জানায়। এর প্রেক্ষিতে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান বাংলা মদ বোতলজাত করার সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তীতে ৪০ হাজার বোতল ক্রয় করে দশর্না ডিস্ট্রিলারিতে পাঠানো হয়। এর মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে শ্রীমঙ্গল ওয়্যারহাউসে ২ কার্টুনে ৪৮ বোতল পাঠানো হয়েছে। বোতলগুলোর প্রতি পিচ মূল্য ছিল ১৬ ও ১৮ টাকা, মোট খরচ ৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।
তবে গত চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এই বোতলজাত প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়ে কেরু ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে একটি পত্র প্রেরণ করে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক মো. আহসানুর রহমান স্মারক নম্বর ৫৮.০২.০০০০.১৭৪.০০.১৫.০৪-২৫/০৩ পত্রের মাধ্যমে এ নির্দেশনা দেন।

ফলে বাংলা মদ উৎপাদন বন্ধ হলে বোতলজাতকরণের জন্য ৪০ হাজার প্লাস্টিক বোতল ক্রয় বাবদ ৬ লাখ ৬৫ হাজার ও বোতলের জন্য পত্রিকায় প্রকাশিত টেন্ডার বিজ্ঞপ্তিতে ৬৩ হাজার টাকাসহ মোট ৭ লাখ ২৮ হাজার টাকা ব্যয় অপচয় হতে পারে। এতে দোটানায় পড়েছেন কেরু ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান।

এদিকে কেরু সূত্র জানায়, চিনি ও খাদ্য শিল্প করপেরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কেরুকে দেশী মদ ১০০০ এমএল ও ৫০০ এমএল পিইটি (চঊঞ) বোতলজাত করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। ফলে বাংলা মদ বোতলজাত করণ বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

প্লাস্টিক বোতলে গরমে ব্যাকটেরিয়া জন্মাবে এবং পরিবেশের ক্ষতি হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে শ্রমিকরা। শ্রমিক নেতারা বলছেন, প্লাস্টিক বোতলে মদ খেয়ে যত্রতত্র ফেলবে ক্রেতারা। যার করণে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হবে বলে পরিবেশবিদরা জানান।

উল্লেখ্য, বিট্রিশ আইনে ১৯৩৮ প্রতিষ্ঠার পর থেকে চলছে দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি মিলটি। সে আইনে ছোট-খাটো ভোক্তা যাতে করে বাংলা মদ খেতে পারে তার ব্যবস্থা করে গেছে। সে আলোকে বিট্রিশ লজিক থেকে বাংলা মদ খোলা রেখে বিক্রী করা হয়ে আসছে। হঠাৎ করে সে আইনের তোয়াক্কা না করে নবাগত ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান বাংলা মদ বোতলজাত করার সিদ্ধান্ত নেয়। যা শ্রমিক ও কর্মচারী এবং শ্রমিক নেতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রীয়র সৃষ্টি করেছে।

এসব বিষয়ে কেরু ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান বলেন, ‘অধিদপ্তরের সকল অনুমতি সাপেক্ষে বাংলা মদ বোতলজাত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’