চুয়াডাঙ্গায় জামায়াতের আমিরের আগমন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে রুহুল আমিন
১৭ জানুয়ারি দিনব্যাপী কর্মসূচি, ৪ লাখ লোক সমাগমের প্রত্যাশা
- আপলোড টাইম : ০৬:০০:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫
- / ২০ বার পড়া হয়েছে
আগামী ১৭ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গায় আসছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান। এ উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামী। গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দশ্যে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অ্যাড. রুহুল আমিন বলেন, ‘আগামী ১৭ জানুয়ারি জেলা জামায়াতের সম্মেলন উপলক্ষে আমরা সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। সংবাদকর্মী ভাইয়েরা সমাজের আয়না, আপনাদেরকে আমাদের আয়োজন সম্পর্কে জানাতে এবং আপনাদের সমালোচনা পাওয়ার প্রত্যাশায় এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এছাড়াও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলামসহ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন।’
আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের চুয়াডাঙ্গায় গোটা সফর সম্পর্কে অ্যাড. রুহুল আমিন বলেন, ‘১৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় দশমাইল হয়ে তিনি চুয়াডাঙ্গায় প্রবেশ করবেন। রাত ৯টায় প্রেসক্লাবে অংশগ্রহণ করবেন এবং রাতে বিশ্রামে চলে যাবেন। পরদিন ১৭ জানুয়ারি সকালে নাস্তা সম্পন্নের পর সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেট স্কুলে অনুষ্ঠিতব্য মহিলা সমাবেশে তিনি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করবেন। এছাড়াও এই সম্মেলন উপলক্ষে বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার একটি কালচারাল প্রোগ্রামের সংক্ষিপ্ত আয়োজন রাখা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আমির সম্মেলনের দিন জুম্মার নামাজ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘সম্মেলনস্থলে জুম্মার নামাজ আদায় করা হবে। যদি কোনো পরিবর্তন না আসে তাহলে জুম্মার নামাজে আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান ইমামতি করবেন। তিনি জুম্মার নামাজে ইমামতি না করলেও সম্মেলনস্থলে জুম্মার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের এই সম্মেলন হবে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা এবং সৎ নেতৃত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে। আমরা এই সম্মেলন করছি মানবতার মুক্তি, মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর প্রত্যয়ে। আমরা বৈষম্য দূর করতে এবং একটি আদর্শ দেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে এই সমাবেশ করছি।’
সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে অ্যাড. রুহুল আমিন বলেন, ‘২০০০ সালে সর্বশেষ চুয়াডাঙ্গায় জামায়াতের সম্মেলনে জামায়াতের তৎকালীন আমির অধ্যাপক গোলাম আজম ‘স্যার’ এসেছিলেন। এরপরে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী আমিরে জামায়াত থাকা অবস্থায় সংক্ষিপ্ত সফরে এসেছিলেন। কিন্তু আমিরে জামায়াত হয়ে এই প্রথম জামায়াত এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের শীর্ষ নেতা একসঙ্গে চুয়াডাঙ্গায় কর্মী সম্মেলনে অংশ নেবেন।’
সম্মেলনে জামায়াতের নেতা-কর্মীসহ মানুষের উপস্থিতির প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এই সম্মেলনে অন্তত ৪ লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে বলে আমরা ধারণা করছি।’ এসময় তিনি সম্মেলন সুষ্ঠু ও সফল করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল কাদের, অর্থ সম্পাদক কামাল উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক মফিজুর রহমান জোয়ার্দ্দার, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাগর আহমেদ, সেক্রেটারি আমিরুল ইসলাম, তালিমুল কুরআন বিভাগের সভাপতি মহি উদ্দিন, চুয়াডাঙ্গা পৌর জামায়াতের আমির অ্যাড. হাসিবুল ইসলাম, ছাত্রশিবিরের সাবেক জেলা সভাপতি মহসিন এমদাদুল্লাহ জামেন, আরিফুল ইসলাম, ছাত্রশিবিরের শহর শাখার সভাপতি আবু রায়হায় ও সরকারি কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি পারভেজ আলম।