ইপেপার । আজ রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

স্পষ্ট ডাকাতি অন্য কিছু নয়, টিউলিপ প্রসঙ্গে ড. ইউনূস

সমীকরণ প্রতিবেদন:
  • আপলোড টাইম : ১০:৩১:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

লন্ডনে ফ্ল্যাটের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ক্রমাগত পদত্যাগের চাপে রয়েছে বাংলাদেশের পতিত সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি এবং বৃটেনের ক্ষমতাসীন দলের এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। তার বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে প্রথমবারের মতো কথা বলেছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বৃটেনের পত্রিকা সানডে টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, বৃটেনের ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের ব্যবহৃত লন্ডনের সম্পত্তির বিষয়ে তদন্ত করা উচিত। যদি এটা প্রমাণিত হয় যে, তিনি ‘স্পষ্ট ডাকাতির’ মাধ্যমে তা অর্জন করেছেন তাহলে তা ফেরত দেয়া উচিত।
টিউলিপের বিরুদ্ধে আত্মসাতের অভিযোগের তদন্তের জোরালো আবেদন জানিয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ওই অর্থনীতিবিদ। বলেছেন, টিউলিপের মালিকানাধীন সকল বাড়ির তদন্ত করা হোক। টিউলিপকে ক্ষমা চাওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন ড. ইউনূস। এদিকে প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমারের কাছে টিউলিপকে বরখাস্ত করার আবেদন জানিয়েছেন বৃটেনের অন্যতম বিরোধী দল কনজারভেটিভ দলের নেতা কেমি ব্যাডেনোচ। বলেছেন, টিউলিপের নিজের তদন্তের আহ্বানকে বড় করে দেখানোর চেষ্টা করছেন স্টারমার। নিজ মন্ত্রীর ওপর স্টারমারের দুর্বলতা রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন কেমি। তিনি বলেন, টিউলিপের দুর্বল নেতৃত্ব থেকে বোঝা যায় তিনি সততার বিষয়ে ততটা চিন্তিত নন, যতটা তিনি দাবি করছেন।

ড. ইউনূসের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কোনো মন্তব্য করেনি দশ নং ডাউনিং স্ট্রিট। এ বিষয়ে কথা বলতে অনিচ্ছা প্রকাশ করছেন লেবার পার্টির এমপিরা। কেন এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে এত সময় নিলেন স্টারমার- এমন প্রশ্নও তুলছেন কেউ কেউ। সমালোচকরা সাবেক পরিবহনমন্ত্রী লুইস হাইয়ের সঙ্গে একটি বৈপরীত্য তুলে ধরেন। যিনি খুব সামান্য দোষী সাব্যস্ত হয়েও তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত হয়েছিলেন। স্টারমার এবং টিউলিপ একে-অপরের বন্ধু। তাদের নির্বাচনী এলাকা একদম পাশাপাশি। সমপ্রতি ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের বৃটেন শাখার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জন্য বেশ সমালোচিত হয়েছেন স্টারমার।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

স্পষ্ট ডাকাতি অন্য কিছু নয়, টিউলিপ প্রসঙ্গে ড. ইউনূস

আপলোড টাইম : ১০:৩১:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

লন্ডনে ফ্ল্যাটের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ক্রমাগত পদত্যাগের চাপে রয়েছে বাংলাদেশের পতিত সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি এবং বৃটেনের ক্ষমতাসীন দলের এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। তার বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে প্রথমবারের মতো কথা বলেছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বৃটেনের পত্রিকা সানডে টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, বৃটেনের ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের ব্যবহৃত লন্ডনের সম্পত্তির বিষয়ে তদন্ত করা উচিত। যদি এটা প্রমাণিত হয় যে, তিনি ‘স্পষ্ট ডাকাতির’ মাধ্যমে তা অর্জন করেছেন তাহলে তা ফেরত দেয়া উচিত।
টিউলিপের বিরুদ্ধে আত্মসাতের অভিযোগের তদন্তের জোরালো আবেদন জানিয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ওই অর্থনীতিবিদ। বলেছেন, টিউলিপের মালিকানাধীন সকল বাড়ির তদন্ত করা হোক। টিউলিপকে ক্ষমা চাওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন ড. ইউনূস। এদিকে প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমারের কাছে টিউলিপকে বরখাস্ত করার আবেদন জানিয়েছেন বৃটেনের অন্যতম বিরোধী দল কনজারভেটিভ দলের নেতা কেমি ব্যাডেনোচ। বলেছেন, টিউলিপের নিজের তদন্তের আহ্বানকে বড় করে দেখানোর চেষ্টা করছেন স্টারমার। নিজ মন্ত্রীর ওপর স্টারমারের দুর্বলতা রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন কেমি। তিনি বলেন, টিউলিপের দুর্বল নেতৃত্ব থেকে বোঝা যায় তিনি সততার বিষয়ে ততটা চিন্তিত নন, যতটা তিনি দাবি করছেন।

ড. ইউনূসের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কোনো মন্তব্য করেনি দশ নং ডাউনিং স্ট্রিট। এ বিষয়ে কথা বলতে অনিচ্ছা প্রকাশ করছেন লেবার পার্টির এমপিরা। কেন এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে এত সময় নিলেন স্টারমার- এমন প্রশ্নও তুলছেন কেউ কেউ। সমালোচকরা সাবেক পরিবহনমন্ত্রী লুইস হাইয়ের সঙ্গে একটি বৈপরীত্য তুলে ধরেন। যিনি খুব সামান্য দোষী সাব্যস্ত হয়েও তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত হয়েছিলেন। স্টারমার এবং টিউলিপ একে-অপরের বন্ধু। তাদের নির্বাচনী এলাকা একদম পাশাপাশি। সমপ্রতি ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের বৃটেন শাখার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জন্য বেশ সমালোচিত হয়েছেন স্টারমার।