হাসপাতাল থেকে ভর্তি রোগীর পলায়ন
শৈলকুপায় আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২০
- আপলোড টাইম : ১০:২৮:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
- / ১৬ বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কাশিনাথপুর গ্রামে গতকাল শনিবার ধর্ষণ ও হত্যা মামলার জেরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ফরিদপুর ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আহতদের মধ্যে মো. আসালত, সেলিম খান, রোজিনা খাতুন েেমাসলেম খান, মো. তুহিন খান, হোসাইন হোসেন ও সাদ্দাম হোসেনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এদিকে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আহতেরা অদৃশ্য কারণে হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শৈলকুপার ধলহরচন্দ্র ইউনিয়নে শিক্ষার্থী রানা হত্যা নিয়ে আওয়ামী লীগের নায়েব আলী জোয়ারদার ও একই দলের ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। রানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে বহু মানুষের বাড়িঘর ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়। এরমধ্যে আসামি পক্ষের এক নারীর সঙ্গে বাদী পক্ষের এক ব্যক্তির পরকীয়া নিয়ে নগ্ন ছবি ছড়িয়ে পড়লে শৈলকুপা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়। সম্প্রতি হত্যা মামলার আসামীরা জামিন হয়ে গ্রামে ফিরে আসলে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়। শুরু হয় হত্যা ও ধর্ষণ মামলা তুলতে পাল্টাপাল্টি চাপ।
এ নিয়ে উত্তেজনা শুরু মাঝেই শনিবার সকাল ৯টার দিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আসালত খান ও মসলেম খানের সামাজিক দলের মধ্যে কাশিনাথপুর গ্রামের ব্রিজের ওপর তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। উভয় গ্রুপ ধারালো অস্ত্র, ঢাল ও ভেলা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ১৪ জন শৈলকুপাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ওসি মো. মাসনুম খাঁন জানান, ধর্ষণ ও হত্যা মামলা নিয়ে আওয়ামী লীগের মতিয়ার ও নায়েব জোয়ারদার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বিশেষ করে হত্যা মামলার আসামীরা জামিন হয়ে বাড়ি ফিরে এলে এই সংঘর্ষের সুত্রাত ঘটে। তবে আহতের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। কেউ মামলা করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও ওসি মাসুম খাঁন জানান।