ইপেপার । আজ বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

জয়রামপুরে কপোতাক্ষ ট্রেনের স্টপেজের দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি

দাবি না মানলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

প্রতিবেদক, দামুড়হুদা:
  • আপলোড টাইম : ১০:২৩:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৯ বার পড়া হয়েছে

module:8facing:0; hw-remosaic: 0; touch: (-1.0, -1.0); modeInfo: ; sceneMode: Auto; cct_value: 0; AI_Scene: (-1, -1); aec_lux: 75.0; hist255: 0.0; hist252~255: 0.0; hist0~15: 0.0;

দামুড়হুদার ঐতিহ্যবাহী জয়রামপুর রেল স্টেশনে সাগরদাঁড়ি ও কপোতাক্ষ ট্রেনের আপ-ডাউন স্টপেজ এবং গেটম্যানের দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গতকাল শনিবার বিকেল ৪টায় জয়রামপুর রেল স্টেশনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। স্টপেজের দাবিতে সন্ধ্যা ৬টায় কপোতাক্ষ ট্রেনটি ৮ মিনিট স্টেশনে থামিয়ে রাখা হয়।

স্থানীয়দের দাবি, জয়রামপুর রেল স্টেশনে সাগরদাঁড়ি ও কপোতাক্ষ ট্রেনের আপ-ডাউন স্টপেজ এবং গেটম্যানের নিয়োগ অত্যন্ত জরুরি। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্টেশনে উপস্থিত হন এবং দাবি আদায়ে ট্রেন থামিয়ে দেন। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে.এইচ তাসফিকুর রহমান, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির এবং সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সন্ধ্যায় শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জয়রামপুর রেল স্টেশন জেলার পুরোনো এবং ঐতিহ্যবাহী একটি স্টেশন। রাজশাহী মেডিক্যালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াতের জন্য এ স্টেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে এই স্টেশন কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। বক্তারা দ্রুত স্টেশনটি চালু করে সাগরদাঁড়ি ও কপোতাক্ষ ট্রেনের স্টপেজ দেওয়ার জন্য রেল কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

সাবেক সেনা সদস্য লাজিব আক্তার সিদ্দিকী বলেন, ‘জয়রামপুর স্টেশন একসময় স্টেশন মাস্টার, স্টাফ এবং গেটম্যানসহ পূর্ণ কার্যক্রম চালাত। অথচ এখন সব বন্ধ। আমরা চাই, স্টেশনটি পুনরায় চালু হোক এবং আমাদের দাবি বিবেচনা করে সাগরদাঁড়ি ও কপোতাক্ষ ট্রেনের আপ-ডাউন স্টপেজ দেওয়া হোক।’

জয়রামপুর মানবকল্যাণ যুব সংগঠনের সভাপতি মো. মনিরুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘স্টেশনটিতে গেটম্যান না থাকায় ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। একসময় এই স্টেশনে ৪৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ছিল। কালের বিবর্তনে সেটি হারিয়ে গেছে। এখান থেকে খেজুরের গুড়সহ বিভিন্ন অর্থকরী ফসল সারা দেশে পাঠানো হতো। অবিলম্বে স্টেশনটি চালু করে স্টেশন মাস্টার ও গেটম্যান নিয়োগ দিতে হবে।’

দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে.এইচ তাসফিকুর রহমান বলেন, ‘জয়রামপুরের মানুষ তাদের দাবির বিষয়ে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করেছেন। এটি একটি যৌক্তিক দাবি। এলাকাবাসীর এ ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।’ এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তাদের দাবি দ্রুত মানা না হলে আরোও বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তারা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

জয়রামপুরে কপোতাক্ষ ট্রেনের স্টপেজের দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি

দাবি না মানলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

আপলোড টাইম : ১০:২৩:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

দামুড়হুদার ঐতিহ্যবাহী জয়রামপুর রেল স্টেশনে সাগরদাঁড়ি ও কপোতাক্ষ ট্রেনের আপ-ডাউন স্টপেজ এবং গেটম্যানের দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গতকাল শনিবার বিকেল ৪টায় জয়রামপুর রেল স্টেশনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। স্টপেজের দাবিতে সন্ধ্যা ৬টায় কপোতাক্ষ ট্রেনটি ৮ মিনিট স্টেশনে থামিয়ে রাখা হয়।

স্থানীয়দের দাবি, জয়রামপুর রেল স্টেশনে সাগরদাঁড়ি ও কপোতাক্ষ ট্রেনের আপ-ডাউন স্টপেজ এবং গেটম্যানের নিয়োগ অত্যন্ত জরুরি। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্টেশনে উপস্থিত হন এবং দাবি আদায়ে ট্রেন থামিয়ে দেন। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে.এইচ তাসফিকুর রহমান, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির এবং সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সন্ধ্যায় শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জয়রামপুর রেল স্টেশন জেলার পুরোনো এবং ঐতিহ্যবাহী একটি স্টেশন। রাজশাহী মেডিক্যালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াতের জন্য এ স্টেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে এই স্টেশন কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। বক্তারা দ্রুত স্টেশনটি চালু করে সাগরদাঁড়ি ও কপোতাক্ষ ট্রেনের স্টপেজ দেওয়ার জন্য রেল কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

সাবেক সেনা সদস্য লাজিব আক্তার সিদ্দিকী বলেন, ‘জয়রামপুর স্টেশন একসময় স্টেশন মাস্টার, স্টাফ এবং গেটম্যানসহ পূর্ণ কার্যক্রম চালাত। অথচ এখন সব বন্ধ। আমরা চাই, স্টেশনটি পুনরায় চালু হোক এবং আমাদের দাবি বিবেচনা করে সাগরদাঁড়ি ও কপোতাক্ষ ট্রেনের আপ-ডাউন স্টপেজ দেওয়া হোক।’

জয়রামপুর মানবকল্যাণ যুব সংগঠনের সভাপতি মো. মনিরুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘স্টেশনটিতে গেটম্যান না থাকায় ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। একসময় এই স্টেশনে ৪৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ছিল। কালের বিবর্তনে সেটি হারিয়ে গেছে। এখান থেকে খেজুরের গুড়সহ বিভিন্ন অর্থকরী ফসল সারা দেশে পাঠানো হতো। অবিলম্বে স্টেশনটি চালু করে স্টেশন মাস্টার ও গেটম্যান নিয়োগ দিতে হবে।’

দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে.এইচ তাসফিকুর রহমান বলেন, ‘জয়রামপুরের মানুষ তাদের দাবির বিষয়ে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করেছেন। এটি একটি যৌক্তিক দাবি। এলাকাবাসীর এ ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।’ এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তাদের দাবি দ্রুত মানা না হলে আরোও বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তারা।