চুয়াডাঙ্গায় কবরস্থান সংলগ্ন বাগানে পড়ে ছিল অচেতন যুবক
বাঁধা ছিল চোখ, মুখ, হাত-পা
- আপলোড টাইম : ০৯:১৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
- / ১১ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গা শহরের জান্নাতুল মওলা কবরস্থান সংলগ্ন একটি বাগান থেকে হাত-পা ও চোখ-মুখ বাঁধা অচেতন অবস্থায় এক যুবককে উদ্ধার করেছে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা-পুলিশ। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টায় স্থানীয়রা বাগানের মধ্যে তাকে পড়ে থাকতে দেখে ‘৯৯৯’ সরকারি জরুরি নাম্বারে কল দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বিষয়টি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ভুক্তভোগী যুবকের নাম শরিফুল ইসলাম শান্ত (২২), তিনি কক্সবাজারের চকরিয়া এলাকার ফজল করিমের ছেলে। তাকে উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থল থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লোগো সম্বলিত একটি ‘ট্র্যাকস্যুট’ ও সেনাবাহিনীর পোশাকের অংশ ‘ফেইস শিল্ড’ পাওয়া যায়। এছাড়া তার চুলের স্টাইল এবং ঘড়িসহ অন্যান্য পরিচ্ছদ দেখে প্রাথমিকভাবে তাকে সেনা সদস্য হিসেবে ধারণা করা হলেও তিনি নিজের সেনা সদস্য হওয়ার কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি এবং সেনা ক্যাম্প থেকেও তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ওসি আরও জানান, ‘সেনাবাহিনীর সদস্যদের একটি দল ও পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে অবস্থান করছে। এছাড়া তার পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনেন তদন্ত চলছে।’
এদিকে স্থানীয়রা জানান, তারা দুপুরে কবরস্থান সংলগ্ন নবী নূরের বাড়ির সামনের একটি বাগানে এক যুবককে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তার হাত-পা এবং চোখ-মুখও বাঁধা ছিল। এমন দৃশ্য দেখে স্থানীয়রা দ্রুত পুলিশকে খবর দেন।
চুয়াডাঙ্গা জান্নাতুল মওলা জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দীন কাকন বলেন, ‘দুপুরে খবর পাই যে কবরস্থান সংলগ্ন বাগানে অজ্ঞাত এক যুবক হাত-পা ও চোখ-মুখ বাঁধা অবস্থায় পড়ে আছে। পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন জানান, ‘দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর থানা-পুলিশ অচেতন অবস্থায় এক যুবককে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সেনা ক্যাম্পের অ্যাডজুট্যান্ট মেজর জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনি সেনা সদস্য নয় বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বিস্তারিত জানতে এখনো তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কোনো নারীঘটিত কারণে তিনি চুয়াডাঙ্গায় এসেছিলেন এবং এ ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই যুবকের চেতনা ফিরলেও তিনি নিজের সেনা সদস্য হওয়ার প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হন।