ইপেপার । আজ রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় ২য় দিনের মতো মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যহত, তাপমাত্রা ৮.৫ ডিগ্রি

তীব্র শীতে নিম্ন আয়ের মানুষের চরম কষ্টে দিনযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৪:৫৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১৩ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় দ্বিতীয় দিনের মতো মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যহত রয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। তিন ঘণ্টা পর সকাল ৯টায় তাপমাত্রা আরও কমে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা ছিল গতকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ। এদিকে, গত ১৪ ডিসেম্বর চলতি মৌসুমে প্রথম বারের মতো সারাদেশের তাপমাত্রার পারদ সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রিতে নেমে আসে, যা ছিল সেদিন পর্যন্ত এ মৌসুমে সারাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল চুয়াডাঙ্গায়। এরপর থেকে এ জেলায় তাপমাত্রা ৮ থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে, ফলে শীতের প্রকোপে কাহিল হয়ে পড়ছেন এ জনপদের মানুষ। বেশি অসুবিধায় পড়ছেন নিম্ন আয়ের কৃষিসহ বিভিন্ন শ্রমজীবীরা।

এদিকে, তাপমাত্রা কমতে থাকায় জেলার মানুষ বিশেষ করে নিম্ন আয়ের জনগণ চরম কষ্টে পড়েছে। শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে তারা কাজের জন্য বাইরে বের হচ্ছেন। জেলার হাসপাতালে শীতজনিত রোগী বেড়েছে, বিশেষ করে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুর সংখ্যাও বাড়ছে জানিছেন সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. রকিব সাদী।

শীতের প্রকোপে বিপর্যস্ত কৃষি ও শ্রমজীবী মানুষের কষ্টের কথা জানালেন কয়েকজন। কথা বলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার কৃষক হারুন রশিদ। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন ভোরে মাঠে কাজ করতে বের হই। এই শীতে শরীরটা একদম সইতে পারে না। এমন তীব্র শীতে মাঠে কাঁদা-পানির কাজ করা একেবারেই কষ্টকর।’
এছাড়া দামুহুদা উপজেলার বাসিন্দা নির্মাণ শ্রমিক সেলিম মন্ডল বলেন, ‘তিনি বলেন আমরা প্রতিদিন সকালে সাইকেল চালিয়ে শহরে কাজে আসি। শীতের কারণে শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যায়, কিন্তু কাজ না করলে সংসার চলবে না।’ তিনি শীতের অবস্থা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। বলেন, ‘শীত যতি আরও বাড়ে তাহলে আমাদের কষ্ট আরো বাড়বে।’

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে তাপমাত্রা কমতে থাকবে এবং আগামী দিনগুলোতে আরও শীতল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন না থাকলে আজ শনিবার তাপমাত্রা আরও নিচে নামতে পারে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গায় ২য় দিনের মতো মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যহত, তাপমাত্রা ৮.৫ ডিগ্রি

তীব্র শীতে নিম্ন আয়ের মানুষের চরম কষ্টে দিনযাপন

আপলোড টাইম : ০৪:৫৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় দ্বিতীয় দিনের মতো মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যহত রয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। তিন ঘণ্টা পর সকাল ৯টায় তাপমাত্রা আরও কমে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা ছিল গতকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ। এদিকে, গত ১৪ ডিসেম্বর চলতি মৌসুমে প্রথম বারের মতো সারাদেশের তাপমাত্রার পারদ সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রিতে নেমে আসে, যা ছিল সেদিন পর্যন্ত এ মৌসুমে সারাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল চুয়াডাঙ্গায়। এরপর থেকে এ জেলায় তাপমাত্রা ৮ থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে, ফলে শীতের প্রকোপে কাহিল হয়ে পড়ছেন এ জনপদের মানুষ। বেশি অসুবিধায় পড়ছেন নিম্ন আয়ের কৃষিসহ বিভিন্ন শ্রমজীবীরা।

এদিকে, তাপমাত্রা কমতে থাকায় জেলার মানুষ বিশেষ করে নিম্ন আয়ের জনগণ চরম কষ্টে পড়েছে। শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে তারা কাজের জন্য বাইরে বের হচ্ছেন। জেলার হাসপাতালে শীতজনিত রোগী বেড়েছে, বিশেষ করে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুর সংখ্যাও বাড়ছে জানিছেন সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. রকিব সাদী।

শীতের প্রকোপে বিপর্যস্ত কৃষি ও শ্রমজীবী মানুষের কষ্টের কথা জানালেন কয়েকজন। কথা বলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার কৃষক হারুন রশিদ। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন ভোরে মাঠে কাজ করতে বের হই। এই শীতে শরীরটা একদম সইতে পারে না। এমন তীব্র শীতে মাঠে কাঁদা-পানির কাজ করা একেবারেই কষ্টকর।’
এছাড়া দামুহুদা উপজেলার বাসিন্দা নির্মাণ শ্রমিক সেলিম মন্ডল বলেন, ‘তিনি বলেন আমরা প্রতিদিন সকালে সাইকেল চালিয়ে শহরে কাজে আসি। শীতের কারণে শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যায়, কিন্তু কাজ না করলে সংসার চলবে না।’ তিনি শীতের অবস্থা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। বলেন, ‘শীত যতি আরও বাড়ে তাহলে আমাদের কষ্ট আরো বাড়বে।’

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে তাপমাত্রা কমতে থাকবে এবং আগামী দিনগুলোতে আরও শীতল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন না থাকলে আজ শনিবার তাপমাত্রা আরও নিচে নামতে পারে।’