দেশের দ্বিতীয় লম্বা মানুষ মহেশপুরের আসাদুল!
প্রতিদিন তাকে দেখতে ভিড় জমাচ্ছে মানুষ, তুলছে সেলফি
- আপলোড টাইম : ০৭:৫২:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫
- / ২৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের সবচেয়ে লম্বা মানুষ জিন্নাত আলীর মৃত্যুর পর এখন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ভৈরবা গ্রামের আসাদুল ইসলামকে (২৮) নিয়ে এলাকার মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। তাকে দেশের দ্বিতীয় লম্বা মানুষ হিসেবে দাবি করছেন এলাকার মানুষ। পেশায় কৃষক আসাদুলের উচ্চতা ৭ ফুট ২ ইঞ্চি এবং ওজন ১০৫ কেজি। এই ঢাউস উচ্চতা নিয়ে তিনি স্বাচ্ছন্দ্যে নিজের কাজ করে যাচ্ছেন। ২০২০ সালে ৮ ফুট ৬ ইঞ্চি উচ্চতার দেশের সবচেয়ে লম্বা মানুষ জিন্নাত আলীর মৃত্যু হলে বর্তমান সবচেয়ে লম্বা মানুষ হিসেবে টাঙ্গাইলের গোপালপুর চরপাড়ার দিনমজুর আছর আলীকে (৫৬) ধরা হয়। তার উচ্চতা ৭ ফুট ৫ ইঞ্চি। ফলে ঝিনাইদহের আসাদুল নিজেকে দেশের সবচেয়ে দ্বিতীয় লম্বা মানুষ হিসেবে মনে করছেন। আসাদুল ভৈরব গ্রামের শ্রীপুর পাবনা পাড়ার ফজের আলীর ছেলে।
ভৈরব বাজারের আলফাজ উদ্দীন জানান, ছোটবেলায় সাধারণ মানুষের মতোই ছিলেন আসাদুল। যখন তার ১০ বছর বয়স, তখন থেকে হঠাৎ করে অস্বাভাবিকভাবে লম্বা হতে থাকে। শারীরিকভাবে কোনো সমস্যা নেই আসাদুলের। হতদরিদ্র সংসারে জন্ম নেওয়া আসাদুল লেখাপড়া করেননি। মাঠে কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি যখন বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা কোনো স্থানে বেড়াতে যাই, তখন উৎসুক মানুষ আমাকে জড়িয়ে সেলফি তুলতে থাকে। এতে করে মানুষের আনন্দের পাশাপাশি আমিও মজা পাই। কখনও আমি রাগ করি না। কারণ আগেকার মানুষ এমন লম্বা ছিল, তাই আল্লাহ আমাকে লম্বা বানিয়েছেন। তবে ঘর থেকে বা কোনো দোকানে ঢুকতে গেলে অনেক সময় মাথায় আঘাত পাই। গায়ের পোশাক থেকে শুরু করে সবকিছুই আগে অর্ডার দিয়ে বানাতে হয়। এটাই আমার বড় সমস্যা।’
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত। তার স্ত্রীর নাম মায়া খাতুন। তাদের সংসারে দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। তাকে নিয়ে গ্রামের আব্দুল মালেক বলেন, আসাদুল ইসলামের মতো লম্বা মানুষ তিনি কখনো দেখেননি। তার কাছে দাঁড়ালে নিজেকে ছোট মানুষ বলে মনে হয়। আসাদুল পেশায় একজন পাওয়ার ট্রিলার চালক। তাকে দেখতে বিভিন্ন এলাকার মানুষ তার বাড়িতে আসেন বলেও আব্দুল মালেক জানান।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের কনসালটেন্ট (কার্ডিওলজি) ডা. প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থ জানান, শরীরের বিভিন্ন হরমোনের অস্বাভাবিক ক্রিয়ার কারণে মানুষের উচ্চতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন অঙ্গের গঠনও বৃদ্ধি পেতে পারে। হয়ত আসাদুলের ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। তারপরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া বিস্তারিত বলা সম্ভব না। তবে এতে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।