জীবননগর রায়পুরে জমি নিয়ে বিরোধে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ
চারজন আহত, উভয় পক্ষের মামলার প্রস্তুতি
- আপলোড টাইম : ০৩:০৯:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫
- / ১৭ বার পড়া হয়েছে
জীবননগর উপজেলার রায়পুরে বিরোধপূর্ণ জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ৪ জন আহত হয়েছেন। আহতদের জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রায়পুর কালা দুয়ার মাঠে এই ঘটনা ঘঠে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় দুপক্ষই জীবননগর থানায় মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন।
জীবননগর উপজেলার রায়পুর কামারপাড়ার মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে বাবর আলী (৪৮) বলেন, ‘আমাদের রায়পুর কালাদুয়া মাঠের জমি নিয়ে আকবর আলী কুশে মন্ডলের সাথে একই গ্রামের লোকমান মোল্যার ছেলে কুদ্দুস মোল্যাদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। কুশে মন্ডলের জমি বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুদ্দুস মোল্যা ও তার দুই ছেলে আবু হুরাইয়া ও সাদ্দাম হোসেন এবং ভাগনে কবির হোসেন দখল করতে গেলে তা নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আমরা ঘটনা শুনে তা দেখতে যাই এবং তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করি। কিন্তু কুদ্দুস মোল্যা তার দুই ছেলে ও ভাগনে আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারপিট শুরু করে। আবু হুরাইরা আমাকে, সাদ্দাম আমার ভাইপো মহিউদ্দিনের মাথায় কোপ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে এবং কুদ্দুস মোল্যা ও কবির আমাদের বেধড়ক পিটিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করে পালিয়ে যায়।
এদিকে অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেন নিজেকে রায়পুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি দাবি করে তাদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কুশে মন্ডল রাস্তার জমি ঘিরে নিচ্ছিলেন। আমরা তাকে রাস্তার জমি ঘিরে নিতে বাঁধা দিলে প্রতিপক্ষ বাবর আলীর নেতৃত্বে অন্যান্যরা আমার পিতা ক্দ্দুুস মোল্যার মাথায় কোপ দিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। পরে তারা আমাদের বাড়ি ঘরেও হামলা চালিয়ে ক্ষতি সাধন করে। তিনি আরও বলেন, এই চক্রটি আমাদের ওপর আরো কয়েকবার হামলা চালিয়েছে।
রায়পুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মারামারি তো একের পর এক হয়েই যাচ্ছে। এসব হচ্ছে রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে ঘিরে। উভয়পক্ষই বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থক। আমার লোকজনকে আমি সবসময় শান্ত থাকার কথা বলি। কিন্তু প্রতিপক্ষরা তো আর শুনছে না।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, ঘটনার বিষয়টি আমরা শুনেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। তবে উভয়পক্ষই ঘটনার ব্যাপারে অভিযোগ দিতে পারে। তদন্ত করে চূড়ান্ত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।