দলের নামে অপপ্রচার ছড়ানোর চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেয়া হবে না- শরীফুজ্জামান
ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা প্রীতি ক্রিকেট ও ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত
ঐক্য এবং সম্প্রীতি বাড়িয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান
- আপলোড টাইম : ০২:৪০:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫
- / ২৪ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ বলেছেন, ‘বিএনপি শান্তিপ্রিয় রাজনৈতিক দল। দলের প্রতিষ্ঠাতা শহিদ জিয়াউর রহমান, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সবসময়ই দেশের কল্যাণে নিবেদিত থেকেছেন। ৫ আগস্টের আগে ও পরে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখাতে শক্ত হাতে দুষ্টের দমন করছেন। ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শীর্ষ পর্যায় থেকে খেলাধুলার এই আয়োজন যুবসমাজের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দ্বার প্রসারিত করবে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচিতে চুয়াডাঙ্গা ও সরোজগঞ্জে পৃথক আয়োজনে অনুষ্ঠিত আরাফাত রহমান স্মৃতি ক্রিকেট ও ফুটবল টুর্নামেন্টে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে শরীফুজ্জামান আরও বলেন, ‘ভালো লাগার বিষয় আজকের দুটি খেলার এই আয়োজনে শুধুমাত্র ছাত্রদলের পোস্টেড নেতারা অংশ নিয়েছে। আর অত্যভন্ত শান্তিপূর্ণ এবং সম্প্রীতির মধ্যদিয়ে তারা খেলা দুটি শেষ করেছে। আমরা চাই ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং বিএনপির সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সবসময় ঐক্য বজায় থাকুক। ৫ আগস্টের পর সারা দেশের রাজনীতিতে যে পরিবর্তন এসেছে, এটা সবার আগে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের বুঝতে হবে। ভবিষ্যতে আমরা কীভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করব, তা আজকে আমাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই নিধারিত হবে। তাই আমি শুধুমাত্র ছাত্রদল নয়, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠননের নেতা-কর্মীদের নিজেদের মধ্যে ঐক্য এবং সম্প্রীতি বাড়িয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান করছি।’
চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির রাজনীতির প্রসঙ্গ টেনে শরীফুজ্জামান আরও বলেন, ‘শুধুমাত্র ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে রাজনীতির মধ্যে গ্রুপিং এবং কোন্দলের জায়গা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। নেতা-কর্মীদের মদ্যে দলের পদ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকতে হবে, মনোনয়নের প্রতিযোগিতা থাকবে হবে। কিন্তু মনোনয়ন এবং পদ দেবেন মাঠ যাচাই করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। কিন্তু মাঠে নিজেদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এবং নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন গ্রুপ তৈরি করে আমরা আমাদের তৃণমূল পর্যায়ের রাজনীতির ঐক্য এবং সম্প্রীতিকে ব্যহত করে ফেলি। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। যা সংগঠনের জন্য অত্যন্ত ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমরা কেন মাঠ পর্যায়ের রাজনীতিতে ভিভক্তি নিয়ে আমার পায়তারা করছি, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছি। আমরা যদি আমাদের নিজেদের নামেই ফেসবুকে বিভ্রান্তিমূল কথা বলি, নিজেদের দিকে না তাকিয়ে অন্যদের দিকে কাঁদা ছুড়ি, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমাদের দলই। নিচে নেমে যাবে আমাদের দলই। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বারবার বলেছেন, আগামীর রাজনীতি হবে কঠিন, তাই দলের জন্য আমাদের সকলের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি মিটিয়ে নিতে হবে। ধানের শীষ মানেই ঐক্য, এই কথাকে আমাদের কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। দল যাকে মনোনয়ন দেবে, আমরা তার জন্য তথা দলের জন্য কাজ করব।’
জেলা বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আমি শরীফুজ্জামান দলের সাধারণ সম্পাদক, আমি কোনো ব্যক্তি নই। আমিই দল। যদি আপনারা আমার নামেই ফেসবুকে অপপ্রচার করেন, কোন্দল সৃষ্টির পায়তারা করেন, তবে তা সরাসরি দলের নামেই অপপ্রচার ছড়ানো হবে, ক্ষতি করা হবে নিজের দলেরই। যে নেতারা এটাও বোঝেন না, আমি মনে করি, তাদের রাজনীতি করার বা নেতৃত্ব দেয়ার কোনো দরকার নেই। আমি সকলের প্রতি এই ধরণের অপপ্রচার বা নিজেদের নিচে নামানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান করি। যদি এমন ঘটনা আবারো কেউ ঘটানোর চেষ্টা করে, তবে দলের স্বার্থে তা শক্ত হাতে দমন করা হবে। দীর্ঘ ১৬ বছরে দলের স্বার্থে আমরা যে ত্যাগ নিয়ে বেঁচে আছি, তা আমরা বৃথা যেতে দেব না। আমরা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ, দেশের কল্যাণে, মানুষের কল্যাণে আমরা ঐক্যবদ্ধ থেকেই রাজনীতি করতে চাই।’
গতকাল জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা চাঁদমারি মাঠে অনুষ্ঠিত প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ উপলক্ষে জেলা ছাত্রদলের একটি টিম ও চুয়াডাঙ্গা পৌর ও সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সমন্বয়ে অপর একটি দল গঠন করা হয়। দুটি দলের নাম নির্ধারণ করা হয় মাহমুদ হাসান খান বাবু একাদশ ও শরীফুজ্জামান শরীফ একাদশ। জেলা ছাত্রদল লটারিতে শরীফুজ্জামান শরীফ একাদশ এবং পৌর ও কলেজ ছাত্রদল মাহমুদ হাসান খান বাবু একাদশ নির্ধারিত হয়।
টসে জিতে শরীফুজ্জামান শরীফ একাদশের অধিনায়ক জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল মাহমুদ ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে শরীফুজ্জামান শরীফ একাদশ ১২১ রান সংগ্রহ করে। ১২২ রান তাড়া করতে গিয়ে মাহমুদ হাসান খান বাবু একাদশ হাতে বল রেখেই ৯৭ রানে অলআউট হয়ে যায়। শরীফুজ্জামান শরীফ একাদশ ২৪ রানে জয়লাভ করে। খেলার উদ্বোধন করেন এবং প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার বিতরণ করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু, সফিকুল ইসলাম পিটু, খালিদ মাহমুদ মিল্টন, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম মনি, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান লিপ্টন, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রউফুন নাহার রিনা, সাধারণ সম্পাদক জাহানারা খাতুন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশীদ ঝণ্টু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এম এ তালহা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. শাহাজান খান, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি রাফিতুল্লাহ মহলদার, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হাফিজুর রহমান মুক্ত, সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাসানুজ্জামান হাসান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহসভাপতি সৈয়দ শরিফুল আলম বিলাস, চুয়াডাঙ্গা পৌর যুবদলের আহ্বায়ক বিপুল হাসান হ্যাজি, সদর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ইমরান মহলদার রিণ্টু ও জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাসরিন আক্তার। খেলায় ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক সাইমুজ্জামান মিশা। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের পুরস্কার পান শাহাবুদ্দিন আহমেদ বুদ্দিন ও সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকের পুরস্কার পান কৌশিক আহমেদ রানা।
এছাড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এম এ তালহার পক্ষ থেকে এই তিনজনকে প্রাইজ মানি দেওয়া হয়। আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেন জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ মো. রাজিব খান ও জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি হুমায়ূন কবির আকাশ। ধারাভাষ্যকার ছিলেন জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম ও সদর উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মতিউর রহমান মিশর। স্কোরার ছিলেন সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রকিবুল হাসান ছাত্রনেতা পিয়াস, একলাছ ও সাইফুল। মাহমুদ হাসান খান একাদশের উল্লেখযোগ্য খেলোয়াড় ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কৌশিক আহমেদ রানা (অধিনায়ক), সদস্যসচিব মাজেদুল আলম মেহেদী, কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফয়সাল ইকবাল, সদস্যসচিব সাইমুম আরাফাত, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান কনক ও সদস্য শাহরুখ খান। অপর দিকে শরীফুজ্জামান শরীফ একাদশের উল্লেখযোগ্য খেলোয়াড় ছিলেন- জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল (অধিনায়ক), সহসভাপতি আশিপুল হক শিপুল, এম এ মক্কি, শুভ জামান, বুদ্দীন, যুগ্ম সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, আরিফ আহমেদ শিপ্লব ও সাইমুজ্জামান মিশা। ব্যবস্থাপক ও ম্যাচের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিতা।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে সরোজগঞ্জে ফুটবল টুর্নামেন্টর আয়োজন করা হয়। যা সকাল ১০টায় খেলা শুরু হয়ে সন্ধ্যা ছয়টায় শেষ হয়। ইতিপূর্বে যারা আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা নৃশংস হত্যার শিকার হয়েছেন, তাদের মধ্যে থেকে ৮ জনের নামে সদর উপজেলার ৬ ইউনিয়নের সমন্বয়ে ৮টি টিম গঠন করা হয়। টিমগুলো হলো শহিদ ওয়াসিম আকরাম একাদশ, শহিদ আল ইমরান সুমন একাদশ, শহিদ নাজমুল হাসান একাদশ, শহিদ লালন একাদশ, শহিদ আব্দুল হাই বল্টু একাদশ, শহিদ সিরাজুল ইসলাম একাদশ, শহিদ জামাল একাদশ ও শহিদ উসমান একাদশ। ফাইনালে উত্তীর্ণ হয় শহিদ সিরাজুল ইসলাম একাদশ ও শহিদ আঃ হাই বল্টু একাদশ। ট্রাইবেকারে শহিদ সিরাজুল ইসলাম একাদশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
খেলা শেষে অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ। সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু, সফিকুল ইসলাম পিটু, খালিদ মাহমুদ মিল্টন, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান লিপ্টন ও জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিতা।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম,পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হাফিজুর রহমান মুক্ত, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ মো. রাজিব খান, যুগ্ম সম্পাদক হাফিজ উদ্দিন বাবলু, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল মাহমুদ, পদ্মবিলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গোলাম সরোয়ার হিমু, শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফুল ইসলাম, জেলা মৎস্যজীবী দলের নেতা একরামুল হক, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ মাস্টার, সদর উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মতিউর রহমান মিশর, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম, আশিকুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, সহসাধারণ সম্পাদক রমজান আলী, নাজমুস সাকিব, সহসাংগঠনিক সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক বিক্রম সাদিক মিলন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মো. আবু সুফিয়ান, সহযোগাযোগ সম্পাদক নাজমুল হুসাইন, সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশিক মিয়া প্রমুখ। টুর্নামেন্টের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান মাহবুব।