আলমডাঙ্গার মাঠজুড়ে শোভা পাচ্ছে মনোমুগ্ধকর সরিষা ফুল
অধিক লাভ হওয়ায় এ চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা
- আপলোড টাইম : ০৯:৩৬:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫
- / ২৫ বার পড়া হয়েছে
আলমডাঙ্গায় এবার সরিষা চাষে বিপ্লব ঘটেছে। কৃষকরা দিন দিন সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকছেন। কৃষি বিভাগ থেকে সরিষা চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে। ফলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সবুজ মাঠজুড়ে হাতছানি দিচ্ছে মনোমুগ্ধকর হলুদ রঙের সরিষা ফুল। এসব ফুলের সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে অনেকে সরিষা খেত দেখতে আসছেন, ছবি তুলছেন এবং সেলফি নিচ্ছেন। সরিষা চাষের সঙ্গে সঙ্গে মৌচাষও করছেন অনেকে। আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেহেনা পারভীন জানান, ‘সরিষা চাষিদের সর্বাত্মক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি সরকারিভাবে প্রণোদনা হিসেবে বীজ ও সার সরবরাহ করা হয়েছে। উন্নতমানের বীজ দেওয়া ছাড়াও চাষিরা দেশি জাতের সরিষার আবাদ করছেন।’
আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত মৌসুমে আলমডাঙ্গায় ২ হাজার ৪৮০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছিল। এবার বৃষ্টিপাতের কারণে বোরো ধানের আবাদ কম হওয়ার শঙ্কায় সরিষার আবাদ কিছুটা কমে ২ হাজার ৪০৫ হেক্টর জমিতে দাঁড়িয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৭৫ হেক্টর কম। সরকারিভাবে ৫ হাজার চাষিকে বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। চাষিরা জানান, সরিষা চাষের জন্য খরচ ও শ্রম কম লাগে, অথচ লাভ বেশি হয়। মাত্র দুই থেকে আড়াই মাসে ফলন পাওয়া যায়। এছাড়া সরিষা তুলে নেওয়ার পর জমিতে অন্যান্য ফসল চাষ করা সম্ভব হয়।
জামজামি গ্রামের কৃষক বারেক, রফিকুল, কালিদাসপুর গ্রামের নবী উল্লাহসহ অনেকেই জানান, সরিষা লাভজনক ফসল। আমন ধান কাটার পর জমি চাষ দিয়ে সরিষার বীজ বপন করেছেন তারা। সরিষা তুলে নেওয়ার পর জমি অন্য ফসলের জন্য ব্যবহার করা যাবে। রুহুল আলম নামের এক কৃষক জানান, তিনি ৩৫ শতাংশ জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে ৫ হাজার টাকা। সরিষার গাছে এখন ফুলে ভরে গেছে। কাবিল হোসেন নামের আরেক চাষি ১ একর ৫৫ শতাংশ জমিতে সরিষা চাষ করেছেন, যার ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার টাকা। তিনি জানান, এবার সরিষার ফলন ভালো হচ্ছে।
বাড়াদী গ্রামের কিশোর আমিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের এলাকায় প্রচুর পরিমাণে সরিষার চাষ হয়েছে। ক্ষেতগুলো ফুলে ভরে গেছে। সবুজ মাঠজুড়ে হলুদ রঙ ছড়াচ্ছে। এ সৌন্দর্য্য দেখতে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন।’
আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেহেনা পারভীন বলেন, ‘এবার অন্যান্য মৌসুমের তুলনায় সরিষার আবাদ ভালো হয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে মাঠ পর্যায়ে চাষিদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।’