মৃতদের উপকারে আমল
- আপলোড টাইম : ০৭:৪১:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৬
- / ৫০১ বার পড়া হয়েছে
ধর্ম ডেস্ক: ঈসাল মানে পৌঁছানো। আর সওয়াব মানে পুণ্য। ঈসালে সওয়াব শব্দের অর্থ হলো সওয়াব পৌঁছানো। প্রচলিত অর্থে ঈসালে সওয়াব বলা হয়, মৃত ব্যক্তির জন্য দুনিয়ায় কোনো আমল করে সওয়াব পৌঁছানোকে। ঈসালে সওয়াব শুধু অসংখ্য হাদিস দ্বারা নয় বরং কোরানে কারিমের আয়াত দ্বারাও প্রমাণিত। যেমন কোরানে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘ধনৈশ্বর্য ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য এবং স্থায়ী সৎকর্মগুলো আপনার পালনকর্তার কাছে প্রতিদান প্রাপ্তি ও আশা লাভের জন্যে উত্তম’ সূরা কাহাফ: ৪৬। আয়াতে বর্ণিত স্থায়ী সৎকর্ম কী? এ সম্পর্কে হাদিসে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, (কোনো) ব্যক্তি যখন মারা যায়, তখন তার নেক আমল করার পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। তবে তিনটি পথ ছাড়া। একটি হলো সদকায়ে জারিয়া, দ্বিতীয় হলো ইলম, যা দ্বারা মানুষ উপকৃত হয়, তৃতীয় হলো নেক সন্তানের দোয়া মুসনাদে আহমাদ। আরেক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত ইবনে উমর (রা.) বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যখন কোনো ব্যক্তি মারা যায়, তখন তাকে আটকে রেখো না বরং দ্রুত তাকে কবরস্থ করো। আর তার কবরের মাথার পাশে দাঁড়িয়ে সূরা ফাতেহা এবং পায়ের পাশে দাঁড়িয়ে সূরা বাকারার শেষ অংশ তেলাওয়াত করো তাবরানি। ইসলামের চার ইমামের নিকট যে কথাটি গ্রহণযোগ্য তাহলো কোরানে কারিমের তেলাওয়াতের সওয়াব মৃতের কাছে পৌঁছে। কেননা, এটি কোরানে কারিমের হাদিয়া এবং দোয়া যা তেলাওয়াতকালে আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিল হয়। যেহেতু মৃতের জন্য সদকা এবং তার জন্য দোয়া করলে তা মৃতের কাছে পৌঁছার বিষয়টি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। এর ওপরই উম্মতের ঐকমত্য। বস্তুত মৃতের জন্য ঈসালে সওয়াব করা কোরান, হাদিস এবং আলেমদের ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রমাণিত। তাই ঈসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে যেসব কাজ করা যায় সেগুলো হলো মৃতের নামে সদকা করা, কোরবানি করা, মৃতের জন্য কোরান তেলাওয়াত করা, মৃতের জন্য দোয়া করা, ইস্তেগফার করা, হজ করা। এ ছাড়া জনহিতকর পুণ্যের কাজ করেও মৃত ব্যক্তির জন্য ঈসালে সওয়াব করা যায়। এসবই কোরান-হাদিস দ্বারা সুস্পষ্টরূপে প্রমাণিত। তাই আমাদের উচিত আমাদের মৃত আত্মীয়-স্বজনের জন্য ঈসালে সওয়াব করা। আল্লাহ তায়ালা আমাদের তওফিক দান করুন। আমিন।