ইপেপার । আজ রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

ঝিনাইদহে শীতের তীব্রতা, বিপাকে ছিন্নমূল মানুষ

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১০:০১:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

ডিসেম্বরের প্রথম দশকে শীতের তীব্রতা বেড়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা ঝিনাইদহে। গত দুই দিন শীতের প্রকোপ আরও বেড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে ছিন্নমূল কর্মজীবী মানুষ। গত বুধবার মধ্যরাত থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত জেলাজুড়ে ভারী কুয়াশা পড়েছে।

সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের রমেলা খাতুন জানান, হঠাৎ তিন দিন ধরে শীত বেড়েছে। গ্রামের হতদরিদ্ররা বিপাকে পড়েছে। একই গ্রামের বাবলু বিশ^াস বলেন, শীতের কারণে ধানের বীজতলায় কাজ করা কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে। শহরের পোস্ট অফিস মোড়ের শ্রমিক হাটে জড়ো হওয়া দিনমজুর সাইফুল ইসলাম বলেন, শীত খুব। শহরে দৈনিক মজুরিতে কাজ করার জন্য ভোর বেলা গ্রাম থেকে এসেছি। শীতের কারণে আসতে অনেক কষ্ট হয়। শীতের কারণে শ্রমিকরাও কম আসছেন। ফলে দরিদ্র মানুষের কাজ কাম কমে গেছে। শহরের ওয়াপদা গেট সংলগ্ন চা দোকানি বিল্লাল হোসেন বলেন, শীতের কারণে মানুষ বাইরে কম বের হচ্ছেন। যে কারণে বেচা-কেনা কম।

এদিকে, তীব্র শীতে জেলার ছয় উপজেলায় কষ্টে আছেন ছিন্নমূল দিনমজুর মানুষেরা। অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এখনও সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়নি। অনেকেই একটি কম্বলের জন্য পথ চেয়ে আছেন।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার লাগোয়া হওয়ায় ঝিনাইদহেও শীতের আঁচ লেগেছে। পরিবেশ অধিদপ্তর ঝিনাইদহ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মুন্তাসির রহমান বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতি নির্ণয় বা এ সংক্রান্ত কোনো মন্তব্য করতে পারি না। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য থেকে জানতে পেরেছি, এবারের শীত মৌসুমে ১১-১২টি শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে। এখন যেহেতু ঋতু পরিক্রমায় শীতকাল, তাই সাধারণভাবে শীত বেশি পড়ছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

ঝিনাইদহে শীতের তীব্রতা, বিপাকে ছিন্নমূল মানুষ

আপলোড টাইম : ১০:০১:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ডিসেম্বরের প্রথম দশকে শীতের তীব্রতা বেড়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা ঝিনাইদহে। গত দুই দিন শীতের প্রকোপ আরও বেড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে ছিন্নমূল কর্মজীবী মানুষ। গত বুধবার মধ্যরাত থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত জেলাজুড়ে ভারী কুয়াশা পড়েছে।

সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের রমেলা খাতুন জানান, হঠাৎ তিন দিন ধরে শীত বেড়েছে। গ্রামের হতদরিদ্ররা বিপাকে পড়েছে। একই গ্রামের বাবলু বিশ^াস বলেন, শীতের কারণে ধানের বীজতলায় কাজ করা কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে। শহরের পোস্ট অফিস মোড়ের শ্রমিক হাটে জড়ো হওয়া দিনমজুর সাইফুল ইসলাম বলেন, শীত খুব। শহরে দৈনিক মজুরিতে কাজ করার জন্য ভোর বেলা গ্রাম থেকে এসেছি। শীতের কারণে আসতে অনেক কষ্ট হয়। শীতের কারণে শ্রমিকরাও কম আসছেন। ফলে দরিদ্র মানুষের কাজ কাম কমে গেছে। শহরের ওয়াপদা গেট সংলগ্ন চা দোকানি বিল্লাল হোসেন বলেন, শীতের কারণে মানুষ বাইরে কম বের হচ্ছেন। যে কারণে বেচা-কেনা কম।

এদিকে, তীব্র শীতে জেলার ছয় উপজেলায় কষ্টে আছেন ছিন্নমূল দিনমজুর মানুষেরা। অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এখনও সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়নি। অনেকেই একটি কম্বলের জন্য পথ চেয়ে আছেন।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার লাগোয়া হওয়ায় ঝিনাইদহেও শীতের আঁচ লেগেছে। পরিবেশ অধিদপ্তর ঝিনাইদহ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মুন্তাসির রহমান বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতি নির্ণয় বা এ সংক্রান্ত কোনো মন্তব্য করতে পারি না। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য থেকে জানতে পেরেছি, এবারের শীত মৌসুমে ১১-১২টি শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে। এখন যেহেতু ঋতু পরিক্রমায় শীতকাল, তাই সাধারণভাবে শীত বেশি পড়ছে।