ইপেপার । আজ রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

সরোজগঞ্জ ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সালেহের

আ.লীগ ঘনিষ্ঠ কার্যক্রম, বিজয় দিবসের চিঠি নিয়ে বিতর্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১০:১২:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৭০ বার পড়া হয়েছে

সরোজগঞ্জ ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু সালেহের কাণ্ডে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার তৈরি হয়েছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কর্মসূচির একটি আওয়ামী ঘেষা চিঠি গতকাল বুধবার আলোচনা-সমালোচনার তৈরি করে।

জানা গেছে, ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু সালেহ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বাঙালির জীবনে এক গৌরবোজ্জ্বল দিন ১৬ ডিসেম্বর। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অর্জিত হয় বাংলাদেশের মহান বিজয়। এ দিবসের প্রাক্কালে গর্বিত চিত্তে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা ও মুক্তিকামী জনগণের প্রতি। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ বিজয়ের প্রেরণাকে সমুজ্জ্বল রাখতে ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে আগামী ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ রোজ সোমবার সকাল ৮.৩০ ঘটিকায় দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত দিবসটি যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালিত হবে। বিজয়ের এ চেতনাকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এ অনুষ্ঠানে আপনার সানুগ্রহ উপস্থিতি, অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা কামনা করছি।’

এদিকে, ওই চিঠিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর প্রধান শিক্ষক আবু সালেহকে নিয়ে নানা মন্তব্য করছেন নেটিজেনরা। কেউ কেউ বলছেন, এই শিক্ষক সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। এর আগে তাকে বিভিন্ন দলীয় আয়োজনে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে। এই ব্যক্তি এখনো আওয়ামী লীগের গুণগান করে চলেছেন।

এ বিষয়ে ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু সালেহ-এর সাথে ঘটনার সত্যতা জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে তিনি বিরক্তবোধ করেন। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ আমি আওয়ামী লীগের সভাপতি।’ তবে কোন ইউনিট জানতে চাইলে তিনি বলেননি। আবার অসংলগ্নভাবে তিনি বলেন, ‘চিঠিটা আমি করিনি। অফিস থেকে করেছে। পরে সংশোধন করা হয়েছে।’

তবে সরোজগঞ্জ এলাকাবাসী বলছেন, ওই প্রধান শিক্ষক আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে অতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। বিভিন্ন দলীয় আয়োজনে তার সরব উপস্থিতি ছিল। তিনি অত্যান্ত রাগি প্রকৃতির মানুষ। তার আচরণের কড়া সমালোচনা হয়ে থাকে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

সরোজগঞ্জ ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সালেহের

আ.লীগ ঘনিষ্ঠ কার্যক্রম, বিজয় দিবসের চিঠি নিয়ে বিতর্ক

আপলোড টাইম : ১০:১২:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

সরোজগঞ্জ ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু সালেহের কাণ্ডে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার তৈরি হয়েছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কর্মসূচির একটি আওয়ামী ঘেষা চিঠি গতকাল বুধবার আলোচনা-সমালোচনার তৈরি করে।

জানা গেছে, ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু সালেহ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বাঙালির জীবনে এক গৌরবোজ্জ্বল দিন ১৬ ডিসেম্বর। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অর্জিত হয় বাংলাদেশের মহান বিজয়। এ দিবসের প্রাক্কালে গর্বিত চিত্তে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা ও মুক্তিকামী জনগণের প্রতি। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ বিজয়ের প্রেরণাকে সমুজ্জ্বল রাখতে ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে আগামী ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ রোজ সোমবার সকাল ৮.৩০ ঘটিকায় দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত দিবসটি যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালিত হবে। বিজয়ের এ চেতনাকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এ অনুষ্ঠানে আপনার সানুগ্রহ উপস্থিতি, অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা কামনা করছি।’

এদিকে, ওই চিঠিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর প্রধান শিক্ষক আবু সালেহকে নিয়ে নানা মন্তব্য করছেন নেটিজেনরা। কেউ কেউ বলছেন, এই শিক্ষক সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। এর আগে তাকে বিভিন্ন দলীয় আয়োজনে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে। এই ব্যক্তি এখনো আওয়ামী লীগের গুণগান করে চলেছেন।

এ বিষয়ে ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু সালেহ-এর সাথে ঘটনার সত্যতা জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে তিনি বিরক্তবোধ করেন। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ আমি আওয়ামী লীগের সভাপতি।’ তবে কোন ইউনিট জানতে চাইলে তিনি বলেননি। আবার অসংলগ্নভাবে তিনি বলেন, ‘চিঠিটা আমি করিনি। অফিস থেকে করেছে। পরে সংশোধন করা হয়েছে।’

তবে সরোজগঞ্জ এলাকাবাসী বলছেন, ওই প্রধান শিক্ষক আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে অতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। বিভিন্ন দলীয় আয়োজনে তার সরব উপস্থিতি ছিল। তিনি অত্যান্ত রাগি প্রকৃতির মানুষ। তার আচরণের কড়া সমালোচনা হয়ে থাকে।’