ইপেপার । আজ শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জলাতঙ্ক টিকা ইউনিটে অব্যবস্থাপনা

ফেলা হয় না বর্জ্য, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে স্বয়ং নার্সরা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১০:০১:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৭৬ বার পড়া হয়েছে

কুকুর বা বিড়ালের কামড়ে আক্রান্ত রোগীরা জলাতঙ্কের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জলাতঙ্ক টিকা নিতে আসেন। তবে হাসপাতালের জলাতঙ্ক টিকা ইউনিটের চরম অব্যবস্থাপনা শুধু রোগীদের জন্য নয়, সেখানকার স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্যও বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করেছে।

গতকাল বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, সদর হাসপাতালের জলাতঙ্ক টিকা ইউনিটে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, তুলাসহ চিকিৎসার বর্জ্যগুলো এলোমেলোভাবে ফেলে রাখা হয়েছে। যেখানে রোগীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে, সেখানেই এই বিপজ্জনক বর্জ্য জমা রয়েছে। কোনো সঠিক নিষ্পত্তি বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা সেখানে রাখা হয়নি।

একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিন জলাতঙ্ক রোগের টিকা দিতে হয়। কিন্তু এখানে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ চার-পাঁচ দিন ধরে জমিয়ে রাখা হচ্ছে। এগুলো সরানোর জন্য পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা উদ্যোগ নিচ্ছেন না, আর ইনচার্জও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। ফলে আমরা নিজেরাই ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘টিকা দেওয়ার আগে বা পরে হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজ করার সুযোগও নেই। ব্যবহৃত সিরিঞ্জগুলো সঠিক নিয়মে সরিয়ে নেওয়া বা নিষ্কাশন করা হচ্ছে না, যা আমাদের এবং পরিবারের সদস্যদের জন্যও স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে।’

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. রকিব সাদী বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নয়। তাছাড়া আমি সম্প্রতি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। আমাকে এ বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য জানানো হয়নি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জলাতঙ্ক টিকা ইউনিটে অব্যবস্থাপনা

ফেলা হয় না বর্জ্য, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে স্বয়ং নার্সরা

আপলোড টাইম : ১০:০১:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

কুকুর বা বিড়ালের কামড়ে আক্রান্ত রোগীরা জলাতঙ্কের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জলাতঙ্ক টিকা নিতে আসেন। তবে হাসপাতালের জলাতঙ্ক টিকা ইউনিটের চরম অব্যবস্থাপনা শুধু রোগীদের জন্য নয়, সেখানকার স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্যও বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করেছে।

গতকাল বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, সদর হাসপাতালের জলাতঙ্ক টিকা ইউনিটে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, তুলাসহ চিকিৎসার বর্জ্যগুলো এলোমেলোভাবে ফেলে রাখা হয়েছে। যেখানে রোগীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে, সেখানেই এই বিপজ্জনক বর্জ্য জমা রয়েছে। কোনো সঠিক নিষ্পত্তি বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা সেখানে রাখা হয়নি।

একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিন জলাতঙ্ক রোগের টিকা দিতে হয়। কিন্তু এখানে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ চার-পাঁচ দিন ধরে জমিয়ে রাখা হচ্ছে। এগুলো সরানোর জন্য পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা উদ্যোগ নিচ্ছেন না, আর ইনচার্জও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। ফলে আমরা নিজেরাই ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘টিকা দেওয়ার আগে বা পরে হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজ করার সুযোগও নেই। ব্যবহৃত সিরিঞ্জগুলো সঠিক নিয়মে সরিয়ে নেওয়া বা নিষ্কাশন করা হচ্ছে না, যা আমাদের এবং পরিবারের সদস্যদের জন্যও স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে।’

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. রকিব সাদী বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নয়। তাছাড়া আমি সম্প্রতি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। আমাকে এ বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য জানানো হয়নি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’