ঝিনাইদহে চাঁদা না পেয়ে চরমপন্থী ক্যাডারদের কাণ্ড
গাছের সঙ্গে বেধে বৃদ্ধকে হাতুড়িপেটা
- আপলোড টাইম : ০৯:৪৭:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৩৯ বার পড়া হয়েছে
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার হাসিনার সরকার পতনের পর পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আড়মুখী এলাকায় চিহ্নিত সাবেক চরমপন্থী ক্যাডাররা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা সাধারণ নিরীহ মানুষকে ধরে প্রকাশ্যে পিঠমোড়া করে বেঁধে হাতুড়ি পেটা করে চাঁদা দাবি করছে। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে গত ৭ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের আড়মুখী বাজরে। ওই গ্রামের বাজারে কবির খাঁ নামের এক বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তিকে গাছের সঙ্গে পিটমোড়া দিয়ে বেঁধে হাতুড়ি পেটা করা হয়। এরপর তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে একই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী সরো বাহিনীর ক্যাডার রেজাউল ওরফে রেজা বিশ্বাস ও মশিউর ওরফে মসুল্যা।
এ বিষয়ে এলাকার বাসিন্দা আবু জাফর বলেন, ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ পড়ে বাইরে এসে দেখি কবিরকে পিঠমোড়া করে বেঁধে হাতুড়ি দিয়ে বেদম প্রহর করছে রেজা ও মসুল্যা। পরে জানতে পারলাম কবিরের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চাওয়া হয়েছে। টাকা না দেওয়ায় মসজিদ থেকে ডেকে পিটমোড়া করে গাছের সাথে বেধে রাখা হয়। আড়মুখী বাজারের শামসুল ইসলাম বলেন, রেজা ও মসুল্যার সাথে কবির খাঁর কোনো অর্থনৈতিক লেনদেন নেই। কিন্তু জোরপূর্বক ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চেয়েছিল। দিতে না পারায় মসজিদ থেকে ডেকে নিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে বেঁধে রেখেছিল গাছের সঙ্গে।
গ্রামবাসী অভিযোগ করেন, রেজা কালীগঞ্জের সাবেক এমপি আনারকে ফুলের মালা দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং সেই থেকে রেজা আড়মুখী খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছেন। বিষয়টি জানতে চাইলে রেজাউল ইসলাম রেজা বলেন, ‘আমি সাংবাদিকদের কাছে কৈফিয়ত দিতে রাজি নই। আপনারা বাজারে আসেন। সেখানে আসলে কথা বলব।’
সদর উপজেলার নলডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খোরশেদ আলম বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। পরে ভুক্তভোগী আমাকে মুঠোফোনে জানান বিষয়টি তারা সামাজিকভাবে সমাধান করে নিয়েছেন। পরবর্তীতে আর কোনো বিষয় আমার নলেজে নেই।’
তবে তথ্য নিয়ে জানা গেছে, সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করায় সন্ত্রাসী রেজা বৃদ্ধ কবির খাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। ৫০ হাজার টাকা চাঁদা না দিলে কবির খাঁকে বাড়িতে থাকতে দিবে না বলেও শাসিয়েছে রেজা। এ ঘটনার পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কবির খাঁ।