ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

মেহেরপুরে অবৈধভাবে সার মজুত ও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে বিক্রি

৩৮৪ বস্তা সার জব্দ, ব্যবসায়ীকে লাখ টাকা জরিমানা

প্রতিবেদক, মেহেরপুর সদর
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩০ বার পড়া হয়েছে

অবৈধভাবে সার মজুতের দায়ে মেহেরপুরে ওবাইদুল্লাহ নামের এক ব্যবসায়ীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ২৮৪ বস্তা ড্যাপ, ৪৯ বস্তা এমওপি ও ৩৮ বস্তা টিএসপি ও ১৪ বস্তা ইউরিয়া সার জব্দ করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজী মূয়ীদুর রহমান এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
তিনি জানান, দুুপুরে সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রাম থেকে একটি ফোন আসে যে, সেখানে কিছু সারসহ দুটি ভ্যান জব্দ করে রেখেছে কৃষকেরা। পরে সেখানে যান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও যৌথবাহিনীর একটি দল। এসময় ওবাইদুল্লার দোকানে তালা ঝুলতে দেখা যায়। পরে খবর দেওয়া হয় তাকে। পরে তার দুটি গোডাউন থেকে ড্যাপ, এমওপি, টিএসপি ও ইউরিয়া মিলে ৩৮৫ বস্তা সার জব্দ করা হয়।
কৃষকদের অভিযোগ, সারের কোনো লাইসেন্স না থাকলেও কুলবাড়িয়া গ্রামের বাজারে দীর্ঘদিন ধরে সার মজুত করে ব্যবসা করে আসছেন ওবাইদুল্লাহ। বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কৃষকদের কাছে বেশি দামে সার বিক্রি করছেন তিনি। আবার দাম বেশি দিলেও চাহিদা অনুযায়ী কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে না সার। এই ক্ষোভ থেকেই দুই ভ্যান সার জব্দ করেন কৃষকেরা।
পরে ঘটনাস্থলে আসেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজী মূয়ীদুর রহমান। তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অবৈধ সার মজুত ও কৃষকদের কাছে বেশি দামে সার বিক্রি করার অপরাধে সার ব্যবস্থাপনা আইন ২০০৬ এর ৮ এর (১) ধারা লঙ্ঘনে ২ ধারায় ব্যবসায়ী ওবাইদুল্লাহকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও ৩৮৪ বস্তা সার জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত কৃষি কর্মকর্তাদের হেফাজতে সারের বস্তাগুলো রাখা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

মেহেরপুরে অবৈধভাবে সার মজুত ও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে বিক্রি

৩৮৪ বস্তা সার জব্দ, ব্যবসায়ীকে লাখ টাকা জরিমানা

আপলোড টাইম : ০৯:৩৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

অবৈধভাবে সার মজুতের দায়ে মেহেরপুরে ওবাইদুল্লাহ নামের এক ব্যবসায়ীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ২৮৪ বস্তা ড্যাপ, ৪৯ বস্তা এমওপি ও ৩৮ বস্তা টিএসপি ও ১৪ বস্তা ইউরিয়া সার জব্দ করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজী মূয়ীদুর রহমান এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
তিনি জানান, দুুপুরে সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রাম থেকে একটি ফোন আসে যে, সেখানে কিছু সারসহ দুটি ভ্যান জব্দ করে রেখেছে কৃষকেরা। পরে সেখানে যান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও যৌথবাহিনীর একটি দল। এসময় ওবাইদুল্লার দোকানে তালা ঝুলতে দেখা যায়। পরে খবর দেওয়া হয় তাকে। পরে তার দুটি গোডাউন থেকে ড্যাপ, এমওপি, টিএসপি ও ইউরিয়া মিলে ৩৮৫ বস্তা সার জব্দ করা হয়।
কৃষকদের অভিযোগ, সারের কোনো লাইসেন্স না থাকলেও কুলবাড়িয়া গ্রামের বাজারে দীর্ঘদিন ধরে সার মজুত করে ব্যবসা করে আসছেন ওবাইদুল্লাহ। বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কৃষকদের কাছে বেশি দামে সার বিক্রি করছেন তিনি। আবার দাম বেশি দিলেও চাহিদা অনুযায়ী কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে না সার। এই ক্ষোভ থেকেই দুই ভ্যান সার জব্দ করেন কৃষকেরা।
পরে ঘটনাস্থলে আসেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজী মূয়ীদুর রহমান। তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অবৈধ সার মজুত ও কৃষকদের কাছে বেশি দামে সার বিক্রি করার অপরাধে সার ব্যবস্থাপনা আইন ২০০৬ এর ৮ এর (১) ধারা লঙ্ঘনে ২ ধারায় ব্যবসায়ী ওবাইদুল্লাহকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও ৩৮৪ বস্তা সার জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত কৃষি কর্মকর্তাদের হেফাজতে সারের বস্তাগুলো রাখা হয়।