ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

দামুড়হুদায় ন্যায়বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

প্রতিবেদক, দামুড়হুদা:
  • আপলোড টাইম : ০৮:০০:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে

দামুড়হুদায় ন্যায়বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে রবিউল ইসলাম বাবলুর পরিবার। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখত বক্তব্য পাঠ করেন রবিউল ইসলাম বাবলুর ছোট ছেলে মো. মাসুম হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কলোনি পাড়ার মো. আবুল কাশেমের ছেলে মো. রবিউল ইসলাম বাবলু ২ বছর আগে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার নতুনপাড়ার মো. আমির বিশ্বাসের ছেলে মো. জাকিরের কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকার বিনিময়ে ৫ বিঘা পেঁপে বাগানসহ জমি লিজ নেন। টাকা ফেরত প্রদান করলে সে তার জমি ফেরত নিবে মর্মে অঙ্গীকার করে স্ট্যাম্পে লিখত করে দেন। কিন্তু হঠাৎ করে দুর্বৃত্ত জাকির চুক্তিনামা থেকে আরও ৩ লাখ টাকা বেশি দাবি করছে। আমার তারা তা দিতে অস্বীকৃত জানালে জাকিরসহ অজ্ঞাতনামা ১৪/১৫ জন পেপে বাগান কেটে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছিল। এর আগে ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর তাদের ৪ বিঘা পেঁপে গাছ সব দুর্বৃত্তরা কেটে দিয়েছিল। তখন স্বাক্ষীদের মাধ্যমে জানতে পারে জাকিরসহ অজ্ঞাতনামারা ফসল নষ্ট করে এই জঘন্যতম কাজ করেছে। এতে তাদের ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। ঘটনার পর স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা ও দামুড়হুদা মডেল থানার সাবেক ওসি সাইফুল ইসলাম ঘটনার তদন্ত করে সত্যতা পায়। তখনকার আওয়ামী লীগের এমপি টগরের প্রভাব খাটিয়ে দুর্বৃত্ত জাকির হোসেন তখন পার পেয়ে যায়। তখন থেকেই জমি আমরা দখলে রেখে চাষাবাদ করছি।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, এই ঘটনায় জাকিরের শ্বশুর জমির আসল মালিক দর্শনা মল্লিক পাড়ার মৃত শামছাদী মুহুরির ছেলে মো. ছাবদার হোসেন এবং জাকিরের স্ত্রী ও ছাবদার হোসেনের মেয়ে মোছা. নিলুফা ইয়াসমিনসহ তাদের পরিবারের সবাই সবকিছুই জানতো। সে সময় জমির মালিক ছাবদার হোসেন জমি তার একমাত্র জামাই জাকিরকে চাষাবাদের জন্য দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ০৩-০৯-২০২২ তারিখে জাকির আমার তারেদ কাছে জমি বন্ধক দেয়। দীর্ঘদিন জমির টাকা ফেরত না দেওয়ার কারণে মৌখিকভাবে জানিয়ে নতুন করে ৩১/১০/২০২৪ তারিখে দামুড়হুদা উপজেলাধীন পরানপুর গ্রামের ঝড়ু মন্ডলের ছেলে মিন্টু ও রহমান এবং কাবিল হোসেনের ছেলে ইস্তা দেনাকে ৫০ হাজার টাকায় ভূট্টা চাষ করার জন্য লিজ প্রদান করি। কিন্তু জাকির ও তার শ্বশুর ছাবদার ওই জমির বিষয়ে নিজের স্ত্রী ও মেয়ে মোছা. নিলুফা ইয়াসমিনকে দিয়ে গত ০২/১১/২০২৪ তারিখে চুয়াডাঙ্গায় একটি সংবাদ সম্মেলন করেন ওই জমিতে নাকি জোর পূর্বক ভুট্টার চাষ হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমাদের টাকা ফেরত না দেওয়ার পায়তারায় লিপ্ত হয়েছে জাকির ও তার শ্বশুর। আমরা আর তার জমি লিজে রাখতে চায় না, টাকা ফেরত দিয়ে জমি ফেরত নেন। কারণ আমরা যখন জমি লিজ নিই তখন সব বিষয়ে তার শ্বশুর এবং তাদের পরিবারের মানুষ জানতো। তা সত্ত্বেও তারা মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ তুলে আমাদের পরিবারের সদস্যসহ আত্মীয়-স্বজনদের সমাজের মানুষের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করছে। কাগজপত্র দেখে সঠিকভাবে যেন বিষয়টির সঠিক সমাধান হয় সেজন্য আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

দামুড়হুদায় ন্যায়বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

আপলোড টাইম : ০৮:০০:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

দামুড়হুদায় ন্যায়বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে রবিউল ইসলাম বাবলুর পরিবার। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখত বক্তব্য পাঠ করেন রবিউল ইসলাম বাবলুর ছোট ছেলে মো. মাসুম হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কলোনি পাড়ার মো. আবুল কাশেমের ছেলে মো. রবিউল ইসলাম বাবলু ২ বছর আগে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার নতুনপাড়ার মো. আমির বিশ্বাসের ছেলে মো. জাকিরের কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকার বিনিময়ে ৫ বিঘা পেঁপে বাগানসহ জমি লিজ নেন। টাকা ফেরত প্রদান করলে সে তার জমি ফেরত নিবে মর্মে অঙ্গীকার করে স্ট্যাম্পে লিখত করে দেন। কিন্তু হঠাৎ করে দুর্বৃত্ত জাকির চুক্তিনামা থেকে আরও ৩ লাখ টাকা বেশি দাবি করছে। আমার তারা তা দিতে অস্বীকৃত জানালে জাকিরসহ অজ্ঞাতনামা ১৪/১৫ জন পেপে বাগান কেটে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছিল। এর আগে ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর তাদের ৪ বিঘা পেঁপে গাছ সব দুর্বৃত্তরা কেটে দিয়েছিল। তখন স্বাক্ষীদের মাধ্যমে জানতে পারে জাকিরসহ অজ্ঞাতনামারা ফসল নষ্ট করে এই জঘন্যতম কাজ করেছে। এতে তাদের ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। ঘটনার পর স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা ও দামুড়হুদা মডেল থানার সাবেক ওসি সাইফুল ইসলাম ঘটনার তদন্ত করে সত্যতা পায়। তখনকার আওয়ামী লীগের এমপি টগরের প্রভাব খাটিয়ে দুর্বৃত্ত জাকির হোসেন তখন পার পেয়ে যায়। তখন থেকেই জমি আমরা দখলে রেখে চাষাবাদ করছি।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, এই ঘটনায় জাকিরের শ্বশুর জমির আসল মালিক দর্শনা মল্লিক পাড়ার মৃত শামছাদী মুহুরির ছেলে মো. ছাবদার হোসেন এবং জাকিরের স্ত্রী ও ছাবদার হোসেনের মেয়ে মোছা. নিলুফা ইয়াসমিনসহ তাদের পরিবারের সবাই সবকিছুই জানতো। সে সময় জমির মালিক ছাবদার হোসেন জমি তার একমাত্র জামাই জাকিরকে চাষাবাদের জন্য দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ০৩-০৯-২০২২ তারিখে জাকির আমার তারেদ কাছে জমি বন্ধক দেয়। দীর্ঘদিন জমির টাকা ফেরত না দেওয়ার কারণে মৌখিকভাবে জানিয়ে নতুন করে ৩১/১০/২০২৪ তারিখে দামুড়হুদা উপজেলাধীন পরানপুর গ্রামের ঝড়ু মন্ডলের ছেলে মিন্টু ও রহমান এবং কাবিল হোসেনের ছেলে ইস্তা দেনাকে ৫০ হাজার টাকায় ভূট্টা চাষ করার জন্য লিজ প্রদান করি। কিন্তু জাকির ও তার শ্বশুর ছাবদার ওই জমির বিষয়ে নিজের স্ত্রী ও মেয়ে মোছা. নিলুফা ইয়াসমিনকে দিয়ে গত ০২/১১/২০২৪ তারিখে চুয়াডাঙ্গায় একটি সংবাদ সম্মেলন করেন ওই জমিতে নাকি জোর পূর্বক ভুট্টার চাষ হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমাদের টাকা ফেরত না দেওয়ার পায়তারায় লিপ্ত হয়েছে জাকির ও তার শ্বশুর। আমরা আর তার জমি লিজে রাখতে চায় না, টাকা ফেরত দিয়ে জমি ফেরত নেন। কারণ আমরা যখন জমি লিজ নিই তখন সব বিষয়ে তার শ্বশুর এবং তাদের পরিবারের মানুষ জানতো। তা সত্ত্বেও তারা মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ তুলে আমাদের পরিবারের সদস্যসহ আত্মীয়-স্বজনদের সমাজের মানুষের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করছে। কাগজপত্র দেখে সঠিকভাবে যেন বিষয়টির সঠিক সমাধান হয় সেজন্য আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।