চুয়াডাঙ্গার ফার্মপাড়ায় দুই গ্রুপের মধ্যে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রেল স্টেশন সংলগ্ন রেল কলোনী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন চুয়াডাঙ্গা পৌর ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিলন হোসেন (৪৯)। তিনি ফার্মপাড়ার আহসান আলীর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দুই পক্ষের মধ্যে চাঁদা দাবি ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধ থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। এসময় রেল স্টেশন গার্ড কোয়াটারের সামনে একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। দুই পক্ষই স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এ ধরনের ঘটনা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।
অপর একটি পক্ষ জানিয়েছে, কয়েকদিন পূর্বে একই এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে জনি নামের এক যুবলীগ নেতাকে আটক করা হয়। জনিকে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে, এমন অভিযোগে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই জেরে এ ঘটনা ঘটে। আহত মিলন হোসেনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। মিলন হোসেন বলেন, ‘ইমরান ও তার সঙ্গীরা ওই এলাকায় চাঁদাবাজি করে। তাদের নিষেধ করার কারণে চাপাতি দিয়ে আমার মাথায় কোপ দিয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জোবায়দা জয়া বলেন, ‘সন্ধ্যা সাতটার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় মিলন হোসেন জরুরি বিভাগে আসে। তার মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। জরুরি বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ভর্তি রাখা হয়েছে।’
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি, অপারেশন) হোসেন আলী জানান, ‘পূর্ব বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। অভিযোগ সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’