ইপেপার । আজ শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

ঢাকায় আলী হুসেন হত্যায় শেখ হাসিনা-ওবায়দুল কাদেরসহ ১৮৯ জনের নামে মামলা

আসামি চুয়াডাঙ্গার রাজ্জাক খান, নুর হাকিম, হাসেম রেজা ও শহিদুল

সমীকরণ প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৩:০৫:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৭৮ বার পড়া হয়েছে

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর উত্তরা-পূর্ব থানার ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে আলী হুসেন নামে এক ব্যক্তি গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৮৯ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে। এই মামলায় চুয়াডাঙ্গা আওয়ামী লীগের ৪ নেতাকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে মো. আলী হুসেনের আত্মীয় মো. মফিজুল ইসলাম সানা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (উত্তরা পূর্ব) আমলি আদালতে বাদী হয়ে এ মামলার আবেদন করেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়েছে কি না বা কোনো তদন্ত চলছে কি না, তা ২০ কর্মদিবসের মধ্যে উত্তরা-পূর্ব থানা পুলিশকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী জাকির হোসেন এ তথ্য জানান।
মামলায় ৩৪ নম্বর আসামি হলেন- চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলা এবং ঢাকার উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা এম শহিদুল রহমান, ৬৯ নম্বর আসামি দামুড়হুদা ও ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা নুর হাকিম, ১০১ নম্বর আসামি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি এবং ঢাকার মিরপুর ৬০ ফিটের বাসিন্দা হাশেম রেজা, ১৩৪ নম্বর আসামি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য চুয়াডাঙ্গার পলাশপাড়ার বুজরুক গড়গড়ী এবং ঢাকার উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা এম এ রাজ্জাক খান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ জুলাই কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এরই অংশ হিসেবে রাজধানী উত্তরার পূর্ব থানাধীন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পূর্ব পাশে আজমপুরে অবস্থান নেয় ছাত্র-জনতা। ওই দিন শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও সেখানে অবস্থান নেয়।
একপর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনকারী সাধারণ ছাত্র-জনতার সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ছাত্র-জনতার ওপর অতর্কিত গুলি চালাতে থাকে। এতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কাতারে থাকা আলী হুসেনকে লক্ষ্য করে গুলি করলে তার পেট, বুক ও মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মহাসড়কের ওপরে পড়ে থাকে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী সাধারণ ছাত্র-জনতার মধ্যে থেকে কয়েকজন গিয়ে আলী হুসেনের হাত-পা ধরে তুলে নিয়ে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার আলী হুসেনকে মৃত ঘোষণা করে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

ঢাকায় আলী হুসেন হত্যায় শেখ হাসিনা-ওবায়দুল কাদেরসহ ১৮৯ জনের নামে মামলা

আসামি চুয়াডাঙ্গার রাজ্জাক খান, নুর হাকিম, হাসেম রেজা ও শহিদুল

আপলোড টাইম : ০৩:০৫:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর উত্তরা-পূর্ব থানার ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে আলী হুসেন নামে এক ব্যক্তি গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৮৯ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে। এই মামলায় চুয়াডাঙ্গা আওয়ামী লীগের ৪ নেতাকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে মো. আলী হুসেনের আত্মীয় মো. মফিজুল ইসলাম সানা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (উত্তরা পূর্ব) আমলি আদালতে বাদী হয়ে এ মামলার আবেদন করেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়েছে কি না বা কোনো তদন্ত চলছে কি না, তা ২০ কর্মদিবসের মধ্যে উত্তরা-পূর্ব থানা পুলিশকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী জাকির হোসেন এ তথ্য জানান।
মামলায় ৩৪ নম্বর আসামি হলেন- চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলা এবং ঢাকার উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা এম শহিদুল রহমান, ৬৯ নম্বর আসামি দামুড়হুদা ও ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা নুর হাকিম, ১০১ নম্বর আসামি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি এবং ঢাকার মিরপুর ৬০ ফিটের বাসিন্দা হাশেম রেজা, ১৩৪ নম্বর আসামি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য চুয়াডাঙ্গার পলাশপাড়ার বুজরুক গড়গড়ী এবং ঢাকার উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা এম এ রাজ্জাক খান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ জুলাই কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এরই অংশ হিসেবে রাজধানী উত্তরার পূর্ব থানাধীন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পূর্ব পাশে আজমপুরে অবস্থান নেয় ছাত্র-জনতা। ওই দিন শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও সেখানে অবস্থান নেয়।
একপর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনকারী সাধারণ ছাত্র-জনতার সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ছাত্র-জনতার ওপর অতর্কিত গুলি চালাতে থাকে। এতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কাতারে থাকা আলী হুসেনকে লক্ষ্য করে গুলি করলে তার পেট, বুক ও মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মহাসড়কের ওপরে পড়ে থাকে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী সাধারণ ছাত্র-জনতার মধ্যে থেকে কয়েকজন গিয়ে আলী হুসেনের হাত-পা ধরে তুলে নিয়ে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার আলী হুসেনকে মৃত ঘোষণা করে।