ইপেপার । আজ রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

ঝিনাইদহে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা, ব্যর্থ হয়ে প্রাণনাশের হুমকি!

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০২:৩৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩০ বার পড়া হয়েছে

বৈধ কাগজপত্র, রেকর্ড ও নামপত্তন না থাকার পরও ঝিনাইদহে অন্যের জমি জোরপূর্বক দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। জমি দখল করতে না পেরে প্রভাবশালী চক্রটি খুন—জখমের হুমকি দিচ্ছে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা ত্রিমোহনী এলাকায়।
সরেজমিনে তথ্য নিয়ে জানা যায়, ডাকবাংলা বাজারের আব্দুল করিমের ছেলে আবুল কাশেমের আরএস ৩৯৩ খতিয়ানে ৫০ শতক জমি রয়েছে। এরমধ্যে ৩৯৩ খতিয়ানে মাগুরাপাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলের তারিকুল ইসলামের ১২ শতক ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া। ১৯৯৮ সালে ওই খতিয়ানের ৩৮ শতাংশ জমি আবুল কাশেমের দুই ছেলে আব্দুর রশিদ ও সফিকুর রহমানের কাছে বিক্রি দেন। ছেলেদের কাছে বিক্রির পর জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে একই জমি স্ত্রী রোকেয়ার কাছে বিক্রি করেন। আগে বিক্রীত এই জমি স্বত্ব না থাকার পরও আবার স্ত্রী রোকেয়া গিলাপোল গ্রামের মান্দার আলীর ছেলে আমিরুল ও আকিমুলের কাছে বিক্রি করেন। এখন এই জমি মান্দার আলীর ছেলে আমিরুল ও আকিমুল দখল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা জমির ওপর গিয়ে প্রকৃত বৈধ মালিক তারিকুলকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়ে জবর দখলের অপচেষ্টা করে যাচ্ছে।
জমির মালিক তারিকুল ইসলাম জানান, নতুন বছরে এই জমির তিনি খাজনা দিয়েছেন। জমির বৈধ কাগজপত্র সত্ত্বেও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আলফা কবিরাজের ছেলে আনা কবিরাজ ও বাথপুকুর গ্রামের সাফদার মন্ডলের ছেলে আফসার, ইনু ও শিলু নিয়মিত হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। ডাকবাংলা বাজারের ফল ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম জানান, এই জমি নিয়ে এর আগে একাধিকবার সমাজিক ভাবে বৈঠক হয়েছে। ডাকবাংলা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই লিটনও নিষ্পত্তির চেষ্টা করেছেন। বিচারে আমিরুল ও আকিমুল বৈধ কোনো কাগজ দেখাতে পারেনি। তারপরও চক্রটি অন্যের জমি দখল করে এলাকায় দাঙ্গা ফ্যাসাদ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন।
ডাকবাংলা বাজারের আরেক ব্যবসায়ী মহিউদ্দীন জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা একাধিকবার সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছি। কিন্তু উক্ত জমির মধ্যে আবুল কাশেমের কোন অংশ না থাকা সত্ত্বেও আমিরুল ও আকিমুল সমস্যা সৃষ্টি করে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। ডাকবাংলা বাজারের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান জানান, তারিকুল ও আবুল কাশেমের জমিজমা নিয়ে বহুবার বসা হয়েছে। এটকা নিস্পত্তিকৃত জমি নিয়ে এভাবে বারবার সালিশ করা যায় না। কিন্তু আমিরুল ও আকিমুল কোনো কিছুই মানতে নারাজ। এই জমি নিয়ে আবুল কাশেম দেওয়ানি আদালতে ১০৮/১৬ নং মামলা করে হেরে যায়। পরবর্তীতে উক্ত জমি দাঙ্গা সৃষ্টিকারী আমিরুল ইসলাম ও আকিমুল ইসলামও আদালতের দারস্থ হন যার মামলা নং এল,জি,টি, ৪৭২/২২। আদালত সকল কাগজ পত্র সঠিক থাকায় মামলা খারিজ করে তারিকুল ইসলামের পক্ষে রায় দেন।
এলাকাবাসী জানায়, আমিরুল ও আকমুল কোনো আইন কানুন মানছে না। অনেকটা গায়ের জোরে জমি দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তারা জমির মূল মালিক তারিকুল ইসলাম হ তার পরিবারের লোকজননের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

ঝিনাইদহে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা, ব্যর্থ হয়ে প্রাণনাশের হুমকি!

আপলোড টাইম : ০২:৩৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

বৈধ কাগজপত্র, রেকর্ড ও নামপত্তন না থাকার পরও ঝিনাইদহে অন্যের জমি জোরপূর্বক দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। জমি দখল করতে না পেরে প্রভাবশালী চক্রটি খুন—জখমের হুমকি দিচ্ছে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা ত্রিমোহনী এলাকায়।
সরেজমিনে তথ্য নিয়ে জানা যায়, ডাকবাংলা বাজারের আব্দুল করিমের ছেলে আবুল কাশেমের আরএস ৩৯৩ খতিয়ানে ৫০ শতক জমি রয়েছে। এরমধ্যে ৩৯৩ খতিয়ানে মাগুরাপাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলের তারিকুল ইসলামের ১২ শতক ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া। ১৯৯৮ সালে ওই খতিয়ানের ৩৮ শতাংশ জমি আবুল কাশেমের দুই ছেলে আব্দুর রশিদ ও সফিকুর রহমানের কাছে বিক্রি দেন। ছেলেদের কাছে বিক্রির পর জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে একই জমি স্ত্রী রোকেয়ার কাছে বিক্রি করেন। আগে বিক্রীত এই জমি স্বত্ব না থাকার পরও আবার স্ত্রী রোকেয়া গিলাপোল গ্রামের মান্দার আলীর ছেলে আমিরুল ও আকিমুলের কাছে বিক্রি করেন। এখন এই জমি মান্দার আলীর ছেলে আমিরুল ও আকিমুল দখল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা জমির ওপর গিয়ে প্রকৃত বৈধ মালিক তারিকুলকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়ে জবর দখলের অপচেষ্টা করে যাচ্ছে।
জমির মালিক তারিকুল ইসলাম জানান, নতুন বছরে এই জমির তিনি খাজনা দিয়েছেন। জমির বৈধ কাগজপত্র সত্ত্বেও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আলফা কবিরাজের ছেলে আনা কবিরাজ ও বাথপুকুর গ্রামের সাফদার মন্ডলের ছেলে আফসার, ইনু ও শিলু নিয়মিত হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। ডাকবাংলা বাজারের ফল ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম জানান, এই জমি নিয়ে এর আগে একাধিকবার সমাজিক ভাবে বৈঠক হয়েছে। ডাকবাংলা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই লিটনও নিষ্পত্তির চেষ্টা করেছেন। বিচারে আমিরুল ও আকিমুল বৈধ কোনো কাগজ দেখাতে পারেনি। তারপরও চক্রটি অন্যের জমি দখল করে এলাকায় দাঙ্গা ফ্যাসাদ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন।
ডাকবাংলা বাজারের আরেক ব্যবসায়ী মহিউদ্দীন জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা একাধিকবার সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছি। কিন্তু উক্ত জমির মধ্যে আবুল কাশেমের কোন অংশ না থাকা সত্ত্বেও আমিরুল ও আকিমুল সমস্যা সৃষ্টি করে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। ডাকবাংলা বাজারের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান জানান, তারিকুল ও আবুল কাশেমের জমিজমা নিয়ে বহুবার বসা হয়েছে। এটকা নিস্পত্তিকৃত জমি নিয়ে এভাবে বারবার সালিশ করা যায় না। কিন্তু আমিরুল ও আকিমুল কোনো কিছুই মানতে নারাজ। এই জমি নিয়ে আবুল কাশেম দেওয়ানি আদালতে ১০৮/১৬ নং মামলা করে হেরে যায়। পরবর্তীতে উক্ত জমি দাঙ্গা সৃষ্টিকারী আমিরুল ইসলাম ও আকিমুল ইসলামও আদালতের দারস্থ হন যার মামলা নং এল,জি,টি, ৪৭২/২২। আদালত সকল কাগজ পত্র সঠিক থাকায় মামলা খারিজ করে তারিকুল ইসলামের পক্ষে রায় দেন।
এলাকাবাসী জানায়, আমিরুল ও আকমুল কোনো আইন কানুন মানছে না। অনেকটা গায়ের জোরে জমি দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তারা জমির মূল মালিক তারিকুল ইসলাম হ তার পরিবারের লোকজননের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছেন।