জনসম্পৃক্তকরণে খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালা
দেশের যেকোনো নির্বাচন থেকে কঠিন হবে আগামী জাতীয় নির্বাচন: তারেক রহমান
কর্মশালায় মাহমুদ হাসান খান ও শরীফুজ্জামানসহ চুয়াডাঙ্গা থেকে নেতাদের সরব উপস্থিতি
- আপলোড টাইম : ০৬:৫২:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৪৫ বার পড়া হয়েছে
রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তকরণে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার দিনব্যাপী খুলনা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু, সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফসহ খুলনা বিভাগের বিএনপির ১০টি জেলা কমিটি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, শ্রমিক দল, মহিলা দল, জাসাস, মৎস্যজীবী দল ও ওলামা দলের পাঁচজন করে নেতাসহ খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের সহস্রাধিক নেতা এ প্রশিক্ষক কর্মশালায় অংশ নেন।
এদিকে, দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের পর বিকেল সোয়া ৫টায় রাষ্ট্র মেরামতে বিএনপি প্রদত্ত ৩১ দফা বিষয়ক খুলনা বিভাগীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন বাংলাদেশের যেকোনো নির্বাচন থেকে অনেক কঠিন হতে যাচ্ছে। এখন মানুষের ধ্যান-ধারণার পরিবর্তন হয়েছে। মানুষ আগের থেকে অনেক সচেতন হয়েছে, তাই কেউ যদি কোনো ভুল করে থাকেন, তাহলে একজন নেতা হিসেবে তাকে সঠিক পথে নিয়ে আসা আপনার দায়িত্ব।’
তারেক রহমান বলেন, ‘জনগণের সমর্থন নিয়ে যদি ক্ষমতায় আসতে পারি, তাহলে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ফ্যামিলি কার্ড এবং ফার্মার্স কার্ড। ফ্যামিলি কার্ডটি হবে পরিবারের মা বা স্ত্রীর নামে, যা তাদের পারিবারিক ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করবে। কৃষকদের জন্য ফার্মার্স কার্ড চালু করা হবে, যা কৃষকের মৌসুমী সহযোগিতা, সার-বীজ এবং আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করবে।’
তারেক রহমান বলেন, বিএনপির ক্ষমতার উৎস জনগণ এবং দলের ভবিষ্যত জনগণের আস্থা ও সমর্থনে নির্ভরশীল। তিনি নেতা-কর্মীদের বলেন, দলের ভবিষ্যত রক্ষার জন্য আমাদেরকে জনগণের সঙ্গে থাকতে হবে এবং তাদের আস্থা ধরে রাখতে হবে। বিএনপির ৩১ দফা জনগণের পক্ষে গণতান্ত্রিক সকল দলের সমর্থন, এবং এই ৩১ দফা বাস্তবায়নে জনগণের সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, ‘নারীদের মর্যাদা বৃদ্ধি এবং তাদের জন্য বিশেষ শিক্ষাব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সময় যেমন নারীদের জন্য ফ্রি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হয়েছিল, তেমনই প্রান্তিক মানুষের জন্য রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া বৃক্ষরোপণ, নদী ও খাল খনন, শিশুদের খেলাধুলায় উন্নয়নসহ সামাজিক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।’ এছাড়াও তারেক রহমান সব নেতাদের ভুল শুধরে নিয়ে জনগণের পাশে থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেছেন, জনগণকে সাথে রাখুন, জনগণের সঙ্গে থাকুন।
বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় মূল প্রশিক্ষক ছিলেন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল। বিভাগীয় এ কর্মশালায় খুলনা অঞ্চলের ১০টি জেলা ও একটি মহানগরের ১১টি ইউনিট বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা দিনভর স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে এই প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া নেতারা হলেন- চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু, সফিকুল ইসলাম পিটু, খালিদ মাহমুদ, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি এম. জেনারেল ইসলাম, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রউফ উর নাহার রিনা, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মোকারম হোসেন, জেলা যুবদলের সভাপতি শরিফুজ্জামান সিজার, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশীদ ঝণ্টু, সিনিয়র সহসভাপতি আয়ুব আলী, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম তরফদার সাবু, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আইনাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আতিয়ার রহমান, জেলা জাসাস-এর সভাপতি মো. শহিদুল হক বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক কামরুজ্জামান বাবলু, জেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব ও বাড়াদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোবারক হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এম.এ তালহা, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জাহানারা পারভীন, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিন, জেলা ওলামা দলের জেলা সভাপতি ফজলুল রহমান, সদস্যসচিব মাওলানা আনোয়ার হোসেন, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাড. সাইদ মাহমুদ শামীম রেজা ডালিম ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সৈয়দ হেদায়েত হোসেন আসলাম।